শ্রীনি-গোষ্ঠীর দশ দফা তিরে বিদ্ধ সিওএ

শ্রীনির নেতৃত্বে শনিবার রাজধানীতে জরুরি বৈঠকে হাজির ছিলেন পনেরো জন সদস্য। টেলি কনফারেন্সে যোগ দিয়েছিলেন সিএবি-র প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও যুগ্মসচিব অভিষেক ডালমিয়া।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৮ ০৫:৫০
Share:

যুদ্ধংদেহি: আক্রমণের রাস্তায় হাঁটছেন শ্রীনিবাসন। —ফাইল চিত্র।

তিনি না থেকেও প্রবল ভাবেই রয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অন্দরমহলে। তিনি— ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এন. শ্রীনিবাসন। সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স (সিওএ)-র বিরুদ্ধে শনিবারই যিনি এক রকম যুদ্ধ ঘোষণা করে দিলেন।

Advertisement

শ্রীনির নেতৃত্বে শনিবার রাজধানীতে জরুরি বৈঠকে হাজির ছিলেন পনেরো জন সদস্য। টেলি কনফারেন্সে যোগ দিয়েছিলেন সিএবি-র প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও যুগ্মসচিব অভিষেক ডালমিয়া। তবে অনুপস্থিত ছিলেন বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত সচিব অমিতাভ চৌধুরি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তিনি হয়তো এই মুহূর্তে প্রকাশ্যে আসতে চাইছেন না। সংবাদ সংস্থাকে অমিতাভ বলেন, ‘‘আমি এখন রাঁচীতে। কে কার দলে আছে, এই নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। আমি কোনও শিবিরেই নেই। বৈঠকে আমার না থাকাটা সেটাই প্রমাণ করছে। তবে এটা বলব, যারা সঠিক কথা বলবে, আমি তাদের সঙ্গেই থাকব।’’

এ দিনের বৈঠকে মোট দশটি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে সিওএ-র বিরুদ্ধে। যার মধ্যে অন্যতম হল, দেশের মাঠে ঘরোয়া এবং দ্বিপাক্ষিক ম্যাচ দেখানোর ক্ষেত্রে টেলিভিশন সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রির প্রশ্ন। বলা হয়েছে, অতীতে টিভি স্বত্ব বিক্রির আগে এই নিয়ে অনেক আলোচনা হতো। অনেক স্বচ্ছতা বজায় থাকত। কিন্তু এ বার দু’জন সদস্যের কথাতেই দরপত্রের ন্যূনতম মূল্য যেটা স্থির করা হয়েছে, তা ছ’বছর আগের টিভি স্বত্ব বিক্রি করে পাওয়া অর্থের চেয়ে কম। এই ব্যাপারে সিওএ সদস্যরা একমাত্র সিইও এবং তাঁর আইনি উপদেষ্টা দলের পরামর্শই শুনেছেন।

Advertisement

প্রশ্ন তোলা হয়েছে চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার (সিইও) রাহুল জোহরি-র ব্যক্তিগত দেহরক্ষী নিয়োগ নিয়েও। যে দেহরক্ষীকে সম্প্রতি আইপিএলের একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকের নিরাপত্তায় দেখা গিয়েছে। অথচ সিইও-র ব্যক্তিগত দেহরক্ষীর খরচ বহন করতে হচ্ছে বোর্ডকে।

বিভিন্ন টুর্নামেন্ট থেকে ভারতীয় বোর্ডের প্রাপ্য ‘অ্যাপিয়ারেন্স মানি’ আইসিসি আটকে রেখেছে। শ্রীনিকে সরিয়েই আইসিসি চেয়ারম্যান হয়েছিলেন শশাঙ্ক মনোহর। এই বৈঠকে শ্রীনি জানতে চেয়েছেন, প্রাপ্য অর্থ উদ্ধারের জন্য কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে।

ভারতের প্রাক্তন মহিলা ক্রিকেটার এবং সিওএ সদস্য ডায়ানা এডুলজি এবং তাঁর বোনের জন্য কী ভাবে এককালীন অনুদানের প্রস্তাব পাশ করে দেওয়া হল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সভায় এও জানতে চাওয়া হয়েছে, কেন বিশাল মাইনে দিয়ে বোর্ডের জেনারেল ম্যানেজার (মার্কেটিং) পদে কাউকে নিয়োগ করা হয়েছে।

বৈঠক শেষে শ্রীনিবাসন কোনও কথা বলেননি। বোর্ডের প্রাক্তন সচিব নিরঞ্জন শাহ বৈঠক শেষে অভিযোগ জানান, সিওএ-র তরফে বোর্ডের কারও সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিওএ প্রধান বিনোদ রাই-কে এ নিয়ে সংবাদ সংস্থার তরফে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন