নজরে: অনুশীলনে রাফা, জোকার। আজ দু’জনেই নামবেন। ছবি: এএফপি
একে তো উইম্বলডনের সেন্টার কোর্টে খেলতে না দেওয়ার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। তার ওপরে তাঁর প্রতিবেশী দেশ ক্রোয়েশিয়াকে বিশ্বকাপ ফুটবলে সমর্থন করায় তাঁর দেশের রাজনীতিবিদরা নোভাক জোকোভিচের উপর বেশ ক্ষুব্ধ। উইম্বলডনে শেষ আটের লড়াই শুরুর আগে উত্তাপ বাড়িয়ে দিলেন জোকার।
তিন বারের চ্যাম্পিয়ন তিনি। অথচ সেন্টার কোর্টে খেলতে দেওয়া হচ্ছে না তাঁকে! নাদাল, ফেডেরাররা পরপর সেন্টার কোর্টে ম্যাচ খেলে চলেছেন। আজ, বুধবার কোয়ার্টার ফাইনালের আগে যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন জোকোভিচ। বলেছেন, ‘‘বরাবর আমার ম্যাচ সেন্টার কোর্টে দেওয়া নিয়েই উইম্বলডন কর্তাদের এত ভাবনাচিন্তা করতে হয় কেন কে জানে?’’ চারটি কোয়ার্টার ফাইনালের দু’টি হবে সেন্টার কোর্টে ও অন্য দু’টি এক নম্বর কোর্টে। জোকোভিচের ম্যাচ সেন্টার কোর্টে দিতে গেলে হয় নাদাল, নয়তো ফেডেরারের ম্যাচ সেখান থেকে সরাতে হবে। জোকোভিচ ক্ষোভ দেখানোর পরে এখন ধন্দে পড়েছেন আয়োজকরা। নাদাল, ফেডেরারের ম্যাচ সেন্টার কোর্টে না হলে আপত্তি জানাতে পারে স্পনসর ও টিভি সংস্থা।
বুধবার ছেলেদের সিঙ্গলস কোয়ার্টার ফাইনালে বিশ্বের এক নম্বর রাফায়েল নাদাল ও পঞ্চম বাছাই খুয়ান দেল পোত্রোর লড়াই সেরা আকর্ষণ হতে যাচ্ছে। প্রতিযোগিতার শীর্ষবাছাই রজার ফেডেরার খেলবেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিগ সার্ভার কেভিন অ্যান্ডারসনের বিরুদ্ধে।
এ দিন টুইটারে ফেডেরারের একটি ফরোয়ার্ড ডিফেন্সের ভিডিয়ো দেখে সচিন তেন্ডুলকর মন্তব্য করেন, ‘‘চোখ-হাতের অনবদ্য মেলবন্ধন। নবম উইম্বলডন খেতাব জয়ের পরে ক্রিকেট ও টেনিসের নোট বিনিময় করি চলো।’’ জবাবে ফেডেরার লেখেন, ‘‘দেরি কেন? এখনই নোট নিতে তৈরি আমি।’’ সচিনও লেখেন, ‘‘হা হা...ঠিক আছে। আমি তোমাকে স্ট্রেট ড্রাইভ শেখাব। তুমি আমাকে ব্যাকহ্যান্ডটা শিখিয়ে দিও। এ বার তোমার খেলা দেখতে যেতে পারছি না। টিভির সামনে বসে থাকব। শুভেচ্ছা রইল। আশা করি, আগামী বছর দেখা হবে।’’
ফেডেরার এ রকম ফুরফুরে মেজাজে থাকলেও জোকোভিচ নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তাঁরই দেশের শাসক দলের নেতা ভ্লাদিমির জুকানোভিচ। বিশ্বকাপে লুকা মদ্রিচ, ইভান রাকিতিচদের সমর্থন করার অপরাধে।