চোট পেয়ে এত দিন বাইরে থাকা আহত খেলোয়াড়রা আবার গ্র্যান্ড স্ল্যামে ফিরছে। বাকিদের কথা আমি অতটা বলতে পারব না, তবে আমার নজর রয়েছে নোভাক জকোভিচের ওপর। দেখে মনে হচ্ছে, জকোভিচ যথেষ্ট ফিট অবস্থায় আছে। ওর কনুইয়ের অবস্থা কী রকম, সেটা ও কোর্টে নামলেই বুঝতে পারবে। কিন্তু এতটুকু বলা যায়, জকোভিচ সুস্থ এবং কোর্টে নামার জন্য মুখিয়ে আছে।
তবে জকোভিচের প্রথম ম্যাচটা কিন্তু বেশ কঠিন। প্রতিপক্ষ ডোনাল্ড ইয়ং। ওকে হারাতে পারলে পরের রাউন্ডের চ্যালেঞ্জ আরও শক্ত। তখন পাবে জাইলস মঁফিলস-কে। জকোভিচের সঙ্গে এ বার কোচ হিসেবে আছে রাদেক স্টেপানেক। যে জকোভিচের দীর্ঘ দিনের সঙ্গী এবং ওর হিটিং পার্টনারও। এর সঙ্গে তো আন্দ্রে আগাসি তো আছেই। দু’জনের পরামর্শই খুব কাজে দেবে জকোভিচের।
বাকি যারা চোট সারিয়ে ফিরে আসছে, তাদের মধ্যে আছে প্রাক্তন চ্যাম্পিয়ন স্টানিসলাস ওয়ারিঙ্কা। অ্যান্ডি মারের আবার অস্ত্রোপচার হওয়ার কারণে ওকে ছিটকে যেতে হল। এই পরিস্থিতিতে কিন্তু নিক কিরিয়স-কে নিয়ে আগ্রহ বাড়ছে। স্থানীয় ছেলেটার ওপরে নজর থাকবে সবার। ও ভাল ফর্মেই আছে। এখানে আসার আগে ব্রিসবেনে জিতে এসেছে। কিরিয়সের প্রতিভা নিয়ে কখনও কোনও সন্দেহ ছিল না। প্রশ্ন আছে ওর মানসিকতা নিয়ে। এখন দেখে মনে হচ্ছে, ও তৈরি। এটা ওর সামনে একটা বড় সুযোগ। এ ছাড়া তরুণদের মধ্যে নজর রাখতে হবে ডমিনিক থিয়েম, আলেক্সান্ডার জেরেভদের উপরেও।
তবে সবার নজর থাকবে সব চেয়ে তরুণ খেলোয়াড়ের ওপর— রজার ফেডেরার! দশ বছর আগে যে রকম খেলত, এখনও সে রকমই খেলে চলেছে। সে রকমই তরতাজা আর টগবগে দেখাচ্ছে। সত্যিই অবিশ্বাস্য হবে যদি দেখা যায় ফেডেরার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ট্রফিটা ধরে রাখল। কিন্তু আগের বছর যে ভাবে ফেডেরার এবং রাফায়েল নাদাল মিলে চারটে গ্র্যান্ড স্ল্যাম নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিল, তার পরে তো রূপকথায় বিশ্বাস না করে উপায় নেই।
সেরিনা উইলিয়ামস না থাকায় মেয়েদের বিভাগে লড়াইটা অনেক সমানে সমানে হয়ে গিয়েছে। আমি অন্তত দশ জনের কথা বলতে পারি, যারা প্রথম সপ্তাহটা পেরিয়ে এলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ক্ষমতা রাখে। গারবিনে মুগুরুজা, সিমোনা হালেপ, মারিয়া শারাপোভা, অ্যাঞ্জেলিক কের্বের এ রকম কয়েকটা নাম।
হ্যাঁ, এটা ঠিক যে আমরা সেরিনার সেই আধিপত্য দেখব না, কিন্তু লড়াইটা সমানে সমানে হওয়ায় উত্তেজনা কম হবে না। শারাপোভা নিজের জন্য একটা রূপকথা না লিখলে আমরা কোনও নতুন চ্যাম্পিয়ন পেতে চলেছি মেয়েদের থেকে।