ম্যাচের ফাঁকে মোহন ফুটবলাররা।-নিজস্ব চিত্র।
জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল মোহনবাগান। লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে ১০ জনের রেলওয়ে এফসি-কে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিল শঙ্করলাল চক্রবর্তীর দল।
শুক্রবারের ম্যাচে রেল দুর্গে প্রথম আঘাত হানেন চার্চিল থেকে আসা চেস্টারপল লিংডো। যে চেষ্টারপল মাণ্ডবীর তীরে জল ঢেলেছিলেন মোহনবাগানের আই লিগ জয়ের স্বপ্নে, সেই তিনিই এ দিন হাজার ভোল্টের হাসি ফেরালেন মোহন জনতার মুখে। লিংডো ছাড়া এ দিন বাকি দু’টি গোল করেন বাই কামো এবং শিল্টন ডি’সিলভা।
তবে, রেলকে বেলাইন করলেও এ দিনের ম্যাচ বেশ কিছু প্রশ্ন তুলে দিল মোহনবাগান টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে। ষাট-সত্তরের দশকে জায়ান্ট কিলার হিসেবে পরিচিত হলেও, রেলের সেই গরিমা আজ আর নেই।
বিদেশিহীন এবং একঝাঁক আনকোরা ফুটবলারকে নিয়ে তৈরি সেই রেলের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে দাঁতই ফোঁটাতে পারল না বাগানের তরুণ ফুটবলাররা। বিক্ষিপ্ত ভাবে ক্রোমা-চেস্টারপল কিছুটা চেষ্টা করলেও তা রেল দুর্গে ফাটল ধরানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। এরই মধ্যে প্রথমার্ধের শেষ দিকে পর পর দু’টি হলুদ কার্ড দেখার ফলে লাল কার্ড দেখেন রেলের অমিত সামন্ত।
আরও পড়ুন: টি২০তে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান অ্যাডাম লিথের
আরও পড়ুন: কুম্বলে কড়া কোচ ছিলেন না: ঋদ্ধিমান
অবশেষে দ্বিতীয়ার্ধের ২০ মিনিটে গোল করে বাগান সমর্থকদের রক্তচাপ কমান চেস্টারপল। ডান পায়ের আউট স্টেপে করা এই পাহাড়ি ছেলেটার গোল বহু বছর মনে রাখবেন বাগান সমর্থকরা।
অন্য দিকে, এ দিন গোল করে কথা রাখেন বার্থ ডে বয় কামো। ম্যাচের আগের দিন গোল করে সমর্থদের মুখে হাসি ফোটানোর কথা বলেছিলেন তিনি। তিনি যে এক কথার লোক, তা মরসুমের শুরুতেই প্রমাণ করেন আইজলের এই প্রাক্তনী।
তবে, গোল করলেও কামোর পারফরম্যান্স এ দিন নিঃসন্দেহে চিন্তায় ফেলবে বাগান টিম ম্যানেজম্যান্টকে।
৮০ মিনিটে করা ওই গোলটা ছাড়া গোটা ম্যাচে সেই ভাবে চোখে পরেনি এই লাইবেরিয়ান স্ট্রাইকার। বড় দলের জার্সির ভার এবং সমর্থকদের প্রত্যাশার চাপ নিতে গেলে তাকে যে আরও পরিশ্রম করতে হবে তা এ দিনের ম্যাচের পর নিঃসন্দেহে বুঝে গেছেন এই তারকা স্ট্রাইকার।
ম্যাচ শেষে বাগানসারথি শঙ্করলাল বলেন, “প্রতিপক্ষ দশ খেলোয়াড়কে ডিফেন্সে এনে জটলা করায় গোল পেতে সমস্যা হচ্ছে। ছেলেদের বলাই আছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গোল তুলে নেওয়ার জন্য আশা করি পরের ম্যাচ থেকে গোল পেতে দ্বিতীয়ার্ধ অবধি অপেক্ষা করতে হবে না।
এ দিনের ম্যাচে সেরা নির্বাচিত হন চেস্টারপল লিংডো