বাংলার বয়স ভাঁড়ানোর লজ্জা গড়াল এ বার জাতীয় ফুটবলে

বয়স ভাঁড়ানোর রোগ সারছেই না আইএফএ-র। রোগটা কী ভাবে আইএফএ-র রন্ধ্রে-রন্ধ্রে ডালপালা মেলেছে এ বার তা জানান দিল মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৫ দল। যার জেরে অনূর্ধ্ব-১৫ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে নামই তুলে নিতে বাধ্য হল বাংলা। কটকে এই টুর্নামেন্ট শুরু শুক্রবার। বাংলা দল রওনা হওয়ার আগে অনূর্ধ্ব-১৫ বয়স নির্ণয়ের যে ডিজিট্যাল পরীক্ষা হয়, তাতে ২৩ জনের মধ্যে পাশ করেছে মাত্র পাঁচ জন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০১৫ ০৩:২৩
Share:

বয়স ভাঁড়ানোর রোগ সারছেই না আইএফএ-র। রোগটা কী ভাবে আইএফএ-র রন্ধ্রে-রন্ধ্রে ডালপালা মেলেছে এ বার তা জানান দিল মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৫ দল। যার জেরে অনূর্ধ্ব-১৫ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে নামই তুলে নিতে বাধ্য হল বাংলা। কটকে এই টুর্নামেন্ট শুরু শুক্রবার। বাংলা দল রওনা হওয়ার আগে অনূর্ধ্ব-১৫ বয়স নির্ণয়ের যে ডিজিট্যাল পরীক্ষা হয়, তাতে ২৩ জনের মধ্যে পাশ করেছে মাত্র পাঁচ জন। এর পরেই কটকে আর দল পাঠানোর ঝুঁকি নেয়নি আইএফএ। সংগঠকদের জানিয়ে নাম তুলে নেন বাংলার ফুটবল কর্তারা।

Advertisement

প্রশ্ন উঠছে রাজ্যে যখন মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৫ লিগই নেই, তখন কীসের ভিত্তিতে আইএফএ তার জাতীয় প্রতিযোগিতায় টিম পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল? ১৮ জনের ডিজিট্যাল পরীক্ষায় পাশ না করতে পারার অর্থ এদের কারওরই বয়সের শংসাপত্র ঠিক নয়। তা হলে আইএফএ ফুটবলার বাছতে গিয়ে কাদের বাছল?

সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় মঙ্গলবারই গিয়েছেন চন্ডীগড়। ফোনে বারবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। মেয়েদের ফুটবল বিভাগ যিনি দেখভাল করেন আইএফএ-র সেই সহ-সচিব কৌশিক বসু বললেন, ‘‘বাবা মারা যাওয়ায় বাড়িতে রয়েছি। আইএফএ-তে যেতে পারিনি। তাই কোনও মন্তব্য করতে পারছি না।’’

Advertisement

নার্সারি লিগে বয়স ভাঁড়ানো বন্ধ করতে গিয়ে আবার বেরিয়ে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। এ দিন নার্সারি লিগে বয়স ভাঁড়ানো প্রতিরোধে আইএফএ-র ডাকা সভা থেকে জানা গিয়েছে, ৩৫ টিমের একশোরও বেশি ফুটবলার বয়স ভাঁড়িয়ে খেলছিল এই লিগে। যাদের নাম বা ক্লাবকে আইএফএ সামনে আনতে না চাইলেও ইতিমধ্যেই পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ এই ফুটবলারদের ক্লাবে চিঠি পাঠিয়ে তাদের বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আইএফএ। ময়দানের তিন প্রধানের মধ্যে ইস্টবেঙ্গল নার্সারি লিগে খেলছে না। মোহনবাগানের আট জন রয়েছে এই একশো অনুত্তীর্ণের দলে।

আইএফএ-র চিঠি পাওয়ার পর যদি সংশ্লিষ্ট ফুটবলারকে নিয়ে তার ক্লাবের পাল্টা বক্তব্য থাকে, তা হলে সাত দিনের মধ্যে আবেদন করতে হবে। তবে ফের পরীক্ষায় যদি ফুটবলারটি পাশ না করে তা হলে ক্লাব ও ফুটবলার দু’জনের বিরুদ্ধেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন