অবসর ভেঙে ফিরেও কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছিল লিওনেল মেসিকে। দিয়েগো মারাদোনার মতো কিংবদন্তি এলএম টেনের প্রত্যাবর্তনের পিছনে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পেয়েছিলেন।
সমালোচকরা যখন মেসিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন, আর্জেন্তাইন রাজপুত্র পাশে পেলেন তাঁর প্রিয় বন্ধুকে। মেসি না ফিরলে যিনি নিজেও অবসর নিতেন। তাই তো এলএম টেন ফিরে তাঁকেও বাঁচিয়েছেন অবসরের হাত থেকে। তিনি— জাভিয়ার মাসচেরানো। বলছেন, ‘‘মেসি ফিরে আমাকে অবসর থেকে বাঁচিয়েছে,’’ বলে দিচ্ছেন আর্জেন্তিনার মাঝমাঠের প্লেয়ার। শুক্রবার উরুগুয়ের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারে নামছে আর্জেন্তিনা। তার আগে সাংবাদিক সম্মেলনে মাসচেরানো সাফ জানিয়ে দিলেন, এলএম টেন ছাড়া আর্জেন্তিনা কিছুই না। ‘‘মেসির খেলা না দেখা মানে তো আর্জেন্তাইদের কাছে পাপ। তাই মেসি ফেরায় আমি খুব খুশি। গোটা দল ভাবছিল মেসি ফিরবে তো,’’ বলছেন মাসচেরানো।
মেসি হঠাৎ করে অবসর ঘোষণা করার পর জল্পনা উঠেছিল আগেরো, মাসচেরানোরাও নাকি দেশের হয়ে আর খেলবেন না। কিন্তু এলএম টেনের প্রত্যাবর্তন পুরো পরিস্থিতিটাই পাল্টে দিয়েছে। টেনশনের চোরাস্রোতের বদলে এখন আর্জেন্তিনা দলে ফের একাত্মতার আবহাওয়া। মাসচেরানো বলছেন, ‘‘যখন আমার সতীর্থ আর প্রিয় বন্ধু অবসর নিল বাকিরাও ভেবেছিলাম কী করব। কিন্তু শেষমেশ সমস্যা মিটল। দেশের প্রতি ভালবাসাই মেসিকে ফিরিয়ে আনল।’’তিনটে ফাইনালে হার। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়া বিশ্বকাপই আর্জেন্তিনার বর্তমান প্রজন্মের কাছে শেষ সুযোগ ট্রফি জেতার। কিন্তু মাসচেরানো সেটা মানতে নারাজ। আর্জেন্তিনার হয়ে একশোর উপর ম্যাচ খেলা মাসচেরানো বলছেন, ‘‘তিনটে ফাইনাল হেরে যাওয়ার দুঃখ আছে। কিন্তু তিনটে ফাইনালে যাওয়াও তো বড় ব্যাপার। তার মানে আমরা সঠিক পথেই এগোচ্ছি।’’
এলএম টেনের মতো মাসচেরানোও বহু যন্ত্রণার সাক্ষী ছিলেন। দুটো কোপা হারা হোক বা বিশ্বকাপ ফাইনাল। কিন্তু দেশের ডাক তিনি কোনও দিন ফেরাবেন না। মাসচেরানো বলছেন, ‘‘আমারও খারাপ লেগেছে ট্রফি জিততে না পেরে। কিন্তু দেশ যত বার ডাকবে আমি আছি।’’