লোঢা ও ইসিবি-র মেলে উদ্বেগ বাড়ছে সিরিজ নিয়ে

প্রথমে লোঢা কমিটির নির্দেশ ও পরে ইসিবি প্রধান জাইলস ক্লার্কের ভারতীয় বোর্ডকে পাঠানে উদ্বেগের ই-মেল— এই জোড়া ঘটনায় ফের আসন্ন ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ ব্যাকফুটে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০১৭ ০৩:৪৬
Share:

প্রথমে লোঢা কমিটির নির্দেশ ও পরে ইসিবি প্রধান জাইলস ক্লার্কের ভারতীয় বোর্ডকে পাঠানে উদ্বেগের ই-মেল— এই জোড়া ঘটনায় ফের আসন্ন ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ ব্যাকফুটে। সিরিজের আকাশে হাল্কা করে হলেও জমতে শুরু করেছে অনিশ্চয়তার মেঘ।

Advertisement

ওয়ান ডে সিরিজে অসহযোগিতার আশঙ্কা যে উড়িয়ে দিচ্ছে না লোঢা কমিটি, তা বোঝা যাচ্ছে। সারা দেশের ক্রিকেট প্রশাসনে বাতিল কর্তাদের হুমকিতে যে কমিটি কিছুটা হলেও উদ্বিগ্ন, বুধবার বোর্ডকে দেওয়া এক নির্দেশে তেমনই ইঙ্গিত পাওয়া গেল। এ দিন বোর্ডের সিইও রাহুল জোহরিকে নির্দেশ দেওয়া হয়, আসন্ন আন্তর্জাতিক সিরিজের ম্যাচগুলো যারা আয়োজন করছে, তাদের কাছ থেকে এমন এক লিখিত নিশ্চয়তা আনতে, যাতে বলা থাকবে, ম্যাচ আয়োজনে কোনও বাধা বা সমস্যা সৃষ্টি হবে না।

সিরিজের প্রথম ম্যাচই যেখানে, সেই পুণের সংগঠকদের এক প্রভাবশালী কর্তা, প্রাক্তন বোর্ড সচিব অজয় শিরকে ইতিমধ্যেই ইংল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট জাইলস ক্লার্ককে ফোন করে দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছেন। ক্লার্ক নিজেই সেই ফোনের কথা উল্লেখ করে বোর্ডের সিইও-র কাছে ই-মেল পাঠিয়েছেন এই বলে যে, ‘‘দয়া করে আমাদের নিশ্চয়তা দিন যে আসন্ন সিরিজে ইংল্যান্ড দলের দেখাশোনার দায়িত্ব বোর্ড ঠিক করে নিতে পারবে কি না? আমাকে তো মিস্টার অজয় শিরকে, যিনি এখন বোধহয় আর বোর্ড সচিব নন, তিনি ফোন করেছিলেন।’’ শিরকের ফোনেই নড়েচড়ে বসেছে ইসিবি, তার ইঙ্গিত জাইলসের এই ই-মেলে স্পষ্ট। যেখানে তিনিও বোর্ডের কাছ থেকে দলের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ ও ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চেয়েছেন। এক ক্রিকেট ওয়েবসাইটের খবর অনুযায়ী, পাল্টা ই-মেল দিয়ে বিসিসিআই ইসিবি-কে সব রকম নিশ্চয়তা দিলেও প্রশ্ন একটা থেকেই যাচ্ছে।

Advertisement

জাইলসের প্রশ্নের জবাব জোহরির নিজে দায়িত্ব নিয়ে দিতে পারলেও এ দিন দিল্লিতে নিজেদের এক বৈঠকের পর লোঢা কমিটি বোর্ড সিইও-কে যা জোগাড় করে আনতে বলল, তা তো আর বোর্ডের নিজেদের হাতে নয়, রাজ্য সংস্থাগুলোর হাতে। যেখানে বাতিল হয়ে যাওয়া কর্তাদের ভিড় থিকথিক করছে।

শোনা যাচ্ছে, তাঁদের অনেকের প্ররোচনায় বোর্ড মহলে ও আয়োজক সংস্থাগুলোর কেউ কেউ স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন তুলেছে, নিশ্চয়তা দিতে না পারলে কি তাদের কাছ থেকে ম্যাচের দায়িত্ব কেড়ে নেওয়া হবে? যার কোনও ব্যাখ্যা বুধবার রাত পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ নতুন করে ফের এক জট। এ দিন কমিটি এই লিখিত নিশ্চয়তা চাওয়ায় ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের আকাশে ফের কালো মেঘ দেখা যাচ্ছে। প্রথম ম্যাচের আয়োজকরাই এই নিশ্চয়তা দিতে পারবেন কি না, তা নিয়েই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বলে খবর। কারণ সেখানে যে রয়েছেন অজয় শিরকে স্বয়ং।

প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিন প্রেসিডেন্ট পদে তাঁর মনোনয়নপত্র পেশ করে হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার নির্বাচন ১৭ জানুয়ারি সেরে নেওয়ার আইনি অনুমতি পেয়ে গিয়েছেন বলে দাবি করলেও এ দিন আবার লোঢা কমিটি কার্যত জানিয়ে দিয়েছে ১৯ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত রায় বেরনোর আগে তা করা যাবে না। রাজস্থান ক্রিকেট সংস্থার ক্ষেত্রেও একই কথা বলেছে তারা।

প্রথমে বেঙ্গালুরুতে বাতিল কর্তাদের মহাবৈঠক। তার পর বোর্ডের প্রাক্তন যুগ্মসচিব অমিতাভ চৌধুরীর জাতীয় নির্বাচকদের বৈঠক ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা। তামিলনাড়ু ক্রিকেট সংস্থার ভারত-ইংল্যান্ড যুব ম্যাচ করতে না চাওয়া ও সেই চিঠিতে এন শ্রীনিবাসনের নাম সংস্থার প্রেসিডেন্ট হিসেবে থাকা। এ সবের পর এ বার ইংরেজ বোর্ডের প্রেসিডেন্টকে অজয় শিরকের ফোন। অদূর ভবিষ্যতে আরও কত কী ঘটবে? এটাই এখন ভারতীয় ক্রিকেট মহলে কোটি টাকার প্রশ্ন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন