বিশ্বকাপজয়ী পাক দলের অধিনায়ক। ছবি: সংগৃহীত।
রবিবার লন্ডনে বদলা চান ইমরান খান। এজবাস্টনে অপমানজনক হারের বদলা। দেশের ক্রিকেটারদের সেই বদলা নেওয়ারই অনুরোধ জানিয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী পাক দলের অধিনায়ক।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের হাতে পাকিস্তানের হারের পরে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন ইমরান। এ বার ফাইনালে ফের ভারতের সামনে তাঁর দেশ। এটাই হারানো সম্মান ফিরে পাওয়ার সেরা সুযোগ বলে মনে করেন ক্রিকেট কিংবদন্তি। শনিবার তিনি বলেন, ‘‘প্রথম ম্যাচে আমরা যে ভাবে হেরেছিলাম, সেই অসম্মানের বদলা নেওয়ার এটাই সেরা সুযোগ। ওই হারটা খুবই অপমানজনক ছিল। এ বার সেটাই ওদের ফেরত দেওয়ার পালা।’’
১৯৯২ বিশ্বকাপ হাতে তোলার পর ইমরানকেই পাকিস্তানের সর্বকালের সেরা ক্রিকেট অধিনায়ক বলা হয়। পাকিস্তান ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সমালোচকও তাঁকেই বলা হয়। নিজের দলের ছেলেদের তাতাতেও তিনি ওস্তাদ ছিলেন বলে শোনা যায়। সেই ইমরানের এই বিবৃতি এ বার সরফরাজ আমেদের ছেলেদেরও তাতিয়ে দিতে পারে।
প্রাক্তন অধিনায়ক পরামর্শও দিয়েছেন সরফরাজকে। পাকিস্তানের এক টিভি চ্যানেলে তিনি বলেন, ‘‘টসে জিতলে ভারতকে আগে ব্যাট করতে পাঠিও না। ভারতের ব্যাটিং শক্তিশালী। ওরা যদি আগে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে বিশাল রান তুলে ফেলে, তা হলে চাপে পড়ে যাবে। দ্বিগুন চাপে পড়ে যাবে। বোলাররা চাপে পড়বে। আর স্কোর বোর্ডে রান রেট বজায় রাখার চাপও চলে আসবে।’’
ইমরানের বিশ্লেষণ, আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে পাকিস্তান এই টুর্নামেন্টে উপকারই পেয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের স্পিনাররা মাঝের ওভারগুলোতে বিপক্ষের গলা চেপে ধরেছে। আর হাসান আলি তো দুর্দান্ত বোলিং করছে।’’ গতবারের হারের পর যে ইমরান বলেছিলেন, ‘‘পাকিস্তান ক্রিকেটের পরিকাঠামো না বদলালে কোনও উন্নতি হবে না’’, সেই ইমরান এখন বলছেন, ‘‘সরফরাজের মতো একজন ঝকঝকে অধিনায়ককে দেখে আমি অভিভূত।’’ জাভেদ মিয়াঁদাদ অবশ্য কাউকে ফেভারিট বাছতে নারাজ। বলেন, ‘‘দক্ষতা ও শক্তির বিচারে ভারত এগিয়ে। কিন্তু বড় ম্যাচে কার সময় কেমন যায়, এটাই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।’’