জনসন: দ্বিতীয় ইনিংসে ৩-২৭
অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পর তাদের আটকানো আরও কঠিন হয়ে যায়— কার্ডিফ জয় করে লর্ডসে এসেই নাকি দলের ছেলেদের এ কথা বলে সতর্ক করে দেন নতুন ইংরেজ কোচ ট্রেভর বেলিস। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। অস্ট্রেলীয় পেস আক্রমণের আগুনে রবিবার ছাই হয়ে গেল ইংল্যান্ডের দর্প।
লর্ডসের উইকেট পাটা করে সুবিধে নিতে চেয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু এই মরা বাইশ গজেই যে আগুন ঝরাবেন অজি পেসাররা, তা আর কী করে বুঝবেন অ্যালিস্টার কুক? এমন উইকেটে কী করে এ ভাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৩ রানে অলআউট হয়ে যেতে পারে ইংল্যান্ড, তা বুঝে উঠতে পারছেন না প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক ডেভিড গাওয়ার। দ্বিতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার ৪০৫ রানে জয় দেখে নাসের হুসেনের ব্যাখ্যা, ‘‘চাপের মুখে ভেঙে পড়ার রোগটা আর কিছুতেই সারল না ইংল্যান্ডের।’’
বিপক্ষের পেসারদের গনগনে আঁচে কাবু ইংরেজ ব্যাটিং লাইন আপ রবিবার, চতুর্থ দিন চা বিরতির পরই ভস্মীভূত। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫৪-২ তোলার পর অজি ক্যাপ্টেন মাইকেল ক্লার্ক ডিক্লেয়ার করে দিয়েছিলেন লাঞ্চের একটু আগে। চা বিরতির পর আর বেশিক্ষণ গড়াল না ইংরেজদের ব্যাটিংয়ের মেয়াদ। জস বাটলার ও মইন আলি— শেষ সেশনের প্রথম ওভারটাতেই যে মিচেল জনসন এই দুই শিকারে কুকদের ব্যাটিংয়ের মেরুদন্ড ভেঙে দিলেন, তাতেই ইংল্যান্ডের অক্সিজেন সরবরাহ শেষ বিন্দুতে পৌঁছল।
অস্ট্রেলিয়ার কুড়ির মধ্যে ১৭টা শিকারই পেসারদের। ‘‘এই নিষ্প্রাণ উইকেটেও কী ভাবে ফায়দা তুলতে হয়, তা অস্ট্রেলীয়দের কাছ থেকে শেখা উচিত,’’ টিভিতে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বলে দিলেন ইয়ান বোথাম। বলছিলেন, ‘‘জনসন ও স্টার্কের চোখের আগুনে যেন আমাদের ব্যাটসম্যানরা ভস্ম হয়ে গেল।’’ শেন ওয়ার্নের ভবিষ্যদ্বাণী, ‘‘এই যে ছন্দ পেয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া, এ বার ইংল্যান্ডের সিরিজে ফেরা কঠিন হবে।’’ ইংল্যান্ড ইনিংসে সর্বোচ্চ রান স্টুয়ার্ট ব্রডের (২৫)। জনসন ২৭ রান দিয়ে নিলেন তিন উইকেট।
অস্ট্রেলিয়া ব্যাট করার সময় আবার আর এক কাণ্ড। অজি ওপেনার ক্রিস রজার্স নন-স্ট্রাইকিং এন্ডে দাঁড়িয়ে মাথা ঘুরে পড়ে যান। ঘটনাটা চিন্তায় ফেলেছে অজি শিবিরকে। টেস্টের দ্বিতীয় দিন হেলমেটে আঘাত পাওয়ায় তাঁর ডান কানের উপরভাগে ক্ষত হয়। তারই জের কি না বলতে পারেননি দলের ডাক্তাররা। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি। তবে আর ব্যাট করতেও নামেননি রজার্স। লর্ডস জয়ের মধ্যে এই একটা কাঁটাই খচখচ করছে অস্ট্রেলিয়া শিবিরে।