পিঠে বড় চোট নিয়েই ফাইনালে খেলেন এমবাপে

স্বয়ং পেলে বিশ্বকাপের সময় টুইট করেছিলেন, এমবাপের খেলা দেখতে দেখতে তাঁর নিজেরেই বুট পরে মাঠে নেমে পড়তে ইচ্ছে করছে। সঙ্গে তাঁর রসিকতাটা ছিল, ‘‘না হলে আমার কোনও রেকর্ডই আর অক্ষত রাখবে না ছেলেটা।’’

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৮ ০৫:১০
Share:

লড়াকু: বিশ্বকাপে নিজের চোটের কথা বিপক্ষ দলকে জানতেই দেননি এমবাপে। —ফাইল চিত্র।

ফ্রান্স বিশ্বকাপ দলের কোচ দিদিয়ে দেশঁ বলেছেন, থিয়েরি অঁরিও উনিশ বছর বয়সে ফুটবলটা কিলিয়ান এমবাপের মতো ভাল খেলতেন না।

Advertisement

স্বয়ং পেলে বিশ্বকাপের সময় টুইট করেছিলেন, এমবাপের খেলা দেখতে দেখতে তাঁর নিজেরেই বুট পরে মাঠে নেমে পড়তে ইচ্ছে করছে। সঙ্গে তাঁর রসিকতাটা ছিল, ‘‘না হলে আমার কোনও রেকর্ডই আর অক্ষত রাখবে না ছেলেটা।’’

ব্রাজিলে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে সব চেয়ে সম্ভাবনাময় ফুটবলারের পুরস্কার পেয়েছিলেন পল পোগবা। রাশিয়া বিশ্বকাপে যে পুরস্কারটা পেয়েছেন এমবাপে। পোগবা যা নিয়ে বলেছেন, ‘‘একই পুরস্কার আমিও পেয়েছি। কিন্তু তখন আমার খেলা মোটেই কিলিয়ানের মতো পরিণত ছিল না।’’

Advertisement

এমবাপেকে নিয়ে এখন চারদিকেই হইচই। তাঁকে নিয়ে এতটা উৎসাহের আর একটা কারণ বিশ্বকাপ ফাইনালে তিনি মাত্র উনিশ বছর বয়সেই গোল করেছেন। অথচ আশ্চর্যের ব্যাপার, তিনি মস্কোয় ফাইনাল ম্যাচটা খেলেছিলেন পিঠে মারাত্মক চোট নিয়ে। ফাইনালে ফ্রান্স ক্রোয়েশিয়াকে হারায় ৪-২ গোলে। ফ্রান্সের হয়ে চতুর্থ গোলটি করেন এমবাপে। অথচ তখন তাঁর পিঠের তিনটি কশেরুকা নির্দিষ্ট জায়গা থেকে সরে যাওয়া অবস্থায় ছিল।

অবশ্য বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল ম্যাচের তিন দিন আগেই তিনি অনুশীলনে পিঠে চোটটা পেয়েছিলেন। ফ্রান্সের এক পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্যারিস সাঁ জারমাঁ-র এই স্ট্রাইকার বলেছেন, ‘‘সব চেয়ে জরুরি ব্যাপার ছিল কোনও ভাবেই, যেন বিপক্ষ দলের এই খবরটা না পেয়ে যায়। সেটা পেলেই ওরা সচেতন হয়ে অন্য রকম রণনীতি নিত। ইচ্ছে করেই হয়তো আমার চোটের জায়গায় আবার আঘাত করত। এই সুবিধাটা ওদের নিতে দেওয়া হয়নি। এই একটাই কারণেই আমাদের দল পুরো বিষয়টাকে গোপন রেখেছিল।’’

এমনিতে রাশিয়া বিশ্বকাপে এমবাপে নিজে চারটি গোল করেছেন। সেরা সম্ভাবনাময়ের পুরস্কার তো পেয়েছেনই। তাঁর খেলা সব চেয়ে বেশি নজর কেড়েছে ফ্রান্স-আর্জেন্টিনা ম্যাচে। যে ম্যাচে পোগবারা ৪-৩ গোলে জেতেন। ওই ম্যাচেই তিনি পেলের পরে সব চেয়ে কম বয়সে বিশ্বকাপের কোনও ম্যাচে জোড়া গোল করার নজির গড়েন।

এমবাপে এখন ফিফার সেরা ফুটবলার হওয়ার দাবিদার (সোনার বল জয়ী)। অন্য দাবিদারদের মধ্যে আছেন, নেমার দা সিলভা স্যান্টোস (জুনিয়র), ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, লুকা মদ্রিচ, রাফায়েল ভারানরা। মনোনীত দশ জনের মধ্যে আছে এমবাপের নামও। বলা হচ্ছে, তিনি এ বার ‘ব্যালন ডি’ওর’ জিতে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। এবং ইংল্যান্ডের প্রাক্তন তারকা রিয়ো ফার্দিনান্দের দাবি, এ বার যাই হোক এই পুরস্কারটা পাওয়ার ক্ষেত্রে লিয়োনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর একাধিপত্য একদিন শেষ করে দেবেন এমবাপেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন