সেই চেনা শহর, সেই চেনা মাঠ আর সেই লাল-হলুদ জার্সি। সঙ্গের চেনা মুখগুলোতে জমে থাকা অশান্তির রেশটাও যে উধাও। ড্রেসিংরুমের গুমোট ভাব যেন কাটছে একটু একটু করে। মর্গ্যানের আগমনেই কলকাতার গরমে যেন ঠান্ডা হাওয়া বয়ে গেল। কোথায় গেলেন সেই মর্গ্যান বিরোধিরা? শেষ পর্যন্ত মানতেই হল এক সময় সাফল্য দেওয়া কোচকে। সোমবার রাতেই শহরে পা দিয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে। আর মঙ্গলবার সকালেই পৌঁছে গেলেন লাল-হলুদের অনুশীলনে। এই মুহূর্তে ইস্টবেঙ্গলে কোচ বলতে সঞ্জয় মাঝি। আই লিগের শেষ ম্যাচে তিনিই বসবেন বেঞ্চে। এমন অবস্থায় প্রথম দিনই দলের অনুশীলনের ব্যাটন নিজের হাতে তুলে নিলেন ট্রেভর জেমস মর্গ্যান। শুক্রবার লাজং ম্যাচ খেলতে শিলং যাবে দল। দলের সঙ্গে যাচ্ছেন মর্গ্যানও। এদিন ইস্টবেঙ্গল মাঠে আবার দেখা গেল সেই দৃশ্য। সেই চেনা কিন্তু নতুন নতুন অনুশীলন। যা দেখা যেত কয়েক বছর আগেও।
মর্গ্যান শুরু করছেন ফেডারেশন কাপ দিয়েই। যে টুর্নামেন্টে মর্গ্যানের ভাগ্য বেশ ভাল। শুধু আই লিগটিই পাননি তিনি। তাই আবার আই লিগের খোঁজে নামবেন আগামী বছর। কিন্তু এই মুহূর্তে সামনে শুধু ফেডকাপ। দলকে অনুশীলনে দেখে খুশি কোচ। এই দল নিয়েই খেলতে হবে ফেডকাপ। তার আগে আই লিগের শেষ ম্যাচে দেখে নিতে চান দলকে। শুধু ভাবাচ্ছে মেন্ডির চোট। এই বিদেশির সঙ্গে অনুশীলনের পরে কথাও বলেছেন তিনি। আই লিগের শেষ ম্যাচ খেলে কলকাতায় ফিরেই শুরু হবে ফেডারেশন কাপের প্রস্তুতি। এতদিন দলের বাইরে থাকলেও সব খবরই রাখতেন তিনি। বোঝা গেল তাঁর কথাতেই। জানতেন এই ক্লাবের অনেকেই তাঁকে চাইছেন না। সেটা কেন জানেন না। তবে, কোনও আপস করতে নারাজ তিনি সেটা পরিস্কার জানিয়েও দিলেন। নতুন মরশুম শুরুর আগেই কাজ শুরু করে দিলেন ইস্টবেঙ্গলের ব্রিটিশ কোচ। কোথায় থামবেন এখন সেটাই দেখার। তবে মর্গ্যানের আগমনে খুশি দলের প্লেয়াররা।
আরও খবর
টিমে ঝামেলা পাকানোর ফুটবলার আছে