কোচ সঞ্জয়ই
বিদায়ী টিডি সুভাষ ভৌমিকের জায়গায় এক বঙ্গসন্তানকেই নতুন কোচ করল মোহনবাগান। বিদেশি নয়, ময়দানের সফল এবং পরিচিত মুখ সঞ্জয় সেনের উপরই আস্থা রাখলেন ক্লাব কর্তারা। দায়িত্ব পেয়ে সঞ্জয় বললেন, “এটা চ্যালেঞ্জ। সাত দিনেরও কম সময় পেয়ে মহমেডানকে আইএফএ শিল্ড দিয়েছি। ফেড কাপের আগে বাগানে অনেক বেশি সময় পাব। টিমের অর্ধেকই আমার কোচিংয়ে খেলেছে।” বুধবার থেকেই ফেড কাপের প্রস্তুতি শুরু করবেন সঞ্জয়।
ট্রেভর মর্গ্যান থেকে এলকো সতোরি বাজারে ভাসছিল বহু নাম। তাঁদের আর্থিক দাবি-দাওয়াও এসে পৌঁছেছিল। কিন্তু সোমবার ক্লাব সচিবের বাড়িতে টেকনিক্যাল কমিটির সভায় কারও নামই ওঠেনি। মাত্র দশ মিনিটেই সর্বসম্মত ভাবে সঞ্জয়কে বেছে নেওয়া হয়। সচিব অঞ্জন মিত্র পরে বললেন, “বড় টিমে কাজ করেছে সঞ্জয়। বিদেশিদেরও সামলেছে। লাইসেন্স সমস্যা নেই।” যেটা তিনি বলেননি তা হল, সারদা কাণ্ডের পর ক্লাবের যা আর্থিক পরিস্থিতি তাতে মর্গ্যান-এলকোর দাবি মানলে দেনা বাড়ত। মর্গ্যান প্রায় এক কোটি চেয়েছিলেন। এলকো চান তিন মাসের অগ্রিম। এলকোর চেয়ে সঞ্জয় বেশি সফল। ইউনাইটেডকে শিল্ড ও ডুরান্ড কাপে রানার্স করেন। মহমেডানকে আই লিগ টু চ্যাম্পিয়ন। সাদা-কালোকে শিল্ডও জিতিয়েছিলেন সোনি নর্ডির প্রাক্তন ক্লাব ধানমন্ডিকে হারিয়ে। কিন্তু সোনি-বোয়া-কাতসুমিদের সামলাতে পারবেন? নদিয়ার বগুলা থেকে ট্রেনে কলকাতায় ফেরার পথে প্রশ্ন শুনে রেগে যান সঞ্জয়, “র্যান্টি, কার্লোস, ইয়াকুবু, পেন, বেলোদের নিয়ে কাজ করেছি। সমস্যা-বিতর্ক হয়েছে? এই তো কাগজে দেখছি লুই গার্সিয়াকে না কি হাবাস সামলাতে পারছে না।”
তবে শহরে না থাকায় এখনও টাকা-পয়সা নিয়ে কর্তাদের সঙ্গে কথা হয়নি সঞ্জয়ের। আজ, মঙ্গলবার কথা হবে কর্তাদের সঙ্গে। জানেন না ফেড কাপের সূচিও। বললেন, “সবে তো আজ ফোনে ওরা জানাল। কাল কথা বলব। আসল তো ট্রফি। ট্রফি না পেলে কোচের কোনও দাম নেই।” সুভাষ ছিলেন টিডি। ‘এ’ লাইসেন্স থাকায় সঞ্জয় অবশ্য কোচ-ই হচ্ছেন। আর এখনকার কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী তাই সহকারী হয়ে যাচ্ছেন। তবে শঙ্কর বা কিপার কোচ অর্ণবকে রাখা হবে কি না তা ক্লাব কর্তারা ছেড়ে দিতে যান চেতলার বাসিন্দার উপরই। ক্লাব সচিব বললেন, “ওই ঠিক করুক কে ওর সহকারী হবে।”