Shyam Sundar Mitra

চলে গেলেন শ্যামসুন্দর মিত্র, বাংলার ক্রিকেটে শোকের ছায়া

শোকের ছায়া বাংলার ক্রিকেটে। চলে গেলেন বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার শ্যামসুন্দর মিত্র।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০১৯ ১৫:২৬
Share:

আজ সকালেই প্রয়াত হলেন বাংলার এই ক্রিকেটার। ফাইল চিত্র

আজ সকালে বিষাদের ছায়া বাংলার ক্রিকেট মহলে। ৮২ বছর বয়সে চলে গেলেন বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার শ্যামসুন্দর মিত্র।

Advertisement

বাংলার হয়ে ১৯৫৮ সাল থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত খেলেছিলেন এই ব্যাটসম্যান। মোট ৫৯টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। ৭৮টি ইনিংস খেলে তিনি মোট ৩,০৫৮ রান করেছিলেন। ক্রিকেট কেরিয়ারে তাঁর শতরানের সংখ্যা ৭। অর্ধ শতরান করেছেন ১৭ টি। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বল হাতেও তিনি ছিলেন কার্যকর। কেরিয়ারে মোট ১৫টি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।

১৯৩৬ সালের ৮ নভেম্বর জন্ম শ্যামসুন্দর মিত্রের। বাংলার ক্রিকেট মহলে তিনি ‘শামুদা’ নামেই পরিচিত। জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারতেন তিনি। একবার শ্যামসুন্দর মিত্র বলেছিলেন, ‘‘মোহনবাগানে খেলার জন্য আমি আর জাতীয় দলে সুযোগ পাইনি।’’ খবরের ভিতরের খবর হল, সেই সময়ে ভারতীয় বোর্ডে স্পোর্টিং ইউনিয়নের এক কর্তার দাপট ছিল। সেই কর্তা স্পোর্টিং ইউনিয়ন ক্লাবে খেলার কথা বলেছিলেন শ্যামসুন্দর মিত্রকে। কিন্তু, মোহনবাগান ছেড়ে স্পোর্টিং ইউনিয়নে যাননি এই ক্রিকেটার। ফলে ভারতীয় দলেও ডাক পাননি তিনি।

Advertisement

বাংলার হয়ে অসাধারণ সব ইনিংস খেলেছেন শ্যামসুন্দর মিত্র। বিহারের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে রঞ্জি অভিষেক ঘটেছিল শ্যামসুন্দর মিত্রের। ১৯৬৮ সালে রঞ্জি ট্রফিতে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে তাঁর অপরাজিত ১৩৫ রানের ইনিংস এখনও মনে রয়েছে সুনীল গাওস্করের।

১৯৬৩ সালের রঞ্জি ট্রফিতে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে শ্যামসুন্দর মিত্র ভাঙা কব্জি নিয়ে ৯৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। সে বার ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড চার জন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ফাস্ট বোলারকে ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডাকসাইটে ফাস্ট বোলার রয় গিলক্রিস্ট হায়দরাবাদের হয়ে খেলেছিলেন। গিলক্রিস্টের আগুনে বোলিং সামলে শ্যামসুন্দর মিত্র ৯৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। যদিও সেই ম্যাচে পঙ্কজ রায় দু’ ইনিংসে শতরান করেছিলেন। কিন্তু, শ্যামসুন্দর মিত্রের ধৈর্যশীল ইনিংস নিয়ে এখনও চর্চা হয় ভারতীয় ক্রিকেটে। বঙ্গক্রিকেট তাঁর অবদানের জন্য সিএবি-র তরফ থেকে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট সম্মান দেওয়া হয় তাঁকে। বছরখানেক ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। আজ, বৃহস্পতিবার থেমে গেল ময়দানের প্রিয় ‘শামুদা’র লড়াই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন