লক্ষ্য: ভারতীয় দলে খেলার স্বপ্ন মহম্মদ আলি-র। ছবি: আইএসএল
মহম্মদ আলির বয়স তখন মাত্র পাঁচ। সংসার ছেড়ে চলে গেলেন বাবা। তিন শিশু সন্তানকে নিয়ে গোয়ার পানাজিতে বেঁচে থাকার লড়াই শুরু হল মা দিলশাদবাই আলি-র। কোনও দিন খাবার জুটত। কখনও আবার খালি পেটেই কাটাতে হতো। খিদের যন্ত্রণা ভুলতে ফুটবলই ছিল আলি-র অস্ত্র।
পরিস্থিতি কিছুটা বদলে গেল ডন বস্কো স্কুলে ভর্তি হওয়ার পরে। যদিও লেখাপড়ায় একেবারেই মন ছিল না আলি-র। স্কুলের প্রিন্সিপাল এবং ফিজিক্যাল এডুকেশন টিচার অবশ্য আলি-র খেলা দেখে এতটাই মুগ্ধ হন যে, তাঁকে লেখাপড়া করার জন্য কোনও চাপ দেননি। প্রবল দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে ফুটবলার হয়ে ওঠা আলি-ই এই মুহূর্তে এফসি গোয়া রক্ষণের অন্যতম ভরসা। আজ, শনিবার ঘরের মাঠে চেন্নাইয়িন এফসি-র বিরুদ্ধে সেমিফাইনালের প্রথম পর্বের ম্যাচ। শুক্রবার দুপুরে গোয়া থেকে ফোনে বছর পঁচিশের আলি বললেন, ‘‘একটা সময় গিয়েছে, দিনের পর দিন অভুক্ত থেকেছি। তখন ছোট ছিলাম বলে বুঝতাম না। খেতে দিচ্ছেন না বলে মায়ের উপর খুব রাগ হতো। মা আমাদের তিন ভাইকে বলতেন, ধৈর্য ধরো সব ঠিক হয়ে যাবে। আর পাশে ছিলেন ডন বস্কো স্কুলের প্রিন্সিপাল ও ফিজিক্যাল এডুকেশন টিচার।’’ আলি যোগ করলেন, ‘‘আমার লেখাপড়া করতে একেবারেই ভাল লাগত না। অনেকেই আমাকে বলেছিলেন, স্কুল থেকে বার করে দেবেন। কিন্তু ওঁরা আমার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। বলেছিলেন, তুমি মন দিয়ে ফুটবল খেলে যাও। শুধু তাই নয়। স্কুলের দুই শিক্ষকই আমার যাবতীয় দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ওঁরা না থাকলে আমার ফুটবলার স্বপ্ন অধরাই থেকে যেত।’’