সৌরভের সামনে পিচ বিভ্রাট

যত সময় যাচ্ছে, বাংলার প্র্যাকটিস পিচকে ঘিরে নাটক তত বেড়ে চলেছে। কোনও দিন কিউরেটরকে না জানিয়ে বাংলার প্র্যাকটিস ফেলা হচ্ছে সল্টলেকের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে তা আবার ফিরে আসছে ইডেনে। কিন্তু তাতেও ছুটকো বিপত্তি। সেখানে আবার পিচ ভিজে থাকায় ঠিকঠাক সময়ে শুরু করা গেল না নেট।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০২:১২
Share:

ইডেনে দাদার দিন। কখনও চিফ পিচ কিউরেটর প্রবীর মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে।

যত সময় যাচ্ছে, বাংলার প্র্যাকটিস পিচকে ঘিরে নাটক তত বেড়ে চলেছে।

Advertisement

কোনও দিন কিউরেটরকে না জানিয়ে বাংলার প্র্যাকটিস ফেলা হচ্ছে সল্টলেকের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে তা আবার ফিরে আসছে ইডেনে। কিন্তু তাতেও ছুটকো বিপত্তি। সেখানে আবার পিচ ভিজে থাকায় ঠিকঠাক সময়ে শুরু করা গেল না নেট।

রবিবার ইডেনে তৃতীয়টা হল। যেখানে ক্রিকেটাররা গিয়ে দেখলেন, প্র্যাকটিস পিচ ভেজা। যে কারণে নেট শুরু করতে বেশ কিছুটা দেরি হয়ে যায়। বাংলার প্র্যাকটিসে এ দিন গিয়েছিলেন সিএবির ঘোষিত প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। প্র্যাকটিস পিচের অবস্থায় তিনি যে খুব খুশি সেটাও দেখে মনে হয়নি। প্রধান কিউরেটর প্রবীর মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাত-পা নেড়ে কথাও বলতে দেখা যায় সৌরভকে। পরে অবশ্য সৌরভ বলে গেলেন যে, ‘‘না, কোনও সমস্যা নেই। দেখতে গিয়েছিলাম, পিচ কেমন হচ্ছে না হচ্ছে।’’

Advertisement

কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্টের কেউ কেউ এত নরমপন্থী নন। শোনা গেল ইডেনের প্রধান কিউরেটরকে কেউ কেউ জিজ্ঞেসও করেন যে, আপনিই বাংলার প্র্যাকটিস ইডেনে ফেরানো নিয়ে এত কিছু বললেন। অথচ পিচটাই কি না ভেজা থেকে গেল। ইডেনের কিউরেটর গ্রুপের একজন বললেন যে, পিচের নীচের জল একটু বেশি উপরে চলে আসায় এটা হয়েছে। এমন যে ঘটতে পারে তা বোঝা যায়নি। তবে পরের দিকে আর কোনও অসুবিধে না হওয়ায় এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি কিছু হয়নি।

সৌরভ বরং এ দিন বেশ কয়েক জন ক্রিকেটারের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে বসলেন। আসন্ন রঞ্জি যুদ্ধের আগে চার্জ করলেন। ভিভিএস লক্ষ্মণ এবং বাংলার কোচ সাইরাজ বাহুতুলের সঙ্গেও বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন সৌরভ। টিমের অনেকেই বাংলার নতুন কোচকে নিয়ে খুশি। মুম্বইকরকে দেখে অনেকেরই বাংলা ক্রিকেটে পরস মামরে জমানার কথা ইতিমধ্যেই মনে পড়তে শুরু করেছে। প্র্যাকটিসেও যেমন দেখা গেল মামরে জমানার ছায়া। যেমন স্টাম্পের উপর প্লাস্টিকের বোতল বসিয়ে চলল অনুশীলন। একেকবার এক একটা স্টাম্পের উপর। উদ্দেশ্য, ইনসুইংটা ঠিক করা।

বলা হচ্ছে, বাংলার নতুন কোচের বয়স কম। কিন্তু ব্যক্তিত্ব প্রখর। টিমকে শৃঙ্খলাবদ্ধ রাখতে যিনি নাকি প্রবল চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এ দিনই যেমন ভেজা পিচ দেখে কোনও কোনও ক্রিকেটার মৃদু গাঁইগুঁই শুরু করলে সাইরাজ নাকি বলে দেন যে, এটা নিয়ে কোনও কথা তিনি শুনতে চান না। কোন মাঠে প্র্যাকটিস সম্ভব, আর কোনটায় নয় তিনি ঠিক করবেন। অন্য কেউ নয়।

আগামী ৮ অক্টোবর বেঙ্গালুরুতে রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন কর্নাটকের বিরুদ্ধে বাংলার প্রথম ম্যাচ। আগামী বৃহস্পতিবার যে ম্যাচের দল নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে। আর দিন দশেকের মধ্যেই বোঝা যাবে, সাইরাজের হাত ধরে বাংলার সত্যিই পরস-যুগ ফিরছে কি না।

ছবি: শঙ্কর নাগ দাস।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন