ডিকাই অস্ত্র নেরোকার বিরুদ্ধে ম্যাচে। ফাইল চিত্র
খেতাব জেতার কোনও সুযোগ নেই মোহনবাগানের। তা সত্ত্বেও আজ, রবিবার নেরোকা বনাম দিপান্দা ডিকাদের ম্যাচ হঠাৎ-ই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গিয়েছে।
কেন ফুটবলপ্রেমীরা তাকিয়ে থাকবেন খুমন লামপাক স্টেডিয়ামের দিকে? দু’টো কারণ এক) নেরোকা লিগ টেবলের শীর্ষে আছে। তাদের কাছ থেকে মোহনবাগান পয়েন্ট কাড়লে লিগ টেবল বদলাবে। নতুন মোড় নিতে পারে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার যুদ্ধ। দুই) শঙ্করলাল চক্রবর্তীর দল জয়ে ফিরলে মিনার্ভা পঞ্জাবের পাশাপাশি লাভবান হতে পারে ইস্টবেঙ্গলও। কারণ দুটো টিমই যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে।
এই দুটো অঙ্কের কোনওটা নিয়েই অবশ্য ভাবছে না লিগ টেবলের চার নম্বরে থাকা মোহনবাগান। তাদের লক্ষ্য সুপার কাপে খেলার সুযোগ নেওয়া। আর সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে সকালে অনুশীলনের পর শনিবার সন্ধ্যায় মোহনবাগান টিম হোটেলে দুটো সভা হয়েছে। প্রথমে কোচের সঙ্গে ফুটবলারদের। পরে শিল্টন পাল, কিংগসলে ওবুমনেমে, ক্যামেরণ ওয়াটসনরা নিজেরাই নিজেদের লক্ষ্য নিয়ে আলোচনায় বসলেন। মোহনবাগান কোচ শঙ্করলাল এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, ‘‘নেরোকা খুব ভাল খেলছে। ওদের স্বদেশী আর বিদেশিদের সংযোগটা ভাল হয়েছে। ঘরের মাঠে ওদের রেকর্ড খুব ভাল। তা ছাড়া প্রচুর দর্শক সমর্থন পাবে ওরা।’’ পাশাপাশি গোকুলমের কাছে বিশ্রী হারের পর এই ম্যাচ যে ফুটবলারদের কাছে ক্লাবের গৌরব রক্ষার লড়াই, সেটা মনে করিয়ে দিয়েছেন সবুজ-মেরুন কোচ। ‘‘মোহনবাগান শুধু একটা ক্লাব নয়, প্রতিষ্ঠান। সেটা মাথায় রেখে একটা ভাল ফল করতে হবে।’’
সঞ্জয় সেন কোচ হয়ে আসার পর গত তিন বছর সোনার সময় ছিল মোহনবাগানের। আই লিগে একবার চ্যাম্পিয়ন, দু’বার রানার্স। কখনও শেষ চারে থাকার জন্য মরিয়া হতে হয়নি ১২৭ বছরের ক্লাবকে। আই লিগ জয়ী কোচ সঞ্জয় চলে যাওয়ার পর মাঝ মরসুমে কর্তারা তাঁর সহকারীর উপর আস্থা রেখেছিলেন। কিন্তু তিনি টিমকে তো ঘুরে দাঁড় করাতেই পারেননি, উল্টে আক্রম মোগরাভিদের খেলার মান ক্রমশ নিম্নগামী হয়েছে। ঘরের মাঠে অপরাজিত থাকার রেকর্ড ভেঙে পয়েন্ট নষ্ট করেছে ম্যাচের পর ম্যাচে। নেরোকার বিরুদ্ধেও জিততে পারেননি দিপান্দা ডিকারা। এই অবস্থায় নুইয়ে পড়া টিমকে চাঙ্গা করার দায়িত্ব ফুটবলারদের উপরই ছেড়ে দিয়েছেন দলের কোচ। এ দিন মণিপুরের টিম হোটেলে শিল্টন, কিংগসলেরা সতীর্থদের সবাইকে ডেকে বলেছেন, ‘‘শেষ চারে যাওয়ার জন্য আমাদের এই ম্যাচ থেকে পয়েন্ট পেতে হবে।’’ পাহাড়ি রাজ্যে এই মুহূর্তে তেমন ঠান্ডা নেই। তার উপর দুপুরে খেলা। নেরোকা অবশ্য লিগ শীর্ষে থাকার জন্য মরিয়া। কোচ গিফট রাইকান বলে দিয়েছেন, ‘‘আমরা মণিপুরের প্রথম আই লিগ টিম। আমাদের ছেলেরা এতদিন আই লিগ খেলার জন্য অন্য রাজ্যে যেত। এখন একটা মঞ্চ পেয়েছে। নিজেদের তাগিদেই সবাই খেলবে।’’