আন্তঃজেলা টি-২০, পিচের সাজ সারা

ক্রিকেট উৎসব শুরু হচ্ছে মেদিনীপুরে। তৈরি শহরও। প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে বহুদিন আগেই। শুক্রশনি— দু’দিন মেদিনীপুরে স্টেডিয়ামে ব্যস্ততা ছিল তুঙ্গে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:১০
Share:

পিচ তৈরির কাজে চলছে। — নিজস্ব চিত্র

ক্রিকেট উৎসব শুরু হচ্ছে মেদিনীপুরে। তৈরি শহরও। প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে বহুদিন আগেই। শুক্রশনি— দু’দিন মেদিনীপুরে স্টেডিয়ামে ব্যস্ততা ছিল তুঙ্গে।

Advertisement

কাল, সোমবার সিএবি-র আন্তঃজেলা টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন। ফলে গত দু’দিন সকাল থেকেই মাঠে হাজির থেকেছেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্তারা। জোরদার তৎপরতায় পিচ তৈরির কাজ চলেছে। একদিকে রোলার চলেছে ঘনঘন। মাঠে চলছে জল দেওয়ার কাজ। অন্য দিকে মাঠের ঘাস ছেঁটে ছোট করা হচ্ছে। আর সে সব কাজ নিজে তদারকি করছেন মেদিনীপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক বিনয় দাস মাল। তিনি বলেন, “প্রায় সব প্রস্তুতিই সারা। আশা করি, টুর্নামেন্টটা এখানে ভাল ভাবেই হবে।”

মেদিনীপুরে সবচেয়ে বড় সমস্যা পিচ নিয়ে। শহরের এই স্টেডিয়ামে টার্ফ পিচ রয়েছে। তবে তা নিয়মিত দেখভাল হয় না। সে সুযোগও থাকে না! কারণ, সারা বছর নানা ধরনের প্রতিযোগিতা চলে সারা বছর। তার ফলেই পিচের অবস্থা খারাপ। ক্রিকেট মরসুম এলে নতুন করে পিচ তৈরি হয়। সিএবি-র আন্তঃজেলা টি-২০ কে সামনে রেখে এখন যেমন হচ্ছে।

Advertisement

স্টেডিয়ামে পাশাপাশি দু’টি টার্ফ পিচ রয়েছে। উদ্যোক্তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এক একটি পিচে একদিন খেলা হবে। পিচে খুব বেশি ঘাস রাখা হয়নি। ঘনঘন রোলার চালিয়ে মাটি শক্ত করা হচ্ছে। শুক্রবার পিচ তদারকির মাঝখানেই মেদিনীপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার পিচ কিউরেটর সনৎ খামরই বলছিলেন, “এক মাস সময় পেয়েছি। এর মধ্যে এই পিচ তৈরি করতে হয়েছে। আবহাওয়া ভাল ছিল, কাজ এগোতে সমস্যা হয়নি।’’

তিনি জানান একদিন আগেই সিএবি-র এক কর্তা এসে পিচ দেখে গিয়েছেন। তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলেও দাবি সনৎবাবুর। সেই সঙ্গে তাঁর আশা, ‘‘পিচের জন্য ক্রিকেটারদের সমস্যায় পড়তে হবে না।”

মাঠে ছিলেন অনুর্ধ্ব-১৪ জেলা ক্রিকেট দলের কোচ সুমিত দাস। সুমিত বলছিলেন, “পিচ খারাপ হয়নি। হাতে তো আরও দু’দিন রয়েছে। মাটি আরও শক্ত হয়ে যাবে।”

এ বারই প্রথম মেদিনীপুরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সিএবি-র আন্তঃজেলা টি- ২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। পুরো বিষয়টাই একটু নতুন মোড়কে। সব মিলিয়ে ১৮টি জেলা এই টুর্নামেন্টে যোগ দিচ্ছে। খেলাগুলো হবে পশ্চিম মেদিনীপুরের দু’টি স্টেডিয়ামে— মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়াম। দু’জায়গাতেই পিচ তৈরির কাজ এখন শেষের মুখে।

তবে দু’টি সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল হবে মেদিনীপুরে। এই তিনটি ম্যাচ রাতের। সেই মতো আলো লাগানোর টাওয়ার তৈরির কাজও শুরু হয়েছে। গত বছরের মতো এ বারও প্রত্যেকটি জেলা দলের নামকরণ করা হয়েছে আলাদা করে। মেদিনীপুর দলের নাম ‘মেদিনীপুর হিরোস্’, হাওড়ার নাম ‘হাওড়া ডায়মন্ডস্’।

জানা গিয়েছে, প্রতিটি খেলার সময় মাঠে ‘ডিজে’ থাকবে। যেমন টি-২০ ক্রিকেটে থাকে। সেমিফাইনাল এবং ফাইনালে মাঠের ধারে চিয়ার লিডারদেরও দেখা যেতে পারে। জেলা ক্রীড়া সংস্থার এক কর্তা বলছিলেন, “এ বার টুর্নামেন্টটা একটু অন্য রকম ভাবেই হচ্ছে। জাঁকজমক থাকবে। আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়াটাও খুব বড় ব্যাপার।” এখানে যাঁরা খেলতে আসছেন, তাঁদের মধ্যে থেকেই কেউ কেউ আগামী দিনে বঙ্গ ক্রিকেটে দাপিয়ে খেলবেন বলে আশাবাদী তিনি।

জেলা ক্রীড়া সংস্থার এক কর্তাও মানছেন, “নেক্সট স্টার-সুপারস্টার শুধু এই বাংলার জন্য নয়, দেশের জন্য বেরোবে জেলা থেকেই। সিএবি এটা ভাল করেই জানে! তাই জেলায় জেলায় ক্রিকেট পরিকাঠামো গড়ার কাজ চলছে। এই টুর্নামেন্ট থেকেও বড় খেলোয়াড় বেরোবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন