লোঢা কমিটি বনাম ভারতীয় বোর্ড নাটকের মধ্যেই আর এক ‘শত্রু’র বিরুদ্ধে ফেটে পড়লেন অনুরাগ ঠাকুর। জাভেদ মিয়াঁদাদের ভারতবিরোধী মন্তব্য শুনে পাল্টা বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ভারতীয় বোর্ড প্রেসিডেন্ট।
ভারতের সার্জিকাল স্ট্রাইক নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে একটি পাকিস্তানি টিভি চ্যানেলকে মিয়াঁদাদ বলেন যে, ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামতে তৈরি তাঁর দেশ। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও একহাত নেন প্রাক্তন পাক অধিনায়ক। তাঁকে ‘মুডি’ বলা থেকে শুরু করে মোদী কোন পরিবেশে মানুষ হয়েছেন— নানা আপত্তিকর মন্তব্য করেন মিয়াঁদাদ। যা শুনে এ দিন অনুরাগ ঠাকুর বলেছেন, ক্রিকেট মাঠে এবং ক্রিকেট মাঠের বাইরেও ভারতের হাতে বারবার হেরে যাওয়ার ‘শক্’ এখনও ভোগাচ্ছে পাকিস্তানকে। মিয়াঁদাদকেও।
‘‘১৯৬৫, ১৯৭১ আর কার্গিল যুদ্ধে পাওয়া মানসিক আঘাত এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি পাকিস্তান। মিয়াঁদাদের অবস্থাটাও এক। বিশ্বকাপ ইতিহাসে ওঁর দেশ যে এক বারও ভারতকে হারাতে পারেনি, সেই ধাক্কা বোধহয় এখনও ওঁকে ভোগাচ্ছে। যদি দরকার পড়ে, তা হলে পাকিস্তানকে আবার হারাবে ভারত। সেটা যুদ্ধক্ষেত্রে হতে পারে, ক্রিকেট মাঠেও হতে পারে,’’ বলেছেন অনুরাগ। বোর্ড প্রেসিডেন্ট হওয়ার পাশাপাশি যিনি বিজেপি সাংসদও।
এখানেই থেমে থাকেননি অনুরাগ। মিয়াঁদাদের পারিবারিক ইতিহাস টেনে এনে এনেছেন। দাউদ ইব্রাহিমের মেয়েকে বিয়ে করেছেন মিঁয়াদাদের ছেলে। সেই প্রসঙ্গ থেকেই অনুরাগ বলেছেন, ‘‘মিয়াঁদাদ যদি নিজের দেশের মানুষ নিয়ে এতটাই আত্মবিশ্বাসী হন, তা হলে উনি বলুন না দাউদ ইব্রাহিমকে ভারতে ফিরে আসতে। উনি সেটা করছেন না কেন? আমরা বরাবর পাকিস্তানকে হারিয়ে এসেছি। ভবিষ্যতেও হারাব।’’
ইংল্যান্ডে ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি টুর্নামেন্টেও ভারত-পাক সম্পর্কের প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা। বোর্ডের কোনও কোনও সদস্য মনে করেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্যায়ে খেলতে হলে টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত ভারতের। যা নিয়ে অনুরাগের মন্তব্য, ‘‘ইমার্জেন্ট ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে বেশির ভাগ সদস্যই বলেছেন যে, আমাদের সিদ্ধান্তটা আইসিসিকে আগেভাগেই জানিয়ে দেওয়া উচিত। যাতে পরে কেউ টুর্নামেন্ট থেকে নাম তুলে নেওয়ার জন্য ভারতকে দোষ না দিতে পারে। যদি দুটো টিমকে আলাদা গ্রুপে রাখা হয়, তা হলে কেপটাউনে আমি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব। আইসিসির কাছে ভারতের অবস্থান পরিষ্কার করে দেব।’’ চলতি মাসে আইসিসির বোর্ড বৈঠক হওয়ার কথা কেপটাউনে।