গোলের পর মার্সেলোর উচ্ছ্বাস। ছবি: এএফপি।
রিয়েল মাদ্রিদ ৩ (অলিভিয়েরা, আসেনসিও, মার্সেলো)
এইবার ০
তিন গোলে জয়। এবং সহজ জয়। লা লিগায় এইবারকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দিল রিয়েল মাদ্রিদ। যদিও গোল এল না রোনাল্ডোর পা থেকে। কিন্তু তিনি মাঠে ছিলেন খেলাটাও চালালেন।তাই গোল করে গেলেন বাকি তিনজন। রিয়েল মাদ্রিদের তিন স্ট্রাইকারকে আটকাতে পাঁচ ডিফেন্সে দল সাজিয়েছিলেন এইবার কোচ। তাও আটকানো গেল মার্সেলো, আসেনসিওদের। অতিরিক্ত রক্ষণাত্মক হতে গিয়ে শুরুতেই গোল হজম করে বসল এইবার। হোম টিম গোলের মুখ খুলল ১৮ মিনিটে। যখন প্রথম কর্নার পেল রিয়েল মাদ্রিদ। ইসকোকে লক্ষ্য করে আসেনসিওর কর্নার প্রতিপক্ষের গায়ে ধাক্কা খেয়ে কয়েক সেকেন্ডের জন্য বাইরে এলেও পুরোপুরি ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ এইবার রক্ষণ। সেই বল পেয়ে যান র্যামোস। র্যামোসের পা থেকে আসা অলিভিয়েরা শট সরাসরি চলে যায় গোলে।
আরও পড়ুন
১০ মিনিটের মধ্যেই আবারও গোল। এ বার কারিগর মার্কো আসেনসিও। ২৮ মিনিটে ইস্কোর একটা অসাধারণ কর্ণার থেকে আসেনসিওর হাফ ভলি ডানদিকের কোনা দিয়ে চলে যায় গোলে। এইবার গোলের নিচে দিমিত্রোভিচের কিছুই করার ছিল না। বের্নাবিউতে তখনই শুরু হয়ে যা জয়ের উৎসব। ৩০ মিনিটে গোল করতে পারতেন স্বয়ং রোনাল্ডো। কিন্তু অফ সাইডের কবলে পড়ে তেমনটা আর হয়নি। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করে রিয়েল মাদ্রিদ।
আরও পড়ুন
রুনির গোলেও হার, বিতর্কে নেমার
যে ভাবে প্রথমার্ধ শেষ করেছিল দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে সেই ছন্দে পাওয়া যায়নি রিয়েলকে। কিছুটা রক্ষণাত্মক, অনেকটা ব্যবধান ধরে রাখার চেষ্টায় তৃতীয় গোল পেতে রোনাল্ডোদের লেগে যায় ৮২ মিনিট। মার্সেলোর গোলে ৩-০ করেই ম্যাচ শেষ করে রিয়েল। বাঁ দিক থেকে বেঞ্জেমার সঙ্গে ওয়ান টাচ খেলে বল নিয়ে গোলের কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন মার্সেলো। বক্সের মধ্যে থেকেই মার্সেলোর বাঁ পায়ের শট বাঁচাতে সঠিক দিকেই ঝাঁপিয়েছিলেন দিমিত্রোভিচ। কিন্তু বলের নাগাল পাননি। এখানেই শেষ হয়ে যায়। এখান থেকে ম্যাচে ফেরার আর কোনও রাস্তা ছিল না এইবারের সামনে। পুরো ম্যাচেও সেই ইঙ্গিত কখনও দেয়নি রিয়েলের প্রতিপক্ষ।