লাল-হলুদের জোড়া গোলদাতা। জিতেন ও লালরিন্দিকা। বৃহস্পতিবার। -শঙ্কর নাগ দাস
ইস্টবেঙ্গল ২ : ভবানীপুর ১
(জিতেন, লালরিন্দিকা) (ওরোক ওরোক)
ইস্টবেঙ্গলের প্রথম ম্যাচের পর লাল-হলুদ ডিফেন্সকে দশে কত দেবেন?
১-২ হারা বিপক্ষ দল ভবানীপুরের কোচ দেবজিৎ ঘোষ বললেন, ‘‘দশে টেনেটুনে দুই বা তিন। তবে কালাম অ্যাঙ্গাসকে শূন্য দেব। স্টপারে গুরবিন্দরের পাশে অর্ণবকে খেলানো উচিত ছিল ওদের।’’
বৃহস্পতিবারের ম্যাচ শেষে যে কোনও ফুটবল বিশেষজ্ঞকে এই প্রশ্ন করা হলে হয়তো একই উত্তর পাওয়া যেত। কলকাতা লিগের প্রথম ম্যাচে বিশেষ করে ব্রিটিশ ডিফেন্ডারের খেলা দেখার পর! কালাম যতটা সুদর্শন, তাঁর ফুটবল ততটাই কুৎসিত এ দিন। অথচ অর্ণব মণ্ডলের মতো ভারতসেরা ডিফেন্ডার বেঞ্চে বসে থাকলেন পুরো নব্বই মিনিট। যদি না অবশ্য ইস্টবেঙ্গলের ব্রিটিশ কোচও বর্তমান কলকাতা লিগের সঠিক গুরুত্ব বুঝে ফেলে থাকেন!
যদিও সত্যি বলতে এ দিন মর্গ্যানের দলের ডিফেন্স, মাঝমাঠ, ফরোয়ার্ড— সবেরই বেহাল দশা ছিল। ভবানীপুর যদি আরও একটু অভিজ্ঞ টিম হত, হয়তো পুরো পয়েন্ট নিয়ে ফেরা হত না ইস্টবেঙ্গলের। ময়দানের তথাকথিত ছোট দল গোল খাওয়ার পরেও যে ভাবে তেড়েফুঁড়ে আক্রমণে উঠেছে তা দেখে মর্গ্যানও বলে ফেললেন, ‘‘বিশ্রী গোল খেয়েছে আমার টিম। পুওর ডিফেন্স।’’
অভূতপূর্ব টানা সাত বার কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে নেমেছে ইস্টবেঙ্গল। কল্যাণীর মাঠ উপচে দর্শকও এসেছিলেন। তবে সাধারণ ফুটবলপ্রেমীর চেয়ে অনেক সংখ্যায় বেশি ছিলেন ইস্টবেঙ্গল ফ্যানস ক্লাবের সদস্যরা। আইএফএ-র টুর্নামেন্টের হাল যতই বিবর্ণ হোক, লাল-হলুদ সমর্থকদের কল্যাণে গ্যালারি ছিল বিদেশি লিগের মতো রঙিন। বিশাল গ্যালারির অর্ধেকটা লাল, অর্ধেকটা হলুদ। প্রায় প্রত্যেক দর্শকের হাতে ধরা কাগজ, কাপড়, ব্যানারে। তবে রফিক-ডিকাদের খেলা দেখে মনের কোণও কি ভরল? বৃষ্টি ভেজা বিকেলে প্রিয় দলের তিন পয়েন্ট প্রাপ্তি হল বটে, কিন্তু ফুটবলারদের পারফরম্যান্স নিয়ে উঠে গেল অনেক প্রশ্ন। ঐতিহাসিক কাজের সেই তাগিদ কোথায়? ডংদের খেলা দেখে মনে হচ্ছিল, প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলতে নেমেছেন।
বিদেশ (মালয়েশিয়ার পেনাং) থেকে র্যান্টি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘‘আমি ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের উন্মাদনা খুব মিস করছি। ওদের জন্য আমার অনেক শুভেচ্ছা রইল। এ বার লিগ জিতে যেন ওরা নতুন রেকর্ড করে।’’ অথচ মাঠে যেন র্যান্টিকেই ‘খুব মিস’ করল ইস্টবেঙ্গল। গত বারের টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা ডু ডং এ দিন ব্যর্থ। জিতেন মুর্মু একটা সহজ সুযোগ নষ্ট করার পর তাও একটা গোল করে নিজের ভুল সংশোধন করলেন। লালরিন্দিকাও কোনও মতে গোল পেলেন। কোনওক্রমে মান বাঁচল লাল-হলুদের। প্রথম ম্যাচেরই পরই মর্গ্যানের আক্ষেপ শোনা গেল, ‘‘আমার টিমে চিডি, বরিসিচদের মতো পজিটিভ স্ট্রাইকার নেই।’’
ইস্টবেঙ্গল: ব্যারেটো, রাহুল, গুরবিন্দর, কালাম, নারায়ণ, লালরিন্দিকা (বিকাশ), মেহতাব, অবিনাশ, রফিক, জিতেন (নিখিল), ডং।
আইওসি-তে নীতা অম্বানি: প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে রিওতে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স কমিটির (আইওসি) সদস্য নির্বাচিত হলেন নীতা অম্বানি। এ দিন আইওসি-র তরফ থেকে এটাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর সত্তর বছর বয়স অবধি আইওসি-র সদস্য থাকতে পারবেন নীতা। আইওসি আরও জানিয়েছে, নীতাকে তাঁদের সদস্যপদ দেওয়া হয়েছে ব্যক্তিগত বিভাগে। আইওসি-র এই সদস্যপদ পাওয়ায় স্বভাবতই খুশি নীতা। মিডিয়ার কাছে এ প্রসঙ্গে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘এক জন ভারতীয় মহিলা হিসেবে এই সম্মান পাওয়ায় আমি গর্বিত। খেলাধূলাই সমাজ গড়ে বলে আমার বিশ্বাস। আশা রাখি, আগামী দিনে গোটা দেশে অলিম্পিক্সের স্পিরিট এবং খেলাধূলার গুরুত্ব বাড়াতে পারব।’’