ডাবল সেঞ্চুরি নিয়ে
উইকেটটা ব্যাট করার জন্য ভাল ছিল। ঠিক করে নিয়েছিলাম, ঝুঁকি নেওয়ার রাস্তায় যাব না। শট বাছাইয়ে অবশ্যই ফোকাস ছিল। ক্যাপ্টেন বলে নিজেকে দলের অন্য ব্যাটসম্যানদের চেয়ে বেশি কিছু ভেবেই ক্রিজে নামতে হয়। যার আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই। এই ইনিংসেও সেই মানসিকতাই ছিল।
ডিআরএস এবং আউট
প্রথমবার আমার মনে হয়েছিল, আমি আউট নই। তাই ডিআরএস নিই। বলটা খুব শার্প টার্ন করেছিল। আমিও অনেকটা এগিয়ে ছিলাম। তা ছাড়া, তখন আমাদের হাতে দু’টো রিভিউ ছিল। যখন আউট হলাম, তখন কোনও সন্দেহ ছিল না। কারণ, আমি পরিষ্কার এলবি ছিলাম। আমার আউটটা ছিল পাঁচ নম্বর উইকেট। তখন একটাই রিভিউ হাতে ছিল। জাডেজা, সাহা, অশ্বিনরা মাইলস্টোনের সামনে থাকলে ওদের কারও একটা ডিআরএস হয়তো কাজে লাগত। সে জন্যই তখন আর সেটা নিলাম না। আম্পায়ারিং নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই আমার।
নিজেকে পাল্টানো
আমি বরাবরই লম্বা ইনিংস খেলতে চাইতাম। কিন্তু কেরিয়ারের শুরুর দিকে মনঃসংযোগ, শট বাছাইয়ে ভুল, এ রকম নানা কারণে তা সম্ভব হয়ে উঠত না। তার পর থেকেই আমি এই ভুলগুলো শোধরানো শুরু করি। ফিটনেস, মনঃসংযোগ বাড়ানোর কাজ শুরু করি। পাশাপাশি নেটে শট সিলেকশন শোধরানোর কাজও শুরু হয় আমার। এখন আর লম্বা ইনিংস খেলার পরেও ক্লান্ত হই না। সেঞ্চুরি পাওয়ার পরেও সন্তুষ্ট হয়ে পড়ি না। সে রকমই মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামি। আগে টেস্ট ক্রিকেটকে আলাদা করে বিশেষ গুরুত্ব দিতাম। এখন সেটা আর করি না। এখন সব ধরণের ক্রিকেটই আমার কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। সারা বছর যে পরিমাণ ক্রিকেট আমাদের খেলতে হয়, তাতে সিজনে বেশি প্র্যাকটিস করা যায় না। এই সময়ে মানসিক ব্যাপারগুলো ঠিক রাখার জন্য যা যা করা দরকার, সেগুলোতেই বেশি সময় দিতে হয়। এ ভাবেই সব ম্যাচে মেন্টাল ব্যালান্স ঠিক রাখতে হয়। এই ইনিংসেও তাই করেছি।