আট ম্যাচ নির্বাসিত সঞ্জয়ের শাস্তি কমাতে ঝাঁপাচ্ছে বাগান

আই লিগের বাকি ম্যাচগুলো কোচ ছাড়াই খেলতে হবে মোহনবাগানকে! ফিরতি ডার্বিতেও বেঞ্চে বা সাইডলাইনে সঞ্জয় সেন-কে পাবেন না সনি নর্ডি, দেবজিৎ মজুমদাররা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৬ ০২:৫২
Share:

আই লিগের বাকি ম্যাচগুলো কোচ ছাড়াই খেলতে হবে মোহনবাগানকে! ফিরতি ডার্বিতেও বেঞ্চে বা সাইডলাইনে সঞ্জয় সেন-কে পাবেন না সনি নর্ডি, দেবজিৎ মজুমদাররা।

Advertisement

ফেডারেশনের বিরুদ্ধে আই লিগ সূচি নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করায় আট ম্যাচ নির্বাসিত করা হল বাগান কোচ সঞ্জয়কে। সঙ্গে দশ লাখ টাকা জরিমানা। বৃহস্পতিবার ফেডারেশনের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সভায় এই কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মোহনবাগান স্বভাবতই সঞ্জয়ের শাস্তি কমানোর অনুরোধ জানিয়ে পাল্টা চিঠি দেবে বলে ভাবা শুরু করে দিয়েছে। সহ-সচিব সৃঞ্জয় বসু এ দিনই বললেন, ‘‘এখনও হাতে চিঠি পাইনি। ফেডারেশন কী বলছে আগে দেখি। তার পর সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। আর শাস্তি কমানোর আবেদন করাটাই তো এ রকম সময় স্বাভাবিক।’’

এ ক্ষেত্রে তিন দিনের মধ্যে ফেডারেশনের ‘অ্যাপিল’ কমিটির কাছে চিঠি দিতে হবে বাগান কর্তাদের। আই লিগের সিইও সুনন্দ ধর দিল্লি থেকে ফোনে বললেন, ‘‘অ্যাপিল কমিটির কাছে ওরা আবেদন করতেই পারে। সে ক্ষেত্রে অ্যাপিল কমিটি পুরো বিষয় খতিয়ে দেখবে। তার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। যদি অ্যাপিল কমিটির সদস্যরা মনে করেন, শাস্তি কমানো যেতে পারে, বিবেচনা করবেন।’’

Advertisement

বাংলার অধিকাংশ কোচ অবশ্য এখনই মনে করছেন, ‘লঘু পাপে গুরু দণ্ড’ পেতে হয়েছে সঞ্জয়কে।

প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়: ও যেটা করেছে তার জন্য শাস্তি পেতে হবে, এটা ঠিক। কিন্তু তার একটা মাত্রা থাকাও উচিত। একটি টিম আই লিগে চ্যাম্পিয়নশিপ দৌড়ে সবার আগে রয়েছে। তাদের কোচ যদি বাকি ম্যাচগুলো না থাকে তবে টিমের ফুটবলারদের উপর মানসিক চাপ পড়বেই। তাই আমিও ফেডারেশনের কাছে অনুরোধ করব, সঞ্জয়ের শাস্তি পুনর্বিবেচনার জন্য।

মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য: কঠিন শাস্তি দেওয়া হল। কথাগুলো ও কোন পরিস্থিতিতে বলেছে, সেটা দেখা উচিত ছিল। দু’টো-একটা ম্যাচ সাসপেন্ড করতে পারত। ম্যাচের আগে বা হাফটাইমে কোচ যতই ফুটবলারদের উজ্জীবিত করুক, কোথাও একটা তো ফাঁক থেকে যায়ই। কোচ মাঠে থাকলে প্লেয়ারদের আত্মবিশ্বাস অনেক বেশি থাকে।

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য: শাস্তিটা বোধহয় একটু বেশিই হয়েছে। নিজে কোচ হিসেবে কখনওই চাইব না, প্রতিদ্বন্দ্বী কোচ এ ভাবে মাঠের বাইরে বেরিয়ে যাক। লড়াই মাঠে। তাই সঞ্জয় না থাকলে কী সুবিধে আমরা পাব, সেটা ভাবা খেলোয়াড়সুলভ আচরণ নয়। আর ডার্বিতে সঞ্জয় মাঠে থাকলে তবেই তো আসল লড়াই।

আই লিগের ছয় ম্যাচ ছাড়াও পরবর্তী ফেড কাপে সবুজ-মেরুনের প্রথম দু’ম্যাচেও সঞ্জয় মাঠে থাকতে পারবেন না। তবে এএফসি কাপের ম্যাচে মাঠে থাকতে বাধা নেই বাগান কোচের। শাস্তিটা কেবল ফেডারেশন পরিচালিত টুর্নামেন্টের জন্যই। সঞ্জয়ের প্রতিক্রিয়া জানতে অনেক বার চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন