পেরুর বিতর্কিত গোলে কোপা থেকে বিদায় ব্রাজিলের

হ্যান্ডবলের দাবি জোড়াল হচ্ছিল ব্রাজিল শিবিরে। রুইদিয়াজের শট ততক্ষণে পৌঁছে গিয়েছে ব্রাজিলের গোলে। পেরুর উচ্ছ্বাস, ব্রাজিলের দাবি তখন সবই থমকে রেফারির সিদ্ধান্তের উপর। লাইন্সম্যানদের সঙ্গে আলোচনায় ব্যস্ত রেফারি।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৬ ১৫:৩৩
Share:

একদিকে উচ্ছ্বাস, অন্য দিকে শোকের ছবি। পেরুর কাছে হারের পর কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ব্রাজিলের রেনাতো আগুস্তো। ছবি: এপি।

পেরু ১ (মারিও রুইদিয়াজ)

Advertisement

ব্রাজিল ০

হ্যান্ডবলের দাবি জোড়াল হচ্ছিল ব্রাজিল শিবিরে। রুইদিয়াজের শট ততক্ষণে পৌঁছে গিয়েছে ব্রাজিলের গোলে। পেরুর উচ্ছ্বাস, ব্রাজিলের দাবি তখন সবই থমকে রেফারির সিদ্ধান্তের উপর। লাইন্সম্যানদের সঙ্গে আলোচনায় ব্যস্ত রেফারি। এমন দৃশ্য ফুটবল মাঠে কমই দেখা গিয়েছে। দীর্ঘ আলোচনার পর গোল লেখা হল পেরুর নামে। মারাদোনার হ্যান্ড অফ গডকে উসকে দিয়ে হাতের ছোঁয়ায় ব্রাজিলকেই কোপা থেকে ছিটকে দিল পেরু।

Advertisement

পেরুর কাছে হেরে শেষ হয়ে গেল ব্রাজিলের কোপা আমেরিকার স্বপ্ন। গ্রুপ লিগ থেকেই ছিটকে যেতে হল নেইমারহীন ব্রাজিলকে। ৭৫ মিনিটে মারিও রুইদিয়াজের একমাত্র গোলে বাজিমাত পেরুর। ইকুয়েডরকে সঙ্গে নিয়ে পৌঁছে গেল কোয়ার্টার ফাইনালে।

আগের ম্যাচেই হাইতির বিরুদ্ধ ৭-১ গোলে জয়ের রেশ রীতিমতো হারিয়ে গেল পেরুর বিরুদ্ধে। হারতে হল ১-০ গোলে। এই ব্রাজিল সেই ব্রাজিল নয়। নেইমারহীন দুঙ্গার ব্রাজিলের নেই কোনও ধারাবাহিকতা। কোপা আমেরিকা সেন্তেনারিওর শুরুটা ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র দিয়েই করেছিলেন দানি আলভেজরা। দ্বিতীয় ম্যাচে জয়, তৃতীয় ম্যাচে হেরে ফেরার টিকিট কেটে ফেলল ব্রাজিল। অন্য ম্যাচে হাইতিকে ৪-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল ইকুয়েডর।

শুরুতে পেরুকে একটু হলেও চাপে রেখেছিল ব্রাজিল। ১৯ মিনিটে ব্রাজিলের পেনাল্টির দাবি নাকচ করে দেন রেফারি। প্রথমার্ধের শেষে বাতিল হয় পেরুর পেনাল্টির দাবিও। কিন্তু ২৫ মিনিট থেকেই খেলার হাওয়া ঘুরতে শুরু করে উল্টোদিকে। ব্রাজিল যে সুযোগ পায়নি তেমনটা নয়। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে ব্যর্থ লুকাস লিমা, কুটিনহোরা। ৩৭ মিনিটেই যে সুযোগ নষ্ট করেন উইলিয়ান, তা তাঁর রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ব্রাজিলের উপর চাপ তৈরি করতে শুরু করে পেরু। ৫০ মিনিটে পেরুর নিশ্চিত গোলের সুযোগ রুখে দেন ব্রাজিল গোলকিপার আলিসন। উল্টোদিকে তখন পেরুর রক্ষণে রডরিগেজ-র‌্যামোসের কঠিন দেওয়াল টপকাতে রীতিমতো হিমশিম অবস্থা। শেষ পর্যন্ত যখন সেই দেওয়াল টপকাতে পারল ব্রাজিল তখন বাঁধা হয়ে দাঁড়াল পেরুর শেষ রক্ষণ। দানি আলভেজের গোলের ঠিকানা লেখা শট দক্ষতার সঙ্গে বাইরে পাঠালেন পেরু গোলকিপার গালেস। তার আগেই অবশ্য ম্যাচের একমাত্র বিতর্কিত গোলটি করে ফেলেছেন মারিও রুই দিয়াজ। এর পর সুযোগ তৈরি করেও আর ম্যাচে ফিরতে পারল না দুঙ্গার ছেলেরা।

আরও খবর...

মেসি অভিমানী, আগুনে রোনাল্ডো

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন