তিন বছর পরে ট্রফি জিতলেন কাশ্যপ

প্রায় তিন বছর পরে আন্তর্জাতিক কোনও ট্রফি জিতলেন স্বস্তিতে ভারতীয় ব্যাডমিন্টন তারকা। প্রাক্তন জাতীয় চ্যাম্পিয়ন এবং টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় বাছাই কাশ্যপ ফাইনালে স্ট্রেট গেমে হারান মালয়েশিয়ার জুন উয়েই চেয়ামকে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৫:০০
Share:

অস্ট্রিয়ায় একটি গেমও খোয়াননি কাশ্যপ। ফাইল চিত্র

চোট-আঘাতে বিপর্যস্ত ছিলেন বেশ কিছুদিন ধরে। অবশেষে অস্ট্রিয়ান ওপেন আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জে ট্রফি জিতে কিছুটা স্বস্তিতে ভারতের পারুপাল্লি কাশ্যপ।

Advertisement

প্রায় তিন বছর পরে আন্তর্জাতিক কোনও ট্রফি জিতলেন স্বস্তিতে ভারতীয় ব্যাডমিন্টন তারকা। প্রাক্তন জাতীয় চ্যাম্পিয়ন এবং টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় বাছাই কাশ্যপ ফাইনালে স্ট্রেট গেমে হারান মালয়েশিয়ার জুন উয়েই চেয়ামকে।

আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টনে এই সাফল্যে কাশ্যপ যতটা খুশি, ততটাই স্বস্তিতেও। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে সংবাদসংস্থাকে কাশ্যপ বলেন, ‘‘খুব কঠিন গেল সপ্তাহটা। সিঙ্গলস টুর্নামেন্টে বহুদিন এত ম্যাচ জিতিনি। তার উপরে দিনে দুটো করে রাউন্ড খেলা সহজ ছিল না। প্রায় একই প্রতিপক্ষদের সামলাতে গত তিনটে সুপার সিরিজে আমাকে প্রচুর চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে। জানতাম এই টুর্নামেন্টেও এই প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে আমাকে জিতে দেখিয়ে দিতে হবে। তাই নিজের পারফরম্যান্সে আমি এতটা খুশি।’’

Advertisement

কাশ্যপ এর আগে শেষ ট্রফি জিতেছেন ২০১৫-এ সৈয়দ মোদী আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপে। ৩১ বছর বয়সি ভারতীয় তারকা অবশ্য গত বছর যুক্তরাষ্ট্র ওপেন গ্রঁ প্রি গোল্ড টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছিলেন। ট্রফি জেতার পথে অস্ট্রিয়ায় এই টুর্নামেন্টে তিনি ধারাবাহিক ভাবে দুরন্ত পারফর্ম করেন। তাঁর দাপট কতটা ছিল সেটা পরিসংখ্যানেও পরিষ্কার। গোটা টুর্নামেন্টে তিনি একটিও গেম হারাননি।

যদিও ফাইনালে জেতাটা সহজ ছিল না। বিশ্বের ১২৬ নম্বর খেলোয়াড় চেয়াম প্রথম গেমে সমানে পাল্লা দিয়ে গিয়েছেন কমনওয়েলথ গেমস চ্যাম্পিয়ন কাশ্যপের সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত তিনটি গেম পয়েন্ট বাঁচিয়ে বিশ্বের ৪৪ নম্বর কাশ্যপ প্রথম গেম জেতেন। দ্বিতীয় গেমে অবশ্য তাঁকে আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ রাখতে দেখা যায়। শেষ পর্যন্ত ৩৭ মিনিটে তিনি ম্যাচ জিতে যান। ‘‘এ সপ্তাহে আমার ফিটনেস দুরন্ত ছিল। প্রতিপক্ষকে চাপে রাখার কৌশলটা তাই দারুণ ভাবে খেটে গিয়েছে এই টুর্নামেন্টে। আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগছিলাম আগে। তাই এই টুর্নামেন্টে জেতাটা সেই অভাবটা পূরণ করবে আশা করছি। কয়েকটা ম্যাচে আমি প্রথমে পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত ঘুরে দাঁড়িয়েছি,’’ বলেন কাশ্যপ। সঙ্গে তিনি জুড়ে দেন, ‘‘এই টুর্নামেন্টে সেমিফাইনাল, কোয়ার্টার ফাইনাল এবং ফাইনালেও আমি পিছিয়ে ছিলাম এক সময়ে। তবে পিছিয়ে গিয়েও আমি চাপে পড়ে যাইনি। ফাইনালে এক সময় আমি ১৮-১৫-এ এগিয়ে ছিলাম। তার পরে আমার প্রতিপক্ষ গতি পাল্টানোর চেষ্টা করে। স্ট্র্যাটেজিও বদলে ফেলে। সেই চেষ্টাটা আমি আটকে দিতে পেরেছি। ম্যাচের শেষ দিকে অযথা তাড়াহুড়ো করিনি। সেটাই কাজে লেগে যায়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন