সাংবাদিক সম্মেলনে এমএসকে প্রসাদ। ছবি: সংগৃহীত।
ভারতীয় দলে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ভবিষ্যত নিয়ে সোমবারই একটা রূপরেখা দিয়েছিলেন নির্বাচকমণ্ডলীর প্রধান এমএসকে প্রসাদ। পরোক্ষ ভাবে প্রসাদ বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, জাতীয় দলে আর বেশি দিন জায়গা হবে না ধোনির।
ধোনির ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রসাদ বলেছিলেন, “ধোনির ভবিষ্যত নিয়ে নির্বাচন কমিটির মিটিংয়ে আলোচনা করা হবে। ধোনিকে অটোমেটিক চয়েস বলা হয়তো এখনই সম্ভব নয়, তবে, আমরা ওঁর পারফরম্যান্সের দিকে নজর রাখব।” তবে ধোনি যদি পারফর্ম করতে না পারেন, সে ক্ষেত্রে তাঁর পরিবর্তের খোঁজ যে বোর্ড শুরু করবে তা-ও ওই দিন জানান এমএসকে। তিনি বলেন, “যদি ধোনি পারফরম্যান্স করতে পারেন তা হলে ওঁকে নিয়ে কোনও প্রশ্ন উঠবে না। তবে, যদি ব্যর্থ হন সে ক্ষেত্রে ওঁর পরিবর্ত আমাদের খুঁজতে হবে।”
আরও পড়ুন: সিরিজ জিতে শুভেচ্ছা জোয়ারে ভাসলেন বিরাটরা
আরও পড়ুন: হোয়াইটওয়াশে হেলায় লঙ্কাজয় বিরাটদের
প্রসাদের এই মন্তব্যের পরেই ঝড় বয়ে যায় সোস্যাল মিডিয়ায়। ধোনি সমর্থকরা কার্যত প্রসাদের যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন টুইটারে।
এক ধোনি সমর্থক এমএসকে প্রসাদের কেরিয়ার পরিসংখ্যান তুলে ধরে লেখেন, “কে বলছেন ধোনি ভারতের অটোমেটিক চয়েস নয়? অন্যকে এ কথা বলার আগে নিজের কেরিয়ারটা দেখা উচিৎ এমএসকে প্রসাদের।”
অন্য এক সমর্থক লেখেন, “ধোনিকে অটোমেটিক চয়েস না বলা প্রসাদ কি ধোনির মতো স্ট্যাম্প করতে পারবেন? রেকর্ড বিচার করলে তো তাঁর ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢোকারই যোগ্যতা নেই।”
ধোনি খেলবেন কি না, সেই বিষয়ে প্রসাদ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কেউ নয় বলেও মন্তব্য করেন এক জন। তিনি লেখেন, “২০১৯ বিশ্বকাপে ধোনি খেলবে কি না সেটা উনি ঠিক করবেন। ওঁকে উপদেশ দেওয়ার আপনি কে?’’
এই টুইটগুলি থেকেই স্পষ্ট, টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পর এবং অধিনায়কত্ব ছাড়ার পরেও ধোনির জনপ্রিয়তা রয়ে গিয়েছে আগের মতোই।