অভিষেক ম্যাচে নজর কাড়তে ব্যর্থ মার্কোস

এ দিনই প্রথম খেললেন ইস্টবেঙ্গলের নবাগত স্পেনীয় ফুটবলার মার্কোস খিমেনেস দে লা এস্পারা। তবে বর্ষার মাঠে প্রথম ম্যাচেই নজর কাড়তে ব্যর্থ তিনি।

Advertisement

দেবাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০১৯ ০৪:২৫
Share:

ছন্দে: গোল করে ও করিয়ে খুশি কোলাদো। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

খেলার আগে প্রবল বৃষ্টি হওয়ায় বেলা তিনটেয় যখন ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা, তখন ইস্টবেঙ্গল মাঠের বেশ কিছু জায়গায় বল গড়াচ্ছিল না। ম্যাচটা তাই প্রথমে নাকি খেলতেই চাইছিলেন না ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক লালরিনডিকা রালতে। শোনা যাচ্ছে, এতে নাকি সায় ছিল ইস্টবেঙ্গল কোচেরও। প্রেসবক্স থেকে দেখা যাচ্ছিল, ম্যাচ কমিশনার সুদেষ্ণা মুখোপাধ্যায় ও রেফারি রঞ্জিত বক্সির সঙ্গে বার বার আলোচনা করছেন ডিকা।

Advertisement

বিএসএস যদিও শুরু থেকেই খেলার পক্ষে ছিল। বাধ্য হয়েই তাই পরবর্তী আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করেন রেফারি ও ম্যাচ কমিশনার। শেষ পর্যন্ত মাঠ খেলার উপযুক্ত হলে নির্ধারিত সময়ের ৪১ মিনিট পরে শুরু হয় ইস্টবেঙ্গল বনাম বিএসএস দ্বৈরথ। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে মাঠের বাইরেও ছিল ঘটনার ঘনঘটা। পূর্ত দফতর ও আইএফএ-র যোগাযোগের অভাবে প্রেসবক্স তালাবন্ধ ছিল। পরে খবর পেয়ে ছুটে এসে তালা খোলেন পূর্ত দফতরের কর্মীরা।

ম্যাচে অবশ্য আলেসান্দ্রো মেনেন্দেসের দলকে গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ডুরান্ড থেকে সেমিফাইনালে বিদায় নেওয়ার পরে শনিবারই অনুশীলনের পরে ইস্টবেঙ্গল কোচ ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, বিএসএস-এর বিরুদ্ধে শুরুতে গোল তুলে নিতে চান। সেই পরিকল্পনা মতোই ১৭ মিনিটে ডান দিক থেকে ব্রেন্ডনের ক্রস গোড়ালি দিয়ে বিপন্মুক্ত করতে গিয়ে ভুল করেছিলেন বিএসএস-এর ডিফেন্ডার ড্যানিয়েল অ্যাডো। সেই বল ধরে গোল করে যান খাইমে সান্তোস কোলাদো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও ৫৩ মিনিটে সেই কোলাদোর বাড়ানো বল ধরেই ডান পায়ের প্লেসিংয়ে ২-০ করেন ডুরান্ডে পাঁচ গোল করা বিদ্যাসাগর সিংহ। আলেসান্দ্রোর এই দলে কোলাদোই হলেন আসল লোক। যিনি খেললে সচল থাকে ইস্টবেঙ্গল। এ দিনও ঠিক তাই হয়েছে। ম্যাচের অন্তিম লগ্নে মার্তি ক্রেসপির হাতে বল লাগায় পেনাল্টি পায় বিএসএস। যেখান থেকে ব্যবধান কমান উইলিয়াম ওপোকু।

Advertisement

এ দিনই প্রথম খেললেন ইস্টবেঙ্গলের নবাগত স্পেনীয় ফুটবলার মার্কোস খিমেনেস দে লা এস্পারা। তবে বর্ষার মাঠে প্রথম ম্যাচেই নজর কাড়তে ব্যর্থ তিনি। কাদা মাঠে বল ধরতে ও ঘুরতে গিয়ে বার বার সমস্যায় পড়লেন তিনি। খেলা শেষে মার্কোস নিজেও বলে গেলেন, ‘‘বর্ষার মাঠ। তাই সে ভাবে খেলতে পারিনি। আবহাওয়া ভাল হলে নব্বই মিনিট ছন্দে খেলতে পারব।’’ ডার্বির আগে প্রেস বক্সে বসে এ দিন নব্বই মিনিট ইস্টবেঙ্গলকে জরিপ করে গেলেন মোহনবাগানের সহকারী কোচ রঞ্জন চৌধুরী। ম্যাচ শেষে তিনি ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে বলে গেলেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গল নয়। পরবর্তী ম্যাচ বিএসএসের বিরুদ্ধে। তাই ওদের দেখে গেলাম।’’

ইস্টবেঙ্গল: লালথুম্মেউইয়া রালতে, অভিষেক আম্বেকর, মার্তি ক্রেসপি, মেহতাব সিংহ (আসির আখতার), কমলপ্রীত সিংহ, তনদোম্বা সিংহ নাওরেম, লালরিনডিকা (কাশিম আইদারা), ব্রেন্ডন, কোলাদো, মার্কোস খিমেনেস দে লা এস্পারা (বৈথাং হাওকিপ), বিদ্যাসাগর সিংহ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন