Mohun Bagan

যুবভারতী হাউসফুল, ডার্বির দিনেও টিকিটের ব্যবস্থা

যখন কোচ-ফুটবলাররা শেষ মুহূর্তে প্রস্তুতিতে মত্ত, তখন মাঠের বাইরে হুঙ্কার হারছেন দুই দলের সমর্থকরা। ম্যাচের আগের দিনেও টিকিটের জন্য হাহাকার চোখে পড়ার মত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৭ ২৩:২১
Share:

ফের এক বার হাউসফুলের অপেক্ষায় যুবভারতী। ছবি: সংগৃহীত।

রাত পোহালেই মহারণ। চলতি আই লিগের প্রথম ডার্বিতে মুখোমুখি দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান। দুই দলই প্রথম ম্যাচ ড্র করায় একই পয়েন্টে দাঁড়িয়ে আগামী কাল ডার্বির লড়াইয়ে নামছে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। আই লিগের মেগা ম্যাচে নামার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে নিজেদের ঝালিয়ে নিলেন দুই দলের ফুটবলাররাই। মুখে না বললেও মাঠে যে এক ইঞ্চিও জমি কেউ ছাড়বেন না তা তাঁদের শরীরী ভাষা থেকেই স্পষ্ট।

Advertisement

যখন কোচ-ফুটবলাররা শেষ মুহূর্তে প্রস্তুতিতে মত্ত, তখন মাঠের বাইরে হুঙ্কার হারছেন দুই দলের সমর্থকরা। ম্যাচের আগের দিনেও টিকিটের জন্য হাহাকার চোখে পড়ার মত। ডার্বির জন্য প্রায় ৬৭ হাজার টিকিট বাজারে ছেড়েছে মোহনবাগান, যার অধিকাংশ টিকিটই বিক্রি হয়ে গিয়েছে। তারই মধ্যে কালো বাজারে টিকিট বিক্রির মহরাও তাক লাগানোর মত। মোহনবাগান তাবু থেকে কয়েক হাত দূরেই ব্ল্যাকারদের দেখা মিলছে। কেউ ৫০ টাকা তো কেউ ১০০ টাকা দাম চড়িয়ে বিক্রি করছেন টিকিট। তবু ডার্বিতে প্রিয় দলের খেলার সাক্ষী থাকতে চড়া দামেই সে টিকিট কিনছেন সমর্থকেরা।

আরও পড়ুন: ডার্বির আগে চাপে সঞ্জয়, হুঙ্কার ছাড়ছেন সমর্থকরা

Advertisement

আরও পড়ুন: চড়ছে পারদ, জেনে নিন ইস্ট-মোহনের সম্ভাব্য দল

এমনিতে ম্যাচ ডে-তে যুবভারতীতে টিকিট বিক্রি হবে আগে থেকেই জানানো হয়েছিল। সেখানে দূর থেকে আসা সমর্থকদের কথা মাথায় রেখে এবং অফিস-কাছারির কারণে যাঁরা আসতে পারেননি তাঁদের জন্যও রবিবার টিকিটের ব্যবস্থা করেছেন মোহনবাগান কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়ে মোহনবাগানের অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত বলেন, “বহু মানুষ আছেন যাঁরা এখনও টিকিট কিনতে পারেননি। স্টেডিয়ামের বাইরে একটা টিকিটের জন্য সমর্থকদের হাহাকার আমি নিজে দেখেছি। সে জন্য আগামী কাল প্রায় ১৫০০ টিকিট বেলেঘাটা মোড় এবং সুভাষ সরোবর থেকে বিক্রি করা হবে।”ফলে রবিবাসরীয় ডার্বিতে যুবভারতী যে হাউসফুল থাকবে সে আশাই করছেন দু’দলের কর্তৃপক্ষ। এই ডার্বি আয়োজনে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকাও খরচ হচ্ছে বলে জানান সবুজ-মেরুনের অর্থসচিব। তিনি বলেন, “বিশ্বকাপের ঢঙে ম্যাচ আয়োজন করতেই এত খরচ হচ্ছে।” পুলিশের কারণেই খরচ যে বেশি হচ্ছে তা-ও এ দিন জানান তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন