প্রথম ট্রফির খোঁজে আজ মোহনবাগান

সিকিমে ইতিমধ্যেই পৌছে গিয়েছেন বহু সবুজ-মেরুন সমর্থক। আজ দুপুর দেড়টায় খেলা। খোঁজ নিয়ে জানা গেল স্টেডিয়ামের আশেপাশে কোনও হোটেল খালি নেই। ঝিরঝির বৃষ্টি পড়ছে। একটু ঠান্ডা আবহাওয়া।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৭ ০৫:০৬
Share:

ট্রফি জিততে ক্রোমার দিকেই তাকিয়ে দল। ফাইল চিত্র

গোল পার্থক্যে অল্পের জন্য কলকাতা লিগ হাতছাড়া হয়েছে। তারপর মোহনবাগানের মরসুমের প্রথম ট্রফি জয়ের সুবর্ণ সুযোগ। শুধু তাই নয়, সিকিম গভর্নস গোল্ড কাপে আজ রবিবার ফাইনালে কাস্টমসকে হারাতে পারলেই স্বপ্নপূরণ হয়ে যাবে শঙ্করলাল চক্রবর্তীরও। হোক না ছোট টুনার্মেন্ট, মোহনবাগান কোচের কাছে এই টুনার্মেন্টের গুরুত্ব কিন্তু অপরিসীম। কারণ এর আগে আই লিগ-সহ অন্য ট্রফি জিতলেও সবই সঞ্জয় সেনের সহকারী হিসাবে ছিলেন তিনি।

Advertisement

সিকিম গভর্নস গোল্ড কাপে মোহনবাগান জিতেছে বেশ কয়েকবার বার। শেষ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সম্ভবত দশ বছর আগে। কিন্তু চোট পেয়ে সংক্ষিপ্ত ফুটবলার জীবন শেষ হওয়ার পর অনেকদিন কোচিং-এ থাকলেও একক ভাবে কখনও ট্রফি জেতা হয়নি শঙ্করলালের। সে জন্যই মনে হল, যে টিমকে কলকাতা লিগে দু’গোলে সহজেই হারিয়েছিলেন ক্রোমা-কামোরা, সেই কাস্টমসকে নিয়েই চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন মোহনবাগান কোচ। শনিবার কাস্টমস ১-০ হারিয়েছে পাঠচক্রকে। সেই ম্যাচ দেখে ফেরার পর হোটেল থেকে ফোনে মোহনবাগান কোচ বললেন, ‘‘কাস্টমস খুব ভাল খেলেছে। ওদের আরও বেশি গোলে জেতা উচিত ছিল। ওদের তিন বিদেশিই বেশ ভাল। বিশেষ করে ডানদিকের উইঙ্গার ছেলেটা।’’ শঙ্কর যাঁর কথা বলছেন তিনি মুস্তাফা টেগোই। ঘানার ছেলে। নতুন এসেছেন কাস্টমসেয় এ দিনের সেমিফাইনালে একমাত্র গোল তাঁরই। অন্য দু’জন বিদেশি হলেন জাম্ফার ভিনসেন্ট এবং জন আমপায়ে।

সিকিমে ইতিমধ্যেই পৌছে গিয়েছেন বহু সবুজ-মেরুন সমর্থক। আজ দুপুর দেড়টায় খেলা। খোঁজ নিয়ে জানা গেল স্টেডিয়ামের আশেপাশে কোনও হোটেল খালি নেই। ঝিরঝির বৃষ্টি পড়ছে। একটু ঠান্ডা আবহাওয়া। তার মধ্যেই অবশ্য দারুন চনমনে রয়েছেন দিপান্দা ডিকা-আনসুমানা ক্রোমা জুটি। এ দিন অনুশীলনে আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছে তাদের। মোহনবাগানের আই লিগে ডি-ক্রো জুটির উপর নির্ভর করছে গঙ্গাপাড়ের ক্লাবের ভাগ্য। আগের ম্যাচেই ও এন জি সি-র বিরুদ্ধে চার গোল করেছেন দুই স্ট্রাইকার। নতুন আসা দিয়েগো পেরিরাও ভাল ফর্মে। তা সত্ত্বেও শঙ্করলাল সতর্ক। বললেন, ‘‘চোটের জন্য. আমার ফুটবলার জীবন তো খুবই সংক্ষিপ্ত ছিল। সেভাবে ট্রফি জেতাই হয়নি। কোচ হিসাবে একটা ট্রফি পাওয়া আমার স্বপ্ন। কলকাতা লিগটা অল্পের জন্য হাতছাড়া হয়েছে। যদি সিকিমের ট্রফিটা জিতি তা হলে সেটা পুরণ হবে।’’

Advertisement

কলকাতা লিগে মোহনবাগান যে যে টিম খেলেছিল তাতে অনেক পরিবর্তন হয়েছে সিকিমে। বিদেশি হিসাবে দিয়েগো তো এসেছেনই, মহমেডান থেকে আসা তিন ফুটবলার রানা ঘরামি, শেখ ফৈয়াজ এবং দিপান্দা ডিকা ঢুকেছেন টিমে। ফলে এই তিন ফুটবলারেরও কিন্তু অগ্নিপরীক্ষা। কিংসলে ভিসা সমস্যায় আটকে যাওয়ায় স্টপারে দুই বঙ্গসন্তান রানা এবং কিংশুক দেবনাথের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে কোচকে। কাস্টমসের বিদেশি সামলাবার দায়িত্ব থাকছে ওদের উপরই। মোহনবাগান কর্তারা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, চ্যাম্পিয়ন হলে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার অর্থের একটা অংশ দান করবেন সিকিম ফুটবলের উন্নয়নে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন