পিচ-ধাঁধায় আটকে ভারত

কোথায় ঘূর্ণি পিচ? কোথায় চরম আগ্রাসন? কোথায় ক্যাপ্টেন বিরাট কোহালির হুঙ্কার? এ সব কিছুই দেখা গেল না রাঁচী টেস্টের প্রথম দিন, যা দেখা যাবে বলে গত এক সপ্তাহ ধরেই জল্পনা চলছিল ক্রিকেট দুনিয়া জুড়ে।

Advertisement

রাজীব ঘোষ

রাঁচী শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৭ ০৩:৩০
Share:

কোথায় ঘূর্ণি পিচ? কোথায় চরম আগ্রাসন? কোথায় ক্যাপ্টেন বিরাট কোহালির হুঙ্কার? এ সব কিছুই দেখা গেল না রাঁচী টেস্টের প্রথম দিন, যা দেখা যাবে বলে গত এক সপ্তাহ ধরেই জল্পনা চলছিল ক্রিকেট দুনিয়া জুড়ে।

Advertisement

যাকে কালো, কুৎসিত পিচ বলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ, সেই বাইশ গজই তাঁকে এনে দিল ১৯তম টেস্ট সেঞ্চুরি। দিনের শেষে তাঁকে বলতেও শোনা গেল, ‘‘পিচে রান আর বাউন্স দুটোই আছে।’’ এক দিন আগেও যার উল্টোটাই বলেছিলেন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক।

বাউন্স আর রানের সঙ্গে অবশ্য নানা নাটকেরও কমতি ছিল না। স্মিথের প্যাডের মধ্যে ঢুকে পড়া বল বার করতে গিয়ে ঋদ্ধিমান সাহার তাঁকে নিয়ে উল্টে পড়ার দৃশ্যে মাঠে হাসির রোল উঠল।

Advertisement

সবচেয়ে বড় নাটকটা অবশ্য ছিল কোহালিকে ঘিরেই। লাঞ্চের পরে বাউন্ডারি বাঁচাতে গিয়ে এক বিপজ্জনক ডাইভ দিয়ে কাঁধে চোট পেয়ে সেই যে মাঠের বাইরে গেলেন, সারা দিনে আর ফিরলেনই না। কোহালি বাইরে চলে যাওয়ায় কেটে গেল টেস্টের তালটাই।

বা বলা ভাল ভারতের তাল। দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোরবোর্ডে ২৯৯-৪। স্মিথ ও ম্যাক্সওয়েলের ১৫৯ রানের পার্টনারশিপই বলে দিচ্ছে, অস্ট্রেলিয়া বড় ইনিংসের দিকে এগোচ্ছে। টস জিতে ব্যাটিং নেওয়ার সুবিধাটা তুলছে।

রিভার্স সুইং পাচ্ছেন উমেশ যাদব। কিন্তু টার্ন পাচ্ছেন না অশ্বিন, জাডেজারা। আগের বিকেলে উইকেটে জল দিয়ে রোলার চালানোরই কি ফল এটা? মাটিতে ‘ক্যাওলিনাইট’ নামক খনিজের মিশ্রণই কি রাতারাতি চরিত্র পাল্টে দিল উইকেটের? দিনের শেষে রবি শাস্ত্রী কমেন্ট্রি বক্স থেকে বেরিয়ে বললেন, ‘‘উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মিডিয়া আর ক্রিকেটাররা যা বলেছিল, তার কোনওটাই তো দেখা গেল না। মনে হচ্ছে উইকেট বোঝার ভুলে লাভ হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার, ক্ষতি হয়েছে ভারতের।’’ সকালে টিভিতে পিচ রিপোর্টে মাইকেল ক্লার্ক বলেন, ‘‘এতে বাউন্স অতটা থাকবে না। তবে উইকেট তাড়াতাড়ি ভাঙার সম্ভাবনাও কম। ফলে টার্নও বেশি পাওয়া যাবে না।’’

এমনিতেই সিরিজে ডিআরএস নিয়ে বেশ ভুগছে ভারত। এই টেস্টেও তার ব্যতিক্রম হল না। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের গ্লাভস ছুঁয়ে সোজা ঋদ্ধিমানের হাতে পৌঁছনো বলে আবেদন নাকচ করে দেওয়া হলেও তাতে রিভিউ নেয়নি ভারতীয় দল। নিলে ম্যাক্সওয়েলকে ফিরতেই হত। টিভি রিপ্লে দেখে অন্তত সে রকমই মনে হল। শাস্ত্রী বলছেন, ‘‘হঠাৎ কোহালির চোট লেগে যাওয়ায় দলটা কেমন যেন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল।’’

কিন্তু এই চাপ কাটিয়ে উঠে জিততে পারবে ভারত? মাইকেল ক্লার্ক স্টেডিয়াম ছেড়ে বেরনোর আগে বলে গেলেন, ‘‘আমার মনে হয়, অস্ট্রেলিয়া চারশো তুলে দিলে ভারত আর ম্যাচে ফিরতে পারবে না। তৃতীয় দিন থেকে কিন্তু বল ঘুরবে, মনে রাখবেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন