প্রত্যাবর্তন: ফের কলকাতায় ওডাফা। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
কখনও বিনয়ী। কখনও বা খোঁচা খেলে বেরিয়ে আসে সেই পুরনো দর্প। কখনও কথা বলেন দার্শনিকের মতো।
আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনে সাদার্ন সমিতির হয়ে খেলতে কলকাতায় পা দেওয়ার দিনে এটাই ওডাফা ওকোলি-থ্রি।
ভারতীয় ফুটবলের ‘কিং কোবরা’-র কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল কলকাতায় তৃতীয় ইনিংসে তাঁর নতুন কিছু প্রমাণ করার আছে কি না। ওডাফার চটজলদি জবাব, ‘‘প্রমাণ! ওডাফা ইজ ওডাফা। শূন্য পয়েন্ট থেকে মোহনবাগানের আই লিগে অবনমন বাঁচিয়েছি। স্পোর্টিং ক্লুব দ্য গোয়াকেও অবনমনে পড়তে দিইনি দশ ম্যাচ খেলে।’’
তা বলে দ্বিতীয় ডিভিশন আই লিগে? চোয়াল শক্ত করে ওডাফা ওকোলি বলেন, ‘‘দেশ থেকে ফিরতে দেরি হওয়ায় আই লিগ খেলা হল না। কলকাতায় ফিরতে চেয়েছিলাম। সাদার্ন কর্তাদের বলেছি, টাকার জন্য ভেবো না। ফুটবলটা খেলতে চাই। খরচা বাঁচাতে সাউথ সিটিতে থাকব না। তবে মাটন বিরিয়ানি চাই।’’
নিজের টিম সম্পর্কে সাদার্ন সমিতির নবাগত বিদেশির মূল্যায়ন, ‘‘সন্দীপ, দীপক, কালু ওগবার মতো অভিজ্ঞরা আছে। আমি গোল করবই। রবিবার থেকেই অনুশীলনে নামছি।’’
কিন্তু আপনার পুরনো চোট? ওডাফার উত্তর, ‘‘চোট সেরে গিয়েছে। রোজ জিমে যাচ্ছি।’’
পুরনো ক্লাব মোহনবাগান নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেন, ‘‘আই লিগের সবচেয়ে শক্তিশালী টিম মোহনবাগান। লিগ এখনও ‘ওপেন’। সনিরা বাকি ম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট করলে তবেই আইজল বা ইস্টবেঙ্গলে যাবে ট্রফিটা।’’
সবুজ-মেরুনে তাঁকে সরিয়েই সূচনা সনি নর্দে যুগের। যে প্রসঙ্গে ওডাফা দার্শনিকের মতো বলেন, ‘‘কলকাতায় চিমা, এমেকা, ব্যারেটোর পর আমি তারকা ছিলাম। এখন সনির জমানা চলছে।’’ পরক্ষণেই বলে ওঠেন, ‘‘আমাকে মোহনবাগানে একাই বল নিয়ে গিয়ে গোল করতে হত। জেজে, কাতসুমি, সনিরা তখন থাকলে দেখতেন...।’’
আইএসএল! প্রসঙ্গ শুনেই মুখের ভূগোল বদলে যায় সাদার্ন সমিতির স্ট্রাইকারের। বলে দেন, ‘‘পাঁচ মিনিটের বেশি দেখা যায় না। ওদের চেয়ে আমি অনেক ভাল খেলি।’’
কে বলে বদলে গিয়েছেন! ওডাফা আছেন ওডাফাতেই।