ম্যাচের আগের দিন রাঁচির স্টেডিয়াম।
রাঁচিতে শ্রীলঙ্কা ম্যাচ ঘিরে যে উত্তেজনার চিত্র দেখা যাচ্ছে তা পুণেতে কিন্তু দেখা যায়নি। তার উপর আবার প্রথম ম্যাচ হেরে রাঁচিতে খেলতে নামবে টিন ধোনি। এমন অবস্থায় ঘরের ছেলের পাশে থাকতেই এক সপ্তাহ ধরে তৈরি হচ্ছিল রাঁচি। শহরের সব রাস্তা কয়েক দিন ধরেই গিয়ে মিশছে জেএসসিএ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এক তো টিকিটের জন্য হাহাকার। তার উপর ধোনি, রায়নাদের অনুশীলনে দেখে নেওয়া। কারণ, বিশ্বকাপের ম্যাচ পায়নি রাঁচি। ঘরের ছেলে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির অবসর নিয়ে সারাক্ষণই চলছে জল্পনা। সব মিলে রাঁচি এখন আবেগের ভেলায় ভেসে চলেছে।
এর মধ্যেই তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম ম্যাচ হেরে যাওয়ায় চাপ তৈরি হয়েছে দলের উপর। এই ম্যাচ হারলে বিশ্বকাপের আগে তারকাহীন শ্রীলঙ্কা দলের কাছে সিরিজ হেরেই বিশ্বকাপে নামতে হবে। তেমনটা চাইছে না টিম ম্যানেজমেন্ট। তাই রাঁচির ম্যাচই ভারতের কাছে শেষ লড়াই। সেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইকে সমর্থন করতে তৈরি পুরো রাঁচি। ৪০ হাজারের ভর্তি গ্যালারি তারই অপেক্ষায়। সব দামের টিকিট শেষ হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। কেউ যদি ভেবে থাকেন ম্যাচের দিন কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে মাঠে খেলা দেখতে ঢুকবেন তা হলে সে গুড়ে বালি। শেষ পাঁচ ম্যাচ দেখলে এগিয়ে রয়েছে ভারতই। তিনটি জিতেছেন ধোনিরা। দু’টি গিয়েছিল শ্রীলঙ্কার দখলে। শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংকে যে একটু বেগ দিয়েছেন তিনি অশ্বিন। এই ম্যাচে অভিষেক হতে পারে বাঁহাতি স্পিনার ও অলরাউন্ডার পবন নেগির। এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ টি২০র আগে এটাই তাঁকে দেখে নেওয়ার আসল মঞ্চ। চাপের মুখে দলকে কতটা সমর্থন করতে পারেন তিনি সেটাই দেখে নিতে চাইছে টিম ম্যানেজমেন্ট। অন্য দিকে, পুণে ম্যাচে সুযোগ পাওয়া হার্দিক পটেল নিজের সেরা দিতে ব্যর্থ। ব্যাট হাতে মাত্র দু’রান ও বল হাতে কোনও উইকেট আসেনি তাঁর ঝুলিতে। এমন অবস্থায় বাইরে বসতে হতে পারে তাঁকে। শ্রীলঙ্কার পক্ষে বাল খবর, হাতের চোট সারিয়ে দলে ফিরছেন তিলকরত্নে দিলশান।
রাঁচিতে এর আগে কখনও আন্তর্জাতিক টি২০ ম্যাচ খেলা হয়নি। এর আগে যে দুটো একদিনের ম্যাচ হয়েছে সেখানে বড় রান উঠতে দেখা গিয়েছে। আশা করা হচ্ছে বড় রানের ইনিংস দেখতে পাবে রাঁচির মানুষ। গত ম্যাচে কম রান সমস্যায় ফেলেছিল ভারতকে। এবার বড় রানের লক্ষ্যেই নামবে ভারতের ব্যাটসম্যানরা।
আরও খবর
ধারাবাহিকতার অভাব কে বলল গর্জন শাস্ত্রীর