ত্রাতা: ব্যাট হাতে বাংলাকে টেনে তুললেন ঋত্বিক। ফাইল চিত্র
সেই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরাই মানরক্ষা করলেন বাংলার। অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে ৩০০ রানের ইনিংস গড়ল তারা। রঞ্জি ট্রফির এই ম্যাচের প্রথম দিন শুরুতেই ৩১-৩ হয়ে যাওয়া শেষ পর্যন্ত এখানে পৌঁছতে পারল দুই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায় ও প্রদীপ্ত প্রামানিকের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের জন্য।
ঋত্বিকের ৭৬ ও প্রদীপ্তর ৪৩ রানের ইনিংসই বাংলাকে অক্সিজেন জোগায়। তবে এই ৩০০ রানই ৩ পয়েন্ট পাওয়ার জন্য যথেষ্ট কি না, তা অবশ্য বোঝা যাচ্ছে না। কারণ, অন্ধ্র পাল্টা ব্যাট করতে নেমে দুই উইকেট হারিয়ে ১০৮ রান তুলে ফেলেছে। উইকেট ক্রমশ এমন পাটা হয়ে উঠেছে যে, বাংলার বোলাররা ৪৩ ওভারে দু’টির বেশি উইকেট তুলতে পারেননি। মুকেশ কুমার ও শাহবাজ আহমেদ একটি করে উইকেট পান।
দিনের শেষে অন্ধ্রের ওপেনার সি আর জ্ঞানেশ্বর ৬৩ রান করে অপরাজিত। সদ্য ব্যাট করতে নামা রিকি ভুই দু’বল খেলার পরেই দিনের খেলা শেষ হয়ে যায়। সোমবার সকালের পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে যদি দ্রুত একাধিক উইকেট ফেলে দিতে পারেন বাংলার বোলাররা, তা হলে তিন পয়েন্টের দিকেও এগিয়ে যেতে পারে বাংলা।
রবিবার বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি ঋত্বিক ও প্রদীপ্তর প্রশংসা করে বিশাখাপত্তনম থেকে বলেন, ‘‘ওরা সত্যিই ভাল ব্যাটিং করেছে। যে ভাবে ওরা রান তুলেছে, তাতে আমি খুব খুশি। বোলারদের লড়াইয়ের জন্য একটা সুযোগ তৈরি করে দিল ওরা।’’
প্রদীপ্তই চেন্নাইয়ে শেষ পর্যন্ত উইকেটে টিকে থেকে বাংলাকে রুদ্ধশ্বাস জয়ে পৌঁছে দিয়েছিল। মনোজ তাঁর দলের এই সফল অররাউন্ডার সম্পর্কে বলেন, ‘‘প্রদীপ্তর কাছ থেকে এমন পারফরম্যান্সই আশা করি আমরা। ও আমাদের দলের এমন একজন বোলার, যে ব্যাটিংটাও ভাল করতে পারে।’’ চেন্নাইয়ের সেই ম্যাচে ঋত্বিক তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়ে বাংলাকে জয়ের দিকে অনেকটা এগিয়ে দিয়েছিলেন। সেই দু’জনই এ বার ফের বাংলা দলের ত্রাতা হয়ে উঠলেন।
তাঁদের চেষ্টা বোলাররা সফল করতে পারবেন বলেই আশা মনোজের। বলেন, ‘‘কাল (সোমবার) প্রথম সেশনটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। উইকেটে তেমন পরিবর্তন না হলেও কাল সকালে স্যাঁতসেঁতে উইকেট কাজে লাগিয়ে যত দ্রুত সম্ভব ওদের অল আউট করাই আমাদের লক্ষ্য।’’ কিন্তু সেটা তখনই সম্ভব যদি অশোক ডিন্ডা, ইশান পোড়েলের সঙ্গে ঋত্বিক ও প্রদীপ্ত বোলিংয়েও সেরাটা দিতে পারেন।