ড্র করেই মুখরক্ষা মহমেডানের

মহমেডান কোচ ও কর্তাদের মতে তাঁদের জেতা উচিত ছিল অন্তত ৫-১ গোলে। অবশ্য কার্যত বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগ নষ্ট করলেও মহমেডানকে জেতার মত দল একবারও মনে হয়নি। কোচ জানাচ্ছেন খেলার গতি পরিকল্পনা অনুযায়ী শ্লথ করা হয়েছিল।

Advertisement

সংগ্রাম সিংহ রায়

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৫ ০৪:০৫
Share:

ইউনাইটেড ও হিন্দুস্থান স্পোর্টসের মধ্যে খেলা। —নিজস্ব চিত্র।

মহমেডান কোচ ও কর্তাদের মতে তাঁদের জেতা উচিত ছিল অন্তত ৫-১ গোলে। অবশ্য কার্যত বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগ নষ্ট করলেও মহমেডানকে জেতার মত দল একবারও মনে হয়নি। কোচ জানাচ্ছেন খেলার গতি পরিকল্পনা অনুযায়ী শ্লথ করা হয়েছিল।

Advertisement

কিন্তু তা বলে প্রথমবার খেলতে নামা চানমারি এফসির ছেলেদের কাছ থেকে দৌড়ে বল কাড়তে পারবে না কেন? দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই লালকার্ড দেখে দশজন হয়ে যাওয়া দলের সঙ্গে এগারো জনের দলকে আলাদা করে চেনা যাবে না কেন? তার উত্তর মেলেনি। চানমারি ম্যাচের ৬৯ মিনিটে বক্সে ফাউল করে না বসলে ম্যাচ হেরেই ফিরতে হয় তাঁদের। শেষ পর্যন্ত ১-১ ফলে ড্র করে মান বাঁচান তাঁরা। এ দিন আবার শিলিগুড়ি এসে পৌঁছান মহমেডানের সচিব মঈন-বিন-মকসুদ। তিনি অবশ্য খেলোয়াড়দের পক্ষেই সওয়াল করেন। অভিযোগের তিরটা ঘুরিয়ে দিলেন রেফারিংয়ের বিরুদ্ধে। রেফারিং নিয়ে অভিযোগ রয়েছে চানমারির কোচ গৌরব চট্টোপাধ্যায়েরও।

প্রথম যে গোলটি মহমেডান হজম করতে বাধ্য হয়েছে, তার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না কেউই। সেন্টার থেকে বল নিয়ে গোলের দিকে এগোতেই রেফারির বাঁশিতে ঘোর কাটেনি উপস্থিত গুটিকয় দর্শকের। লালবিয়াখলুয়ার গোলে এগিয়ে যায় চানমারি। এ দিনও ড্যানিয়েল বিদেমিকে শুরুতে খেলাননি মহমেডান কোচ অনন্ত ঘোষ। দ্বিতীয়ার্ধে নামলেও ফের কয়েকটা গোল নষ্ট ছাড়া কোনও অবদান রাখতে পারেননি। চানমারির ছটফটে ছেলেদের সামনে নামী বিদেশি বা অসীম বিশ্বাস ও রাকেশ মাসিদের মত বড় ম্যাচ খেলা খেলোয়াড়দের ইদানীং মাঠে বসে সহ্য করাটাই মুশকিল হয়ে পড়ছে। কোচ মুখে চেষ্টা করছে বললেও হাবেভাবে বিরক্তি প্রকাশ পাচ্ছে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই রাকেশকে তুলেও নেন কোচ। দ্বিতীয়ার্ধের ৬৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে আদিলেজা একমাত্র গোলটি করেন। এদিন অবশ্য হিন্দুস্থান স্পোর্টসের বিরুদ্ধে বেশ ভাল ফুটবল উপহার দিয়ে প্রতিযোগিতার তৃতীয় জয় কুড়িয়ে নিলেন ইউনাইটেড। তবে উচ্ছ্বাসের আবেগে গা ভাসাতে নারাজ। কারণ এই লেগে বাকি দুটি ম্যাচে তাদের যারা প্রতিপক্ষ তাঁদের প্রায় রোখাই যাচ্ছে না। এদিন তাই জয়ের পর সতর্ক দায়িত্বপ্রাপ্ত কোচ। সহকারী কোচ অঞ্জন নাথ। তিনি বলেন, ‘‘প্রতিটি জয়ই মধুর। ছেলেদের ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়েছিলাম। তারা কথা রাখার চেষ্টা করেছে।’’ পরের ম্যাচগুলি কঠিন মেনে নিলেন। তবে ছন্দ পেয়ে গেলে তারাও যে কোনও বিপক্ষকে হারিতা সক্ষম এই বিশ্বাসটা ছেলেরা পেয়ে গিয়েছেন বলে মনে করছেন কোচ। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে ৪৩ মিনিটে জগন্নাথ সানা দলকে এগিয়ে দেন। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৯ মিনিটে রাজন বর্মন হেড থেকে যে গোলটি করেন, তা অনেকদিন মনে থাকবে।

Advertisement

এদিন রানীডাঙ্গা মাঠেও দুটি খেলা ছিল। এদিনও নিয়মমাফিক আইজল এফসি দুর্বল পিফার বিরুদ্ধে যথাসম্ভব গোল বাড়িয়ে রাখল। তারা পিফাকে ৬ গোল দেন। পিফা একটি গোল করে কিছুটা মুখ রক্ষা করে। সেই সঙ্গে ক্রমশ নিজেদের ধরাছোঁয়ার অনেকটাই বাইরে নিয়ে চলে গেলেন তাঁরা। এদিন জয় পেয়েছে লোনস্টার কাশ্মীরও। তারা কেনকার স্পোর্টসকে ১-০ গোলে হারিয়েছে। এদিন কেনকার রক্ষণ প্রায় অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠায় কাশ্মীরের মত শক্তিশালী দলকেও গোল পেতে মাথা খুঁড়তে হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন