ক্রিকেটের পর এ বারে রাজনীতির মাঠে ব্যাট হাতে নামলেন গৌতম গম্ভীর। যোগ দিলেন বিজেপিতে। ভোটে লড়তে পারেন নয়াদিল্লি আসন থেকে।
এর আগে নভজ্যোৎ সিংহ সিধুকে বিজেপিতে নিয়ে এসেছিলেন অরুণ জেটলি। কিন্তু পরে কংগ্রেসে ভিড়েছেন সিধু। এ বারেও ভোটের আগে গম্ভীরকে আনলেন জেটলি। গত ডিসেম্বরে ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর গম্ভীরের প্রশস্তি করে একটি চিঠি লিখেছিলেন খোদ নরেন্দ্র মোদী। শুধু ক্রিকেটে অবদানের জন্য নয়, তাঁর ‘জাতীয়তাবাদের ভাবনা ও সমাজসেবা’রও তারিফ করেছিলেন।
আজ দিল্লিতে বিজেপি দফতরে জেটলি আর রবিশঙ্কর প্রসাদের উপস্থিতিতেই বিজেপিতে যোগ দেন গম্ভীর। দেখা করেন অমিত শাহের সঙ্গেও। সাংবাদিক সম্মেলনে জেটলিকে ‘স্যর’ সম্বোধন করে গম্ভীর বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গিকে ভালবেসেই বিজেপিতে এসেছি। রাজনীতির মঞ্চেও দেশের জন্য কাজ করব।’’ গম্ভীরের পর ক্রিকেটার হরভজন সিংহ, অভিনেত্রী পুনম ধিলোঁ, পঞ্জাবের গুরুদাসপুর আসন থেকে বিনোদ খন্নার স্ত্রী কবিতা কিংবা অক্ষয় খন্নার নাম নিয়েও আলোচনা চলছে বিজেপিতে। কিন্তু বিজেপির কাছে সমস্যা হল— ভোটের সময় দলে আসা এমন তারকাদের অনেকেই চিরস্থায়ী হন না।
তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, বিচারধারার সঙ্গে না মিললে অন্য দলে চলে যাবেন না তো গম্ভীর? সিধুর ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ যে এখনও ভোলেননি, জেটলির কথাতেই স্পষ্ট। বললেন, ‘‘পাকিস্তানের সঙ্গে ম্যাচের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সময় গৌতম গম্ভীরের টুইট যদি দেখেন, তা হলেই বুঝবেন। তা না হলে আমার অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা গিয়েছে, অনেকে পাকিস্তানের সহমর্মীও হয়েছেন।’’
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
দিল্লিতেই জন্ম গম্ভীরের। পড়াশোনা, ক্রিকেটের হাতেখড়িও রাজধানীতে। ভারতীয় দলের পাশাপাশি রঞ্জি ট্রফিও খেলেছেন দিল্লির হয়ে। ৫৮টি টেস্ট ম্যাচ, দেড়শো এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে ১১ হাজার রানের পর এ বারে রাজনীতির বাইশ গজে। তবে কি দ্রুত গম্ভীরের প্রার্থী হওয়ার ঘোষণাও হয়ে যাবে? জেটলি বললেন, ‘‘সেটি দলের নির্বাচন কমিটি স্থির করবে।’’ কিন্তু নয়াদিল্লি থেকে গম্ভীর প্রার্থী হলে কোপ পড়বে সাংসদ মীনাক্ষী লেখির উপরে।