Sports News

কলকাতা লিগে বেটিং তদন্ত: আপাতত নির্বাসিত ফুটবলার সুরজ মণ্ডল

শুভমের অভিযোগ, তাঁকে ফোনটা বুকিদের হয়ে করেছিলেন ফুটবলার সুরজ মণ্ডল। তিনি শুভমকে বলেন, ‘‘পাঠচক্রের বিরুদ্ধে ম্যাচের ৭৫ মিনিটে তুই একটা গোল খাবি, তা হলে তুই এক লাখ টাকা পাবি।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২১:১৯
Share:

কলকাতা লিগে বেটিং-এর তদন্ত শুরু করল আইএফএ। বৃহস্পতিবার আইএফএ-র শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠকে নির্বাসিত করা হল অভিযুক্ত ফুটবলার সুরজ মণ্ডলকে। তদন্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত তাঁকে নির্বাসনেই থাকতে হবে বলে জানিয়ে দিল বাংলার ফুটবল নিয়ামক সংস্থা।কারণ, কলকাতায় বসে সুরজই ওই বেটিং সংস্থার হয়ে কাজ করেছিলেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

এ দিন সুরজকে ডেকে পাঠানোহয় আইএফএ-তে। সঙ্গে ডাকা হয় অন্য দুই ফুটবলার রাকেশ মাসি এবং শুভম রায়কেও। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ দিনের বৈঠকে এই তদন্তের ভার তুলে দেওয়া হয়েছে সুইৎজারল্যান্ডের একটি সংস্থা ‘স্পোর্টস রাডার’-এর হাতে।

অভিযোগটা উঠেছিল কয়েক দিন আগেই। শুভম রায় নামে টালিগঞ্জ অগ্রগামীর গোলকিপার অভিযোগটা তুলেছিলেন। আইএফএ-র কাছেও অভিযোগ করেছিলেন শুভম। তারই ভিত্তিতে এ দিন বৈঠকে বসে আইএফএ-র শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি।

Advertisement

আরও পড়ুন
গোল খেলেই লাখের অফার! কলকাতা ময়দানে বেটিং চক্রে জড়িত নামী-দামিরাও?

কী সেই অভিযোগ?

টালিগঞ্জ বনাম পাঠচক্র ম্যাচের আগের দিন হঠাৎই ফোনটা বেজে উঠেছিল শুভম রায়ের। শুভমগত বছর ছিলেন পাঠচক্রতে। সে বছর ইস্টবেঙ্গলের থেকে ডাক এলেও দল তাঁকে ছাড়েনি। এই মরসুমে সেই পাঠচক্রের বিরুদ্ধে ম্যাচটা শুভমের জন্য ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।ফোনে ‘গোল খেলে এক লাখ পাবি’র প্রস্তাবটা তাই সরাসরি ‘না’ করে দিয়েছিলেন শুভম।

শুভমের অভিযোগ, তাঁকে ফোনটা বুকিদের হয়ে করেছিলেন ফুটবলার সুরজ মণ্ডল। তিনি শুভমকে বলেন, ‘‘পাঠচক্রের বিরুদ্ধে ম্যাচের ৭৫ মিনিটে তুই একটা গোল খাবি, তা হলে তুই এক লাখ টাকা পাবি। খেলার ফল কী হচ্ছে তাতে কিছু এসে যায় না। তোরা জিতলেও না। শুধু ওই সময় তোকে একটা গোল খেতে হবে।’’শুভমের দাবি, এই ‘অফার’ গ্রহণ না করার কারণ হিসেবে জানিয়ে দেন, তিনি ফুটবলটা ভালবেসে খেলেন।ফুটবলের সঙ্গে এমনটা করতে পারবেন না।

শুভমের দাবি, হাল না ছেড়ে সুরজ তাঁকে বলেন, ‘‘তোর নাম কেউ জানতে পারবে না। রাকেশ মাসি চার বছর ধরে করছে কেউ জানতে পেরেছে? দীপক মণ্ডলও এর মধ্যে আছে।’’ কিন্তু শেষ পর্যন্ত সুরজ তাঁকে রাজি করাতে পারেননি বলেই দাবি শুভমের।

এর পরই শুভম পুরো ঘটনা সামনে নিয়ে আসেন। ফোনের সেই অডিয়ো ক্লিপও এ দিন আইএফএ-র কাছে জমা দেন শুভম। সেই অডিয়ো ক্লিপ এ দিন প্রথমে সুরজকে শোনানো হলে, প্রথমে তিনি তা অস্বীকার করেন। দ্বিতীয়বার যখন আবার আর একটি মোবাইল থেকে সেই একই অডিয়ো ক্লিপ শোনানো হয়, তখন সুরজ ‘চাপে পড়ে’ মেনে নেন এটা তাঁরই গলা। তাঁর দাবি, তিনি শুভমের সঙ্গেমজা করেছিলেন।

সুরজের জবানবন্দি এ দিন রেকর্ড করা হয়েছে। দীপক মণ্ডলকে ডাকা না হলেও কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁকে ডাকা হবে বলে আইএফএ সূত্রে খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন