প্রাক্তন কোচ করিম বেঞ্চারিফার বদলার দিন আহত সোনি নর্ডিই হয়ে উঠতে পারেন সুভাষ ভৌমিকের তুরুপের তাস। রবিবার কিংস কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মোহনবাগান ও পুণে এফসি মুখোমুখি। যে ম্যাচে সোনি নর্ডিকে নিয়ে ঝঁুকি নিতে তৈরি মোহনবাগান টিডি সুভাষ ভৌমিক।
গত ম্যাচে শেখ জামালের কাছে ৩-৫ হেরে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে বাগান ডিফেন্স নিয়ে। সঙ্গে গোল নষ্টের কারণেও চিন্তিত সুভাষ। এ দিন থিম্পুতে সকালে অনুশীলন করল মোহনবাগান। সবুজ-মেরুনের হাইতির স্ট্রাইকার পুরো ট্রেনিংই করেন। হলুদ কার্ডের ভয়ে শেখ জামালের বিরুদ্ধে সোনিকে দলে রাখেননি সুভাষ। তবে সোনি ছাড়াও মোহনবাগানের আর এক স্ট্রাইকার পিয়ের বোয়াও ভাল ফর্মে। চার গোল করে এই টুর্নামেন্টে বাগানের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি।
শোনা যাচ্ছে, বিপর্যস্ত হওয়ার পরে দলকে সুভাষের বার্তা, শেখ জামাল ভুলে সবাই মনোযোগ দাও পুণে ম্যাচে। তবেই ফাইনালে পৌঁছনো যাবে। কিন্তু সেমিফাইনালের চব্বিশ ঘণ্টা আগেও সুভাষ চিন্তিত তাঁর দলের রক্ষণ নিয়ে। তিনটে গ্রুপ ম্যাচ মিলিয়ে মোট আট গোল হজম করেছে বাগান। সঙ্গে আবার ‘করিম’ ফ্যাক্টরও ভাবাচ্ছে বাগান টিডিকে। মোহনবাগান দলের শক্তি-দুর্বলতা খুব ভালই জানেন পুণে কোচ। কাতসুমির মতো ফুটবলারের খেলার ধরনও জানেন মরক্কান কোচ। যা সুবিধা হতে পারে পুণের জন্য।
গত মরসুমের শেষে মোহনবাগান ছাড়ার পরে এই প্রথম প্রাক্তন ক্লাবের বিরুদ্ধে দল সাজাবেন করিম। মোহনবাগান ম্যাচ করিমের বদলার লড়াই বলা হলেও, জনসমক্ষে প্রাক্তন ক্লাবের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রসঙ্গে পুণে কোচ বলেন, “খুব শক্তিশালী মোহনবাগানের বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল খেলতে চলেছি। জিততেই হবে।” আক্রমণাত্মক দলগুলোর মধ্যে কিংস কাপে সবচেয়ে বেশি দাপট দেখিয়েছে পুণে। দলের সাতজন ফুটবলার গোল করেছেন এই টুর্নামেন্টে। তবুও পুণে শিবিরে আত্মতুষ্টি ঢুকতে দিচ্ছেন না করিম। “এখনও পর্যন্ত খুব ভাল সফর কেটেছে। গ্রুপে আমরা সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট পেয়েছি। মরসুম শুরুর থেকেই অনেক ম্যাচ খেলেছে দল। সবাই ধারাবাহিকতা দেখিয়েছে।”
এ দিন আবার কিংস কাপের আর এক সেমিফাইনালে এমএমসি-কে ২-১ হারিয়ে ফাইনালে চলে গেল শেখ জামাল ধানমন্ডি। কিন্তু লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হল শেখ জামালের সোহেল রানাকে।