মহম্মদ শামি, ঋদ্ধিমান সাহা-কে প্রথম ম্যাচ থেকেই দলে পাচ্ছেন। তাই সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে এই মরসুমের প্রথম ম্যাচ খেলার আগে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী মনোজ তিওয়ারি।
নয়াদিল্লিতে ম্যাচের ২৪ ঘণ্টা আগে বাংলার অধিনায়ক বলে দিচ্ছেন, ‘‘শামিকে দলে পাওয়া মানে একটা বড় ব্যাপার। আমাদের লক্ষ্য থাকবে কুড়িটা উইকেট তোলার। আর দলে শামি থাকা মানে নিজেদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাওয়া। তখন মনে হয়, উইকেট তোলা যাবে।’’
পালামের মাঠে বাইশ গজে ম্যাচের আগের দিনও ঘাস রয়েছে। যা আশা জাগিয়েছে বাংলা শিবিরে। যে কারণে টিমে পেস শক্তি বাড়ানো হয়েছে। শামির সঙ্গে অশোক ডিন্ডা, কনিষ্ক শেঠও খেলতে পারেন।
মাঝে মাঝেই শামিকে ভুগিয়ে চলেছে চোট আঘাত। ভারতীয় দলেও তাঁকে বেছে বেছে ম্যাচ খেলানো হচ্ছে। তা হলে কি বাংলার হয়ে ওকে বল করানোর সময় আপনি একটু সতর্ক থাকবেন? যাতে শামির ওপর ধকল বেশি না যায়? মনোজ বলছেন, ‘‘আমি বাংলার ক্যাপ্টেন। আমার যদি মনে হয় ওকে দিনে চার স্পেলে বল করানো দরকার, তা হলে সেটাই করাব।’’ মনোজ আরও যোগ করেন, ‘‘রঞ্জি ট্রফি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ একটা টুর্নামেন্ট। আমরা অনেক দিন ধরে শুনে আসছি, আমাদের দলটার ক্ষমতা আছে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। এ বার সেটাই করে দেখানো
আমাদের লক্ষ্য।’’
প্রাথমিক ভাবে বাংলা যে দল বেছে রেখেছে, তা এ রকম: অভিমন্যু ঈশ্বরণ, অভিষেক রামন, সুদীপ চট্যোপাধ্যায়, মনোজ, ঋদ্ধিমান, অনুষ্টুপ, বি অমিত, শামি, ডিন্ডা, কনিষ্ক, আমির গনি। মনোজ মনে করছেন, তাঁদের প্রস্তুতি যথেষ্ট ভাল হয়েছে। এখন পরিকল্পনা পুরোপুরি মাঠে কাজে লাগাতে হবে। খাতায় কলমে সার্ভিসেস অনেক দুর্বল দল। তবে বাংলার অধিনায়ক পরিষ্কার বলে দিচ্ছেন, বিপক্ষকে হাল্কা ভাবে নেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।