সিএবি বৈঠকেও শ্রীনিবাসন

লোঢা সংস্কার কার্যকর করা নিয়ে উত্তপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল সিএবি বৈঠক। যতটা হওয়ার আশঙ্কা ছিল, ততটা হল না। বরং সেখানে ঢুকে পড়লেন নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসন! সোমবার ওয়ার্কিং কমিটি বৈঠক ছিল সিএবিতে। লোঢা আইন অনুযায়ী, কাদের পক্ষে ক্রিকেট প্রশাসনে আর থাকা সম্ভব হবে না, তা বলে দেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৭ ০৩:৫৫
Share:

লোঢা সংস্কার কার্যকর করা নিয়ে উত্তপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল সিএবি বৈঠক। যতটা হওয়ার আশঙ্কা ছিল, ততটা হল না। বরং সেখানে ঢুকে পড়লেন নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসন!

Advertisement

সোমবার ওয়ার্কিং কমিটি বৈঠক ছিল সিএবিতে। লোঢা আইন অনুযায়ী, কাদের পক্ষে ক্রিকেট প্রশাসনে আর থাকা সম্ভব হবে না, তা বলে দেওয়া হয়। সংস্থার কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে-র মেয়াদ শেষ কি না, তা নিয়ে সিএবি-তে শেষ বেসরকারি বৈঠকে একটা জট দেখা দিয়েছিল। কারণ কোষাধ্যক্ষ দাবি করে যাচ্ছিলেন যে, লোঢা আইনে সহ-সচিব পদকে অফিস বেয়ারার হিসেবে ধরার কথা বলা নেই। তাই তাঁর ন’বছরের মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে না। কারণ দশ বছরের প্রশাসনিক জীবনে দু’বছর তিনি সিএবি সহ-সচিব পদে ছিলেন। এ দিনের বৈঠকে তা নিয়ে জনা তিনেক ঝামেলা বাঁধিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু তা অপ্রীতিকর পর্যায়ে যায়নি। বরং নাটক বাঁধে একেবারে শেষ পর্বে। শ্রীনির বেঙ্গালুরু সভা নিয়ে।

শোনা গেল, বৈঠকের একেবারে শেষ পর্বে সিএবি প্রেসিডেন্ট নাকি বিশ্বরূপকে জিজ্ঞাসা করেন, বেঙ্গালুরুতে শ্রীনির সভায় সিএবিই লোঢা কমিশনকে উস্কেছে, এ জাতীয় মন্তব্য তিনি করেছেন কি না। উত্তরে সিএবি কোষাধ্যক্ষ নাকি বলতে থাকেন, এ রকম কোনও কথা তিনি বলেনইনি। লোঢা নিয়ে কোনও কথাই শ্রীনির বৈঠকে হয়নি। সৌরভ সঙ্গে সঙ্গে কোষাধ্যক্ষের উত্তর বৈঠকের মিনিটসে নোট করে নিতে বলেন। যা করেও নেওয়া হয়। পরে সৌরভের ঘনিষ্ঠমহলের কেউ কেউ দাবি করলেন যে, প্রেসিডেন্ট সব জেনেশুনেই প্রশ্নটা করেছেন সিএবি বৈঠকে। কারণ বিশ্বরূপ যে লোঢা-সিএবি যোগাযোগ নিয়ে মন্তব্য করেছেন শ্রীনির কাছে, তার নাকি প্রমাণ আছে।

Advertisement

শ্রীনির এই বিষয়টার বাইরে কয়েকটা ব্যাপার হল। বিশ্বরূপের মেয়াদ সত্যি শেষ কি না তা লোঢা কমিশনের কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছে। কারণ সিএবি গঠনতন্ত্রে সহ-সচিবকে পদ হিসেবে ধরা হয়। জিজ্ঞেস করা হবে, তা হলে কী করা হবে? সহ-সচিব পদ ধরে কোষাধক্ষ্যের মেয়াদ ঠিক হবে? নাকি হবে না? ধরা হচ্ছে, আগামী দিন দু’য়েকের মধ্যে উত্তর চলে আসবে। কিন্তু তার পরেও এ দিনের বৈঠকে জনা তিনেক সদস্য উত্তেজিত ভাবে বলতে থাকেন, সুপ্রিম কোর্ট রায়ের পরেও কী করে পদে থাকতে পারেন কোষাধ্যক্ষ? তাঁর তো এখনই ছেড়ে দেওয়া উচিত।

কোষাধ্যক্ষ পরে বললেন, ‘‘ঠিকই। বলেছে তিন জন। কিন্তু তার জবাবে তিরিশ জন বলেছে পদে থাকার ব্যাপারটা লোঢার কাছেই জেনে নেওয়া হোক।’’ কিন্তু ঘটনা হল, যত দিন না লোঢা কিছু জানায় কোষাধ্যক্ষ কোনও চেকে আর সই করতে পারবেন না। ভারত-ইংল্যান্ড ওয়ান ডে ম্যাচ নিয়ে যাবতীয় চেকে সই-সাবুদ করবেন সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং দুই যুগ্ম সচিব সুবীর গঙ্গোপাধ্যায় ও অভিষেক ডালমিয়া।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন