India

সন্ত্রাস বন্ধ না হলে হবে না ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক সিরিজ: কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী

ছ’কোটি ডলার ক্ষতিপূরণের আইনি নোটিস এবং তা নিয়ে ভারত, পাকিস্তান দুই দেশের বোর্ডের মধ্যে আলোচনা শুরুর ঠিক আগেই ফের হুঙ্কার দিলেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী বিজয় গোয়েল। দুই বোর্ডের মধ্যে আলোচনা হলেও দ্বিপাক্ষিক সিরিজের বিষয় যে শেষ সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রই, তা স্পষ্ট করে দিলেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০১৭ ১৮:২২
Share:

ছবি: সংগৃহীত

ছ’কোটি ডলার ক্ষতিপূরণের আইনি নোটিস এবং তা নিয়ে ভারত, পাকিস্তান দুই দেশের বোর্ডের মধ্যে আলোচনা শুরুর ঠিক আগেই ফের হুঙ্কার দিলেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী বিজয় গোয়েল। দুই বোর্ডের মধ্যে আলোচনা হলেও দ্বিপাক্ষিক সিরিজের বিষয় যে শেষ সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রই, তা স্পষ্ট করে দিলেন তিনি। ফলে বিসিসিআই-পিসিবি আলোচনা হলেও দ্বিপাক্ষিক সিরিজের আশা যে বিশ বাঁও জলে তা নিয়ে মোটামুটি নিশ্চিত ক্রিকেটপ্রেমীরা।

Advertisement

সম্ভবত সোমবার দুবাইয়ে পিসিবি প্রেসিডেন্ট শাহরিয়ার খান সঙ্গে আলোচনায় বসবেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট অমিতাভ চৌধুরী। শাহরিয়ার খান ছাড়াও এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা পিসিবি ও বিসিসিআইয়ের আইনজীবীদের। সাক্ষাতের মূল উদ্দশ্যে ভারতকে পাঠানো পাকিস্তানের আইনি নোটিস নিয়ে আলোচনা। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সিরিজ না খেলার করণে এক লক্ষ মার্কিন ডলার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয়েছে বলে দাবি পাকিস্তানের। আর এই কারণেই চলতি মাসে ছ’কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে বিসিসিআই-কে আইনি নোটিস পাঠায় পিসিবি।

আরও পড়ুন: কিউইদের বিরুদ্ধে প্রস্ততি ম্যাচে রান পেলেন বিরাট, সফল শামি

Advertisement

বিগত ৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক টানাপড়েন ও সন্ত্রাসের জন্য ক্রিকেট সার্কিটের সব থেকে উত্তেজক সিরিজ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন ক্রিকেট প্রেমীরা। দুই বোর্ডের পক্ষ থেকে বারবার চেষ্টা চালালেও খোলেনি জট। অবশেষে ২০১৪ সালে সাক্ষরিত চুক্তিতে দুই বোর্ড সহমত হয় ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্য ৬টি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলার বিষয়। কিন্তু এর পরই দেখা দেয় জটিলতা। সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতীয় সেনার উপর হামলা এবং জঙ্গি অনুপ্রবেশের কারণে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারত সরকার। ফলে ২০১৫-এর পর ২০১৭ তেও অনিশ্চিয়তার মুখে এই সিরিজ।

সোমবার কেন্দ্রীয় ক্রিড়ামন্ত্রী বিজয় গোয়েল বলেন, “পাকিস্তানের তরফ থেকে সন্ত্রাসহানা বন্ধ না করা পর্যন্ত দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজন করা কখনই সম্ভব নয়।” এবং তাঁর বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে তিনি এটাও বুঝিয়ে দেন বিসিসিআই যাই করুক শেষ সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় সরকারই।

তিনি বলেন, “পাকিস্তানকে কোনও প্রকার প্রস্তাব দেওয়ার আগে ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে বোর্ডকে।” তবে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও আইসিসি বা কোনও মেজর টুর্নামেন্টে দুই দেশ মুখোমুখি হলে কোনও আপত্তি নেই ভারত সরকারের এ বিষয়ও এদিন পরিস্কার করে দেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন