আগ্রাসী: ৪৩ বলে ৮৪ রান। দলকে জয় উপহার টার্নারের। গেটি ইমেজেস
চতুর্থ ওয়ান ডে-তে ভারতের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড রান তাড়া করার অন্যতম প্রধান কারিগর পিটার হ্যান্ডসকম্ব জানতেন সতীর্থ অ্যাশটন টার্নার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারবেন। হ্যান্ডসকম্বের সেঞ্চুরির পাশাপাশি টার্নারের ৪৩ বলে ৮৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস অস্ট্রেলিয়াকে ১৩ বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে (৩৫৯) পৌঁছে দেয়।
‘‘অ্যাশটন দুর্দান্ত ক্রিকেটার। বিগ ব্যাশ লিগে (পার্থ স্করচার্সের হয়ে) গত কয়েক মরসুম ধরে আমরা দেখেছি ও কতটা বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারে। আমরা জানতাম ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও সেটা দেখা পারবে। বুমরাকে ও যে ভাবে সামলেছে, সেটা দারুণ লেগেছে। এই ইনিংসটা ওকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এগিয়ে যেতে প্রচুর আত্মবিশ্বাস দেবে,’’ বলেছেন হ্যান্ডসকম্ব।
শুধু তাই নয়, মোহালির মাঠে টার্নার-ঝড় শুরু হওয়ার পরে অস্ট্রেলীয় ড্রেসিংরুমে কুসংস্কারের জন্য কেউ জায়গা ছেড়ে উঠছিলেন না। সে কথাও ফাঁস করেন হ্যান্ডসকম্ব। ‘‘তখন দারুণ একটা ব্যাপার হয়েছিল। কুসংস্কার চেপে ধরেছিল সবাইকে। কেউ নিজের জায়গা ছেড়ে উঠছিল না তখন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নেমেই ওকে এ রকম একটা ইনিংস খেলতে দেখা, সত্যিই অন্য রকম একটা অনুভূতি ছিল সবার,’’ বলেছেন তিনি।
শুধু টার্নারের জন্যই নয়, ব্যক্তিগত দিক থেকেও রবিবারের ওয়ান ডে তাঁর খেলোয়াড় জীবনে সেরা ম্যাচ বলে মন্তব্য করেন হ্যান্ডসকম্ব। ওয়ান ডে ক্রিকেটে তাঁর প্রথম সেঞ্চুরির পাশাপাশি উসমান খোয়াজার সঙ্গে ১৯২ রানের পার্টনারশিপও গড়েন হ্যান্ডসকম্ব। যে সাজানো মঞ্চে বাজিমাত করে যান টার্নার। উচ্ছ্বসিত হ্যান্ডসকম্ব বলেছেন, ‘‘নিজের অনুভূতি প্রকাশ করার মতো ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। আমার কেরিয়ারের সেরা ম্যাচ। সিরিজের শেষ ম্যাচ এবং আসন্ন বিশ্বকাপে নামার আগে এই জয় আমাদের দারুণ আত্মবিশ্বাস দেবে। আমি এই জয়ে অবদান রাখতে পেরেই খুশি।’’নিজের প্রথম ওয়ান ডে সেঞ্চুরি নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘ফের ওয়ান ডে ক্রিকেট খেলতে পারব ভাবিনি। কী ভাবে পরিস্থিতি বদলে যায়, ভাবলে মজা লাগে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মাঠে নামার সুযোগ পেয়ে খুশি। আমার উপরে নির্বাচকেরা বিশ্বাস রেখেছিলেন। সেই বিশ্বাসের মর্যাদা দিতে পেরে আরও ভাল লাগছে।’’
অস্ট্রেলিয়া রান তাড়া করতে নামার সময় মাঠে শিশির পড়ার জন্য ভারতীয় দলের পক্ষে পরিস্থিতি কঠিন হয়ে উঠেছিল বলেও মনে করেন তিনি। ‘‘শিশিরের জন্য ভারতের রিস্ট স্পিনারদের (যুজবেন্দ্র চহাল ও কুলদীপ যাদব) খুব সমস্যা হচ্ছিল। ওদের পক্ষে পরিস্থিতি ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছিল। ওরা খুব ভাল বোলার। তবে আমরাও ওদের বিরুদ্ধে ভাল খেলেছি।’’ খোয়াজার সঙ্গে তাঁর ১৯২ রানের পার্টনারশিপে তাঁদের মধ্যে খুব বেশি কথাবার্তা হয়নি, তাও
জানান হ্যান্ডসকম্ব।