অভিযোগ অস্বীকার ফেডারেশনের

হয়তো মরেই যেতাম, জৈশার বিস্ফোরণ কর্তাদের বিরুদ্ধে

অলিম্পিক্স শেষে ভারতীয় মহিলা অ্যাথলিটদের বন্দনায় ব্যস্ত গোটা দেশ। এর মাঝেই উঠে এল দেশের এক মহিলা অ্যাথলিটের প্রতি চরম উপেক্ষার কাহিনি। ম্যারাথন রানার ওপি জৈশা বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন দেশের অলিম্পিক্স কর্তাদের বিরুদ্ধে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৬ ০৩:৪৫
Share:

রেস শেষে ট্র্যাকে লুটিয়ে জৈশা। ছবি টুইটার

অলিম্পিক্স শেষে ভারতীয় মহিলা অ্যাথলিটদের বন্দনায় ব্যস্ত গোটা দেশ। এর মাঝেই উঠে এল দেশের এক মহিলা অ্যাথলিটের প্রতি চরম উপেক্ষার কাহিনি। ম্যারাথন রানার ওপি জৈশা বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন দেশের অলিম্পিক্স কর্তাদের বিরুদ্ধে।

Advertisement

অভিযোগ— ৪২ কিলোমিটারের ম্যারাথন দৌড়নোর সময় এনার্জি ড্রিঙ্কস তো দূরের কথা, তাঁর জন্য জলের ব্যবস্থাও করেননি রিওয় উপস্থিত অলিম্পিক্স কর্তারা। ট্র্যাকের বিভিন্ন জায়গায় সংশ্লিষ্ট দেশের কর্তাদের জন্য স্টেশন ছিল, যেখানে তাঁরা অ্যাথলিটের জন্য জল ও ড্রিঙ্কস-সহ বসতে পারেন। তবু তার কোনও প্রয়োজন মনে করেননি কর্তারা। অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে, রেস শেষে ওপি জৈশাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়।

‘‘ওখানে প্রচণ্ড গরম ছিল। সকাল ন’টায় ম্যারাথন শুরু হয়েছিল। প্রচণ্ড রোদের মধ্যে দৌড়তে হচ্ছিল,’’ দেশে ফিরে বলেছেন জৈশা। মেয়েদের ম্যারাথনে যিনি ৮৯ নম্বরে শেষ করেন। তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘ওই অবস্থাতেও আমাদের জন্য জলের কোনও ব্যবস্থা ছিল না। রিকভারি ড্রিঙ্কস বা খাবারও নয়। অলিম্পিক্স সংগঠক কমিটি আট কিলোমিটার অন্তর জল দিচ্ছিল, কিন্তু তাতে কোনও উপকারই হয়নি। দু’কিলোমিটার অন্তর প্রতিটা দেশের স্টল ছিল। আমাদের স্টলগুলো সব খালি পড়ে ছিল।’’

Advertisement

তবু ম্যারাথন শেষ করেছিলেন জৈশা। ফিনিশিং লাইন পেরনো মাত্র মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রায় ঘণ্টা তিনেক অচৈতন্য ছিলেন তিনি। যেখানে আবার এক ডাক্তারের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তাঁর কোচ নিকোলাই স্নেসারেভ। অর্ধেক দিন স্থানীয় পুলিশের হেফাজতে থাকতে হয় তাঁকে।

জৈশা আরও বলছেন, ‘‘নিয়মই হল যে, টেকনিক্যাল অফিশিয়ালরা আমাদের জল দেবে। অন্য টিমের কাছ থেকে আমরা জল নিতে পারি না। প্রচুর সমস্যা হচ্ছিল। আমাকে গ্লুকোজ দেওয়া হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল আমি মারা যাব,’’ পরে কর্তাদের জৈশা জিজ্ঞেস করেন, জলের ব্যবস্থা কেন ছিল না। ‘‘কোনও উত্তর পাইনি। অ্যাথলেটিক্স দলে প্রচুর লোক ছিল। তাদের মধ্যে যে কেউ এটা করতে পারত। জানি না ওরা কোথায় ছিল,’’ বলেছেন জৈশা।

রাতে অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া(এএফআই) অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। নিজেদের সরকারি বিবৃতিতে এএফআই জানায়, ‘‘জৈশা কোনও এনার্জি ড্রিঙ্ক নিতে চায়নি। ওকে বলা হয়েছিল এনার্জি ড্রিঙ্কের কথা।’’ এর আগে সংস্থার সচিব সিকে ভালসন, যিনি নিজে রিও অলিম্পিক্সে উপস্থিত ছিলেন, বলেন, ‘‘জল বা এনার্জি ড্রিঙ্কস দেওয়ার দায়িত্ব তো সংগঠকদের। কেউ বলেনি যে ওদের আলাদা করে জল ইত্যাদি লাগবে।’’ জৈশা বাদেও ম্যারাথনে ছিলেন ভারতের কবিতা রাউতও। যিনি বলছেন, ‘‘আমি এ রকম কোনও সমস্যায় পড়িিন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন