‘ভাইকিং ক্ল্যাপ’ এ বার মোহনবাগান মাঠেও

ইউরো কাপ বা বিশ্বকাপে যে অভিনব করতালি দিয়ে আইসল্যান্ডকে সমর্থন করেন তাদের সমর্থকরা। এ দিন তা দেখা গেল কলকাতা ময়দানে। ম্যাচের শেষ দিকে মোহনবাগান ২-১ এগিয়ে যেতেই এই ‘ভাইকিং ক্ল্যাপ’ দিয়ে প্রিয় দলকে উৎসাহ দিচ্ছিলেন সবুজ-মেরুন শিবিরের সমর্থকরা। ‘হাত-মাইক’ হাতে এক মোহনবাগান সমর্থক বলছিলেন, ‘‘এই ভাবে হাততালি দিয়ে গ্যালারির সবাই প্রিয় দলকে সমর্থন করুন। এ ভাবেই এ বার কলকাতা লিগে দলকে উৎসাহিত করব আমরা।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৮ ০৫:০০
Share:

অভিবাদন: আইএফএ শিল্ড সেমিফাইনাল জয়ের পরে সবুজ-মেরুন গ্যালারিতে অভিনব উৎসব। নিজস্ব চিত্র

লেভেন্তিস ইউনাইটেড, পেনারোল এফসি-র মতো বিদেশি দল বা দুর্দান্ত সব ফুটবলারদের দেখার আর সুযোগ নেই আইএফএ শিল্ডে। কারণ শতাব্দী প্রাচীন জনপ্রিয় এই ফুটবল প্রতিযোগিতা এখন অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবলারদের।

Advertisement

কিন্তু তা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক হাওয়া এ বারের আইএফএ শিল্ড সেমিফাইনালে। যা মঙ্গলবার বয়ে গেল মোহনবাগান মাঠে। প্রিয় দল ফাইনালে যাওয়ায় গ্যালারিতে হাজির মোহনবাগান সমর্থকরা ফুটবলারদের অভিনন্দন জানালেন ‘ভাইকিং ক্ল্যাপ’ দিয়ে।

ইউরো কাপ বা বিশ্বকাপে যে অভিনব করতালি দিয়ে আইসল্যান্ডকে সমর্থন করেন তাদের সমর্থকরা। এ দিন তা দেখা গেল কলকাতা ময়দানে। ম্যাচের শেষ দিকে মোহনবাগান ২-১ এগিয়ে যেতেই এই ‘ভাইকিং ক্ল্যাপ’ দিয়ে প্রিয় দলকে উৎসাহ দিচ্ছিলেন সবুজ-মেরুন শিবিরের সমর্থকরা। ‘হাত-মাইক’ হাতে এক মোহনবাগান সমর্থক বলছিলেন, ‘‘এই ভাবে হাততালি দিয়ে গ্যালারির সবাই প্রিয় দলকে সমর্থন করুন। এ ভাবেই এ বার কলকাতা লিগে দলকে উৎসাহিত করব আমরা।’’

Advertisement

খেলা শেষ দেখা গেল বিশ্বকাপের দলগুলোর মতোই গোটা মোহনবাগান দল চলে গেল ফেন্সিংয়ের ধারে। সমর্থকদের সঙ্গে তারাও ‘ভাইকিং ক্ল্যাপ’ দিয়ে ফাইনালে যাওয়ার উৎসব সেরে নিল।

উচ্ছ্বাস: ম্যাচের দুই গোলদাতা সৌরভ ও শুভ। নিজস্ব চিত্র

মোহনবাগান কোচ জো পল আনচেরি ম্যাচ শেষে আক্ষেপ করছিলেন, ‘‘গোটা ম্যাচটা নিয়ন্ত্রণ করল আমার ছেলেরাই। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে। প্রচুর সুযোগ তৈরি করেছিল ছেলেরা। দুর্ভাগ্য, সেখান থেকে গোলসংখ্যা বাড়েনি। কিন্তু এই সমর্থন দুর্দান্ত।’’

ফাইনালে মোহনবাগানের প্রতিদ্বন্ধী ইস্টবেঙ্গল। সোমবারই যারা ফাইনালে উঠেছে টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমিকে হারিয়ে। সেইল (বার্নপুর)-এর বিরুদ্ধে এ দিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করেছিল মোহনবাগান। ২০ মিনিটে রাইট উইঙ্গার সৌরভ দাসের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল মোহনবাগান। কিন্তু এই গোল বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি সবুজ-মেরুন রক্ষণ। এগিয়ে যাওয়ার পরের মিনিটেই গোল খায় মোহনবাগান। সেইলের হয়ে সমতা ফেরান রাহুল মণ্ডল। খেলা শেষ হওয়ার আট মিনিট আগে গোল করে আনচেরির দলকে ফের এগিয়ে দেন শুভ ঘোষ। এ বার এগিয়ে গিয়ে রক্ষণে আর কোনও ভুল করেনি মোহনবাগান।

মোহনবাগানের হয়ে এ দিন দারুণ খেললেন সোনারপুরের ছেলে সৌরভ দাস। প্রীতম কোটাল ও লিয়োনেল মেসির ভক্ত ম্যাচ শেষে বলে গেলেন, ‘‘কোচ যা নির্দেশ দিয়েছিলেন, সেই মতো খেলেই গোল পেলাম। এর আগে কখনও ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ আমি খেলিনি মোহনবাগান জার্সি পরে। ফাইনালে নিজের সেরা পারফম্যান্স করতে চাই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন