আগামী বছর ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলা নিয়ে আচমকা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়ে গেল। আর তা তৈরি করে দিলেন স্বয়ং বোর্ড প্রেসিডেন্ট অনুরাগ ঠাকুর।
ইডেনে সোমবার অনুরাগ বলে দেন, ‘‘লোঢা কমিশনের রিপোর্ট পুরো মানলে ভারতের পক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলা হবে কি না জানি না। কমিশনের রিপোর্ট অনুসারে আইপিএলের আগে ও পরে পনেরো দিনের উইন্ডো ছেড়ে রাখতে হবে। আইপিএলের আগে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ আছে। আইপিএলের পরপরই আবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তাই আমাদের ঠিক করতে হবে কোনটা ঠিক খেলব? আইপিএল? না চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি?’’ আইপিএলকে কি অন্য কোনও উইন্ডোয় আনা যায় জিজ্ঞেস করায় বোর্ড প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘সেটা আপনারাই বলুন কী ভাবে সম্ভব? আমরা করে দেব।’’ অনুরাগ ইঙ্গিত দেন, এটা এককালীন সমস্যা নয়। এ বারেই আটকে থাকবে না। বরং বারবার ঘটতে পারে।
পাশাপাশি লোঢা কমিশন নির্দেশিত সংস্কার নিয়েও মুখ খোলেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট। বলেন, ‘‘বোর্ড কিন্তু সংস্কার করেছে। গত আঠারো মাসে সেটা প্রচুর হয়েছে। আমি সচিন, সৌরভ, লক্ষ্মণদের নিয়ে ক্রিকেট অ্যাডভাইসরি কমিটি তৈরি করেছি। কুম্বলে-দ্রাবিড়ের মতো ব্যক্তিত্বকে কোচিংয়ে আনা হয়েছে। সিইও নিয়োগ করা হয়েছে।’’ অনুরাগ বলে দেন যে, লোঢা নির্দেশিত সংস্কার যে একেবারে মানা হচ্ছে না তা নয়। ক্যাগ নিয়োগের মতো কিছু জিনিস মানা হচ্ছে। ‘‘শুধু সর্বোচ্চ ন’বছর প্রশাসনে থাকা নিয়ে নির্দেশিকা, কুলিং অফ পিরিয়ড, সত্তর বছরের বয়সসীমা, এক রাজ্য এক ভোট নিয়ে নিয়ে বোর্ড সদস্যদের আপত্তি আছে। কুলিং অফ পিরিয়ড যদি চালু হয়, তা হলে বোর্ড বা রাজ্য ক্রিকেট সংস্থায় কোনও কন্টিনিউটি থাকবে কি? বোর্ডে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কেউও তো থাকবে না।’’
একই সঙ্গে বোর্ড প্রেসিডেন্ট জানিয়ে দেন, ডিআরএস ব্যবহার নিয়ে ভারতের কোনও ছুৎমার্গ নেই। যদি তা একশো শতাংশ নিখুঁত হয়, মেনে নেবে বোর্ড। বলেন, ‘‘ডিআরএস আমরা আবার খতিয়ে দেখব। যদি দেখি তা সন্তোষজনক, আমাদের মেনে নিতে কোনও আপত্তি নেই।’’ অনুরাগ জানিয়ে দেন যে, ব্যাপারটা ভারতের কোচ অনিল কুম্বলে দেখছেন। ‘‘কুম্বলে ক্রিকেট কমিটির প্রতিনিধি। ও বিরাটের সঙ্গে কথা বলে এটা নিয়ে আমাদের পরামর্শ দেবে।”