ম্যাচের কয়েক ঘণ্টা আগে বিদ্যুৎ গতিতে ছড়িয়ে পড়েছিল খবরটা। তা হল, সোমবার রাতে ম্যাঞ্চেস্টারে জঙ্গি হানার জেরে বাতিল হতে পারে বুধবারের ইউরোপা কাপ ফাইনাল। যদিও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। ফাইনালে দাপটের সঙ্গে আয়াখ্স-কে ২-০ হারিয়েই ইউরোপা কাপ ঘরে তুলল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। দুই অর্ধে জোসে মোরিনহোর দলের হয়ে গোল করলেন পল পোগবা এবং হেনরিখ মাখিতারিয়ান। এই জয়ের ফলে আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার টিকিটও এ দিন চূড়ান্ত করে ফেলল জোসে মোরিনহোর দল।
আয়াখ্স-এর বিরুদ্ধে সেই মেগা ম্যাচের আগে যদিও ম্যান ইউ সমর্থকদের শরীরটা স্ক্যান্ডেনেভিয়ার দেশ সুইডেনে থাকলেও। মনটা রয়ে গিয়েছে সেই ম্যাঞ্চেস্টারে। নেপথ্যে ছিল সোমবার রাতে ম্যাঞ্চেস্টার এরিনায় জঙ্গিহানা। ম্যাচ শুরুর আগে ওই ঘটনায় নিহতদের স্মরণে নীরবতা পালনও করেন ম্যান ইউ ফুটবলাররা।
বুধবার সকালেও খেলা দেখতে আসা ব্রিটিশ নাগরিকরা শোকস্তব্ধ। এদেরই একজন অ্যান্ড্রু ডসন। তিরিশ বছরের এই ম্যান ইউ সমর্থক বলছিলেন, ‘‘লন্ডনে থাকলেও আমার আদি বাড়ি ম্যাঞ্চেস্টারে। যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে তার থেকে ঠিক পাঁচ মিনিট হাঁটলেই আমাদের বাড়ি। যেখানে বাবা-মা থাকেন। সোমবার রাতেই এখানে এসেছি। কিন্তু তার পরেই খবরটা পেয়ে নিজেকে ঠিক রাখতে পারিনি। বাবা-মা বিপদে পড়েননি। কিন্তু ওই আতঙ্কের আবহ থেকে এখনও নিজেকে বার করে আনতে পারিনি। শুধু আমি একা নই। র্যাশফোর্ড এবং লিনগার্ডের বাড়িও ঘটনাস্থলের খুব কাছে। জানি না ওই ঘটনার পর ফুটবলাররা কী ভাবে নিজেদের শান্ত রাখবে।’’
আরও পড়ুন: জরিমানাসহ হাজত বাসের নির্দেশ মেসিকে
ম্যাঞ্চেস্টারের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মর্মাহত ম্যান ইউ-এর প্রাক্তন ফুটবলার এরিক কঁতোনাও। ম্যাঞ্চেস্টার সমৈর্থকদের প্রিয় ‘কিংগ এরিক’। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘‘যাঁরা মারা গিয়েছেন বা আহত হয়েছেন তাঁদের পাশেই রয়েছি আমি। কারণ খেলোয়াড়জীবন থেকেই ওরা আমার প্রিয়। এই আঘাত আমার উপরেও। কারণ ম্যাঞ্চেস্টারের সকল মানুষ আমার হৃদয়েই থাকেন।’’