অলিম্পিক্সে ভারতের শেষ আশাও শেষ হয়ে গেল। যে যোগেশ্বর দত্তকে ঘিরে শেষ পদকের স্বপ্ন দেখছিল পুরো ভারত তা মাঠেই মারা গেল। যোগ্যতা অর্জন পর্বেই ছিটকে গেলেন যোগেশ্বর। কুস্তির ৬৫ কেজি ফ্রি স্টাইলের যোগ্যতা নির্ণায়ক পর্বে মঙ্গোলিয়ার গ্যানজোরিজিন মানদাখনারানের কাছে ৩-০তে হেরে অলিম্পিক্স থেকে বিদায় নিলেন ভারতের শেষ ভরসা। মাত্র দুটো পদক নিয়েই এ বার সন্তুষ্ট থাকতে হল ভারতকে। কুস্তিতে ভারতের সব আশা শেষ হয়ে গেল এর সঙ্গেই। এর আগে সন্দীপ তোমার, রবীন্দর খত্রী, হরদীপ সিংহরা ছিটকে গিয়েছেন খালি হাতেই। ভাগ্যিস ব্রোঞ্জ জিতে মান রেখেছিলেন সাক্ষী মালিক। না হলে কুস্তির ভাড়ার শূন্যই থেকে যেত।
যদিও যোগেশ্বর দত্ত-এর রিওর রাস্তাটা সহজ ছিল না। ২০১৫তে পর পর তিনবার অস্ত্রোপচারের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল তাঁকে। যার ফলে দীর্ঘদিন রিংয়ের বাইরে ছিলেন তিনি। ৩৩ বছর বয়সে এটাই ছিল তাঁর সামনে দ্বিতীয় পদক জয়ের সুযোগ। লড়াইয়ের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন যোগেশ্বরের প্রতিপক্ষ। একটু ধীর গতিতেই শুরু করেছিলেন যোগেশ্বর। যেখান থেকে আর ম্যাচে ফিরতে পারলেন না তিনি। অলিম্পিক্সের শেষ ইভেন্টে শেষ হাসি হাসা হল না ভারতের। একটা ব্রোঞ্জ দিয়েছিলেন সাক্ষী, একটা রুপো এনে দিয়েছিলেন সিন্ধু। একটা মেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শেষ করেছিলেন চতুর্থ স্থানে। তিনি দীপা। কিন্তু যাঁদের নিয়ে প্রথম থেকে স্বপ্ন দেখেছিল দেশ সেই ভারতীয়রা প্রতিযোগিতায় নামার আগেই যেন হেরে ফিরে এলেন দেশে।
টেনিস, হকি, কুস্তি, ভারোত্তলন সব কিছু নিয়েই তো এ বার স্বপ্ন দেখার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এত বড় দল তো কখনও ভারত থেকে যায়নি অলিম্পিক্সের আসরে। তাই হয়তো স্বপ্নটাও অনেক বড় ছিল। কিন্তু তেমনটা হল না। বরং একঝাঁক স্বপ্ন নিয়ে শেষ হল এ বারের অলিম্পিক্স। দীপারা দেখিয়ে গেলেন নতুন স্বপ্ন। শেষ হয়ে গেল অনেকেরই অলিম্পিক্স। তার মধ্যে সব থেকে বড় নাম অবশ্যই ভারতীয় শুটিংয়ের সব থেকে বড় বিজ্ঞাপন অভিনব বিন্দ্রা।
আরও খবর
‘যে ছেলেটাকে সপাটে চড় মেরেছিলাম, তার মুখটা মনে পড়ছিল’