ডার্বি শেষ হতেই নড়েচড়ে বসল আইএফএ। শুক্রবার সাব কমিটির বৈঠক বসতে চলেছে। যেখানে জোড়া ধাক্কার মুখে পড়তে পারে মোহনবাগান।
অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবলার খেলানোর নিয়ম লঙ্ঘনের কারণে টালিগঞ্জ অগ্রগামী ম্যাচ থেকে সম্ভবত পয়েন্ট হারানোর পাশাপাশি দলের মাঝমাঠের অন্যতম স্তম্ভ লালকমল ভৌমিকও কড়া শাস্তির মুখে পড়তে পারেন। ডার্বি শেষে রেফারিকে ধাক্কা মারার জন্য।
গত রবিবার ইস্টবেঙ্গলের কাছে ডার্বিতে চার গোলে হারার পরেই রেফারিকে ন্যক্কারজনক ভাবে ধাক্কা মেরে লাল কার্ড দেখেন মোহনবাগানের ফুটবলার লালকমল। ফুটবলারের এহেন আচরণে আফসোস প্রকাশ করে আইএফএ সচিব উত্পল গঙ্গোপাধ্যায় এ দিন বললেন, ‘‘লালকমল যেটা করেছে সেটা কোনও মতেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা ম্যাচ কমিশনারের রিপোর্ট পেয়েছি। এ ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় এ বার সেটাই আলোচনা করে দেখব।’’
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে লজ্জাজনক হারের রেশ পুরোপুরি কাটেনি। তার আগেই আর এক ম্যাচ থেকেও পয়েন্ট খোয়াতে হতে পারে সবুজ-মেরুনকে। টালিগঞ্জ অগ্রগামীকে ৩-১ হারিয়েও সে দিন আইএফএর নিয়ম অনুযায়ী পুরো নব্বই মিনিট অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবলার খেলায়নি বাগান। শেষ কয়েক মিনিট নিয়ম মানেনি। এর ফলে যা দাঁড়াচ্ছে, তাতে সেই ম্যাচের পুরো পয়েন্টই হয়তো পাবে টালিগঞ্জ।
গোটা কলকাতা লিগ জুড়েই রেফারিদের অনেক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। সেগুলো কি হারের অজুহাত? না, সত্যিই রেফারিরা খারাপ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেই প্রসঙ্গেও আলোচনা হবে শুক্রবারের সভায়। যার জন্য রেফারি প্যানেল তৈরি রাখছে আইএফএ। যেখানে রেফারিরা ছাড়াও থাকতে চলেছেন প্রাক্তন ফুটবলাররা। সাংবাদিকদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে। যে সব সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করা হয়েছে সেগুলোর ভিডিও দেখা হবে। তার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আদৌ প্রতিবাদ যথাযথ কি না। উত্পলবাবু বললেন, ‘‘হ্যাঁ, রেফারির প্যানেল থাকবে একটা। সেই প্যানেলই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
গত বৃহস্পতিবার টালিগঞ্জ-সাদার্ন সমিতি ম্যাচে গড়াপেটার অভিযোগ ওঠে। আইএফএ প্রথমে হেলদোল না দেখালেও এখন গা ঝাড়া দিয়ে উঠেছে। উত্পলবাবু বলছেন, ‘‘কোনও সরাসরি অভিযোগ পাইনি। কিন্তু টালিগঞ্জ-সাদার্ন ম্যাচ নিয়েও আলোচনা করা হবে কমিটিতে।’’