Mirabai Chanu

ব্রোঞ্জ জিতে খুশি চানু, অভিনন্দন ক্রীড়ামন্ত্রীর

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২১ ০৪:৫২
Share:

দুরন্ত: ব্রোঞ্জ পদক নিয়ে চানু। টুইটার

এশীয় ভারোত্তোলন প্রতিযোগিতায় বিশ্বরেকর্ড গড়ে ব্রোঞ্জ জেতার পরে মীরাবাই চানু বলেছেন, ‘‘নিজের পারফরম্যান্সে খুশি।’’ শনিবার ভারতের মহিলা ভারোত্তোলক ক্লিন অ্যান্ড জার্ক বিভাগে ১১৯ কেজি ওজন তোলেন। ভেঙে দেন এই বিভাগে ১১৮ কেজি ওজন তোলার পুরনো রেকর্ড।

Advertisement

মীরাবাই একই সঙ্গে জাতীয় রেকর্ডও গড়েন ২০৫ কেজি ওজন তুলে (৮৬ কেজি স্ন্যাচ এবং ১১৯ কেজি ক্লিন অ্যান্ড জার্ক)। যে প্রয়াস তাঁকে ব্রোঞ্জ এনে দেয় এই প্রতিযোগিতায়। রবিবার টুইট করে চানু বলেছেন, ‘‘২০২১ এশীয় চ্যাম্পিয়নশিপে নিজের পারফরম্যান্সে খুশি। সবাইকে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ। কঠোর পরিশ্রম করে নিজেকে আরও উন্নত করার চেষ্টা করে যাব।’’

এদিন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজু অভিনন্দন জানিয়ে চানুকে টুইট করেন। ক্রীড়ামন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘এক বছরেরও পরে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় নেমে মীরাবাই চানু ২০৫ কেজি ওজন তুলে নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েছে এশীয় চ্যাম্পিয়নশিপে এবং ব্রোঞ্জ জিতেছে। ক্লিন অ্যান্ড জার্কে তাঁর নিখুঁত পরাফরম্যান্সও নতুন বিশ্বরেকর্ড। এ বার অলিম্পিক্সে পদক জয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে যাও মীরাবাই।’’ ক্রীড়ামন্ত্রীর টুইটের জবাবে মীরাবাই লিখেছেন, ‘‘সেরা সুযোগ সুবিধা দেওয়া এবং সমর্থন করে যাওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।’’

Advertisement

চানুর পরে রবিবার তাসখন্দে এশীয় ভারোত্তোলন প্রতিযোগিতায় পদক জিতলেন ভারতের ঝিল্লি দালবেহেরা। ৪৫ কেজি বিভাগে তিনি সোনা জেতেন। জুনিয়র বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জয়ী ঝিল্লি স্ন্যাচ বিভাগে ৬৯ কেজি এবং ক্লিন অ্যান্ড জার্ক বিভাগে ৮৮ কেজি অর্থাৎ মোট ১৫৭ কেজি ওজন তোলেন। তবে ৪৫ কেজি বিভাগ অলিম্পিক্সে নেই। এই বিভাগে রুপো জেতেন ফিলিপিন্সের মেরি ফ্লোর ডিয়াজ (১৩৫ কেজি)।

এই জয়ের ফলে গত বার এই প্রতিযোগিতায় রুপো জয়ের পারফরম্যান্সকে ছাপিয়ে গেলেন ঝিল্লি। তবে ২০১৯ সালে এই প্রতিযোগিতায় তিনি ১৬২ কেজি ওজন তুলেছিলেন। মীরাবাইয়ের পরে চলতি এশীয় ভারোত্তোলনে ভারতকে দ্বিতীয় পদক দিলেন ঝিল্লি।

২৬ বছর বয়সি মীরাবাই মণিপুরের ইম্ফলের মেয়ে। ছোটবেলা থেকেই তাঁর ভারী ওজন তোলার শক্তি নজরে পড়ে পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের। খেলাধুলো নিয়েও প্রচুর আগ্রহ ছিল মীরাবাইয়ের ছোটবেলায়। তবে তিনি প্রথমে ঠিক করেছিলেন তিরন্দাজ হবেন। তিরন্দাজি শেখার জন্য ইম্ফলের কাছে একটি কেন্দ্রে নাম লেখাতেও গিয়েছিলেন ছোটবেলায়। কিন্তু সেখানে পৌঁছনোর পরে দেখেন তিরন্দাজি কেন্দ্র বন্ধ। মীরাবাই তখন দেখেন কয়েকজনকে ভারোত্তোলনের অনুশীলন করতে। তা দেখে আকর্ষিত হন। পরে ভারোত্তোলনকেই বেছে নেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন