অ্যাসেজের পিচে গাঁজা চাষের ছায়া

অ্যাসেজ পিচ নিয়ে এত সমালোচনা চলছে যে, এজবাস্টনে তৃতীয় টেস্টের উইকেট তৈরির জন্য গাঁজা চাষের পদ্ধতি ধার নিতে হচ্ছে ইংল্যান্ডকে! এই প্রথম অ্যাসেজের পিচ তৈরির দায়িত্ব পেয়েছেন ওয়ারউইকশায়ারের মুখ্য গ্রাউন্ডসম্যান গ্যারি বারওয়েল। এবং প্রথম বারই ক্রিকেটবিশ্বকে তাক লাগাতে চলেছেন। আদর্শ পিচ তৈরি করতে এতই মরিয়া যে, গাঁজা চাষে ব্যবহৃত বিশেষ হট ল্যাম্প নিয়ে এসেছেন বাইশ গজে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

এজবাস্টন শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৫ ০৩:১৫
Share:

গাঁজা চাষের এই আলোর তাপেই তৈরি হচ্ছে এজবাস্টন পিচ।

অ্যাসেজ পিচ নিয়ে এত সমালোচনা চলছে যে, এজবাস্টনে তৃতীয় টেস্টের উইকেট তৈরির জন্য গাঁজা চাষের পদ্ধতি ধার নিতে হচ্ছে ইংল্যান্ডকে!
এই প্রথম অ্যাসেজের পিচ তৈরির দায়িত্ব পেয়েছেন ওয়ারউইকশায়ারের মুখ্য গ্রাউন্ডসম্যান গ্যারি বারওয়েল। এবং প্রথম বারই ক্রিকেটবিশ্বকে তাক লাগাতে চলেছেন। আদর্শ পিচ তৈরি করতে এতই মরিয়া যে, গাঁজা চাষে ব্যবহৃত বিশেষ হট ল্যাম্প নিয়ে এসেছেন বাইশ গজে। ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস পুলিশের কাছ থেকে বিনামূল্যে ধার করা ল্যাম্প স্থানীয় গাঁজা চাষীদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করে রাখা থাকে পুলিশি হেফাজতে। গত শীতে ল্যাম্পগুলো পুলিশের কাছ থেকে চেয়ে নেন বারওয়েল। নটস কাউন্টি ফুটবল ক্লাবের স্টাফ থাকাকালীন এই পদ্ধতি দেখে সেটা এজবাস্টনেও আমদানি করবেন বলে। ওয়ারউইকশায়ারের পেস ও স্পিনের মিশ্র আক্রমণকে সাহায্য করার জন্য সেগুলো নিয়মিত ব্যবহারও করা হয়। তবে বুধবার শুরু তৃতীয় টেস্টই প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ যেখানে এমন পিচ ব্যবহৃত হবে।
আলো ব্যবহারের কারণ— পিচে গতি আর বাউন্স বাড়ানো এবং ভিজে আউটফিল্ড তাড়াতাড়ি শুকিয়ে ফেলা। গত সপ্তাহের প্রচণ্ড বৃষ্টিতে এমনিতেই মাঠের অবস্থা খারাপ। তার উপর এজবাস্টনের বিশাল প্যাভিলিয়নের ছায়া পড়ায় আউটফিল্ড সরাসরি সূর্যের আলো পায় না। মাঠ শুকোতে আরও সময় লাগে। পিচ প্রস্তুতকারকদের দাবি, হট ল্যাম্প ব্যবহারে নাকি জল-নিকাশি ব্যবস্থাও আরও ভাল হয়।
চলতি অ্যাসেজের দুটো টেস্ট চার দিনে শেষ হলেও পিচ নিয়ে বিতর্ক চলছেই। কার্ডিফে যেমন প্রথম ওভারেই মিচেল স্টার্কের বল দু’বার বাউন্স করে উইকেটকিপারের হাতে জমা পড়ে। লর্ডসেও প্রথম দিন এক উইকেট হারিয়ে প্রায় সাড়ে তিনশো তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া। ওই টেস্ট অস্ট্রেলিয়া ৪০৫ রানে জেতার পরে লর্ডসের প্রধান গ্রাউন্ডসম্যান মিক হান্টের প্রচুর সমালোচনা হয়। হয়তো সে জন্যই এজবাস্টনে হাজির ছিলেন ইংল্যান্ড বোর্ডের পিচ ইন্সপেক্টর ক্রিস উড।

Advertisement

অস্ট্রেলিয়ার বৈচিত্রপূর্ণ পেসারদের নখদন্তহীন করে দেওয়ার জন্য ঢিমে পিচ তৈরির অভিযোগ উঠছে ইংল্যান্ড বোর্ডের দিকে। এই প্রসঙ্গে বিপক্ষকে একহাত নিয়ে স্টার্ক বলে রাখলেন, তারা নাকি বুঝতেই পারছে না কেমন পিচ তৈরি করলে ভাল হবে। ২৯ তারিখ থেকে শুরু তৃতীয় টেস্টের পিচে আপাতত ঘাস আছে, তবে তার অনেকটাই ছেঁটে ফেলা হবে বলে খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন