আজ বিশ্বকাপের শাপমুক্তির খোঁজে নেইমাররা।
হন্ডুরাসের বিরুদ্ধে অলিম্পিক্স সেমিফাইনাল ম্যাচের সময়ই গ্যালারি থেকে আওয়াজটা ওঠে। ম্যাচের সবে প্রথমার্ধ, ব্রাজিল জিতছে তিন গোলে। তখনই ব্রাজিলীয় সমর্থকরা চিৎকার শুরু করেন, ‘জার্মানি অপেক্ষা করো একটু। তোমার সময় আসছে!’
নাইজেরিয়াকে হারিয়ে জার্মানি অলিম্পিক্স ফাইনালে উঠবে কি না, জানা ছিল না তখনও। সমর্থকরা জানতেন না। ব্রাজিল ফুটবলাররা জানতেন না। পরে ব্রাজিলের ডগলাস স্যান্টোসের কানে ব্রাজিল-জার্মানি ফাইনালের ব্যাপারটা তোলা হয়। স্যান্টোস শুধু বলেন, ‘‘প্রতিশোধ হিসেবে এটাকে আমি দেখি না। দেখছি, সুযোগ হিসেবে। সমর্থকরা যে দগদগে ঘা-টা নিয়ে আজও বলাবলি করেন, এই ম্যাচ আমাদের কাছে তা কিছুটা মুছিয়ে দেওয়ার সুযোগ। ঈশ্বর চাইলে, আমরা হয়তো স্কোরলাইনটা উল্টে দেব!’’
স্যান্টোস আক্রমণাত্মক কথা বলেননি। ব্রাজিলের বাকি ফুটবলাররাও বলছেন না। টিমের অলিম্পিক্স কোচ রোজেরিও মিকালে পড়েছেন নেইমারকে নিয়ে। বলে দিয়েছেন, হন্ডুরাসের বিরুদ্ধে ছ’গোলে জেতার ম্যাচে নেইমার নাকি ‘দানব’ হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু নেইমাররা না বললেও বাদবাকি বিশ্ব যে ম্যাচটাকে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের শাপমুক্তির একটা ছোটখাটো মঞ্চ হিসেবেই দেখছে! অলিম্পিক্স ফাইনাল আর বিশ্বকাপ এক নয়। অলিম্পিক্স ফাইনালে জার্মানিকে গুঁড়িয়ে দিলেও যে বেলো হরাইজন্তের কাপ সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে ১-৭ হারের যন্ত্রণা থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি ঘটবে ব্রাজিল ফুটবলের, এমন নয়। দু’টো টিম এক নয়। তারকা বলতে শুধু নেইমার। তবে দুধের স্বাদ ঘোলে তো মিটবে। কিন্তু যে মাঠে ফাইনাল—সেটাও তো কম যন্ত্রণার নয় ব্রাজিলের কাছে। এই মারাকানাতেই ১৯৫০-এর বিশ্বকাপ ফাইনালে উরুগুয়ের কাছে অপ্রত্যাশিত হার। যা এখনও কাঁদায় ব্রাজিলকে। দ্রষ্টব্য একটাই। অভিশাপের মারাকানা ব্রাজিল ফুটবলে এ বার কিছুটা শান্তি লাভের মঞ্চ হয়ে ওঠে কি না।
ফুটবলে আজ সোনার লড়াইয়ে
ব্রাজিল বনাম জার্মানি
(রাত ২-০০)