East Bengal

‘ইস্টবেঙ্গলে মার্কোস খুশি হলে আমরাও খুশি’

৩৩ বছর বয়সি স্ট্রাইকারকে দেখতে বিমানবন্দরে ছিল লাল-হলুদ সমর্থকদের ভিড়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০১৯ ১৯:০৬
Share:

বিমানবন্দরে মার্কোস।

শহরে চলে এলেন ইস্টবেঙ্গলের বিদেশি স্ট্রাইকার মার্কোস দে লা এসপাড়া। রবিবার দমদম বিমানবন্দরে বিকেল চারটের সময় তাঁর পা রাখার কথা ছিল। বিমান দেরি করায় দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছতে পৌঁছতে মার্কোসের সন্ধে হয়ে যায়।

Advertisement

৩৩ বছর বয়সি স্ট্রাইকারকে দেখতে বিমানবন্দরে ছিল লাল-হলুদ সমর্থকদের ভিড়। শহরে পৌঁছে মার্কোস বলেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গলের কথা শুনেছি। ঐতিহাসিক ক্লাব। ক্লাবের ঐতিহ্য রয়েছে। সমর্থকদের উন্মাদনার কথা শুনেছি।’’

ইস্টবেঙ্গলের জার্সি পরে মাঠে নামার আগে থেকেই মার্কোসকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা শুরু করে দিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল ভক্তরা। দুরন্ত সব গোল করবেন তিনি, এই আশাই করছেন লাল-হলুদ ভক্তরা। শহরে কখন পা রাখবেন মার্কোস, সেই ব্যাপারে সোশ্যাল মিডিয়ায় এ দিন সকাল থেকেই খোঁজখবর নিচ্ছিলেন সমর্থকরা।

Advertisement

মার্কোসের বাবা মারিও স্পেনের পোলেনসা থেকে দুপুরে ফোন করেছিলেন ছেলেকে। তখন ইস্টবেঙ্গলের নবাগত স্ট্রাইকার দিল্লি বিমানবন্দরে অপেক্ষারত। মেডিসিনের চিকিৎসক মারিও আনন্দবাজারকে বলছিলেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গলে খেলে মার্কোস খুশি হলে আমরাও খুশি। ও যেখানেই খেলুক ভাল খেলুক। এটাই আমি চাই।’’ বাবা হিসেবে ছেলের কাছ থেকে এটাই চাওয়া ৬৭ বছরের চিকিৎসকের। ছেলের খেলা কি কখনও দেখেছেন? মারিও বলেন, ‘‘মার্কোসের অনেক খেলাই আমি দেখেছি।’’

আরও পড়ুন: ইস্টবেঙ্গলে স্পেনীয় স্ট্রাইকার! মায়োরকার এই ফুটবলারকে দেখা যেতে পারে লাল-হলুদ জার্সিতে

গত বার বাবার সঙ্গে কলকাতায় এসেছিলেন হাইমে স্যান্টোস কোলাডো। ডার্বির আগে ছেলেকে রেখে স্পেনে ফিরে গিয়েছিলেন আন্তোনিও। সেখানে বসেই জানতে পারেন প্রথম ডার্বিতেই নজর কাড়েন ছেলে হাইমে। মার্কোসের বাবা মারিও জানেন, কলকাতার দুই বটবৃক্ষ ক্লাবের কথা। খেলার মাঠে ইস্ট-মোহনের রেষারেষির কথা মারিও শুনেছেন। মার্কোসের বাবা বলছিলেন, ‘‘জানেন, আমি যখন স্কুলে পড়তাম তখন নয়া দিল্লিকে নুয়েভা দিল্লি বলতাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার আগে পর্যন্ত আমিও ফুটবল খেলেছি।’’ তার পর আর ফুটবলে পা দেননি মারিও। ছেলে মার্কোস এখন শহর কলকাতায়। শহরে না এসেও মারিওর মন পড়ে এই শহরেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন